এই বছর ICC বিশ্বকাপের জন্য তাদের দল ঘোষণা করেছে BCCI। চোট কাটিয়ে ফিরছেন কেএল রাহুল। পাশাপাশি ফিট হয়ে ফেরা জসপ্রীত বুমরাও এই দলে জায়গা পেয়েছেন।
বিশ্বকাপের এই ভারতীয় দল নিয়ে অনেকেই সন্তুষ্ট হলেও অনেক অভিজ্ঞ ক্রিকেটার এর সমালোচনা করেছেন। অধিনায়ক রোহিত শর্মা এমন বলেছেন যে প্রতিবারই কিছু খেলোয়াড়কে বাদ দিয়েই হয়। প্রতিবার সবাইকে খুশি করা যায় না। বেছে নেওয়ার জন্য মাত্র ১৫ টা জায়গা রয়েছে। ফলে অনেক ভালো খেলোয়াড়কেও বাদ দিতে হয়।
১০ বছর আইসিসি ট্রফি জেতেনি ভারত
ভারতীয় দল ১০ বছর ধরে কোনও আইসিসি ট্রফি জিততে পারেনি। ভারতীয় দল ২০১৩ সালের জুন মাসে শেষবার আইসিসি ট্রফি জিতেছিল। এবারের বিশ্বকাপ ভারতেই হচ্ছে। কিন্তু ভারতীয় দলে তিনটি বড় ত্রুটি দেখা যাচ্ছে। টুর্নামেন্টে এই ত্রুটিগুলো সামনে এলে আইসিসির এই ট্রফিও হাতছাড়া হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
টপ-৪-এ বাঁ হাতের ব্যাটার নেই
১৫ সদস্যের ভারতীয় দলে মাত্র ৪ জন বাঁহাতি ব্যাটসম্যান ইশান কিশান, রবীন্দ্র জাদেজা, অক্ষর প্যাটেল এবং কুলদীপ যাদব দলে রয়েছেন। কিন্তু দেখার বিষয় হলো মিডল অর্ডারে এবং লোয়ার মিডল অর্ডারে ব্যাট করতে আসে সবাই। ইশান ওপেন করতে পারলেও মিডল অর্ডারে তাঁকে ৫ নম্বরে নামাতে হবে।
উইকেটরক্ষক হিসেবে ইশানের জায়গায় যদি কেএল রাহুল সুযোগ পান, তাহলে প্রথম ছয়ের মধ্যে কোনোও বাঁহাতি থাকবে না। জাদেজা ৭ নম্বরে ব্যাট করছেন। অন্যদিকে, গত কয়েকবার দেখা গেছে বাঁহাতি ফাস্ট বোলারের সামনে ভারতের টপ অর্ডারকে আরও বিপদে পড়ছেন। ফলে এবারের বিশ্বকাপে সমস্যায় পড়তে হতে পারে ভারতীয় দলকে। ২০১১ সালের বিশ্বকাপ জয়ী ভারতীয় দলে টপ অর্ডারে গৌতম গম্ভীর এবং যুবরাজ সিং বামহাতি ছিলেন।
অফ স্পিনারের অভাব
ভারতীয় দলে দুই অলরাউন্ডার সহ মোট তিনজন স্পিনার রয়েছে। অলরাউন্ডার রবীন্দ্র জাদেজা এবং অক্ষর প্যাটেল। যেখানে বিশেষজ্ঞ স্পিনার হলেন কুলদীপ যাদব। তাঁকে বলা হয় চায়নাম্যান বোলার। দলে নেই কোনো অফ স্পিনার। অফ স্পিনার হিসেবে সুযোগ পেতে পারতেন রবিচন্দ্রন অশ্বিন ও ওয়াশিংটন সুন্দর। শেষবার যখন ভারতীয় দল ২০১১ সালের বিশ্বকাপ শিরোপা জিতেছিল, তখন হরভজন সিং এবং রবিচন্দ্রন অশ্বিনের মতো দুই অফ স্পিনার ছিলেন। ভারতের স্পেশালিস্ট ব্যাটসম্যানদের মধ্যে রোহিত শর্মাই একমাত্র অফ-স্পিন করতে পারেন।
বাঁহাতি পেসার নেই
ভারতীয় বোর্ড জাসপ্রীত বুমরা, মহম্মদ সিরাজ, মহম্মদ শামি এবং শার্দুল ঠাকুরকে ফাস্ট বোলার হিসেবে রেখেছে। যদিও হার্দিক পান্ডিয়াও একজন ফাস্ট বোলিং অলরাউন্ডার। তবে বাঁ হাতি পেস বোলার নেই। এই চারজনই ডানহাতি পেসার। বিশ্বকাপে খেলা অন্য সব বড় দলেই অন্তত একজন বাঁহাতি পেসার আছে।
বাঁহাতি পেসাররা অন্য কোণ থেকে বোলিং করেন। ফল্র প্রতিপক্ষ দলের বাঁহাতি ব্যাটারকে সবসময়ই সমস্যায় ফেলেন। বাঁহাতি পেসার যখন তার বল ভিতরে নিয়ে আসেন, তখন ব্যাটসম্যানের আউট হওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যায়। এর সবচেয়ে বড় উদাহরণ দেখা যায় পাকিস্তানের পেসার শাহীন শাহ আফ্রিদির ক্ষেত্রে।
ভারতীয় দলে বাঁহাতি পেসার হিসেবে আর্শদীপ সিং দারুণ ভালো বিকল্প হতে পারতেন, কিন্তু তিনি বিসিসিআইয়ের পরিকল্পনায় ছিলেন না। তবে ২০১১ সালের বিশ্বকাপ জয়ী ভারতীয় দলে দুই বাঁ হাতি পেসার ছিলেন। জহির খান এবং আশিস নেহরা। প্রতিপক্ষ দলের ব্যাটারদের আউট করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন।