"একসঙ্গে গলা ছেড়ে বলুন জয় মোহনবাগান", বললেন জয় সরকার

ইতিপূর্বে মোট দু'বার আইএসএল খেতাব জয় করেছেন হাবাস। ২০১৪ সালে অ্যাটলেটিকো ডি কলকাতার হয়ে এবং ২০১৯-২০ মরশুমে এটিকে দলের হয়ে। আর এবার তিনি এটিকে মোহনবাগান দলের হয়ে তৃতীয়বার খেতাব জয়ের স্বপ্ন দেখছেন বাগানের স্প্যানিশ কোচ। তবে প্রতিপক্ষ হিসেবে মুম্বই সিটি এফসি যে একেবারে সহজ হবে না, সেটা তিনি খুব ভালো করেই বুঝেছেন। চলতি মরশুমে মোট দু'বার এই দুই দল একে অপরের মুখোমুখি হয়েছিল। কিন্তু, বাগান ব্রিগেড একবারও জিততে পারেনি।

তবে এই পরিসংখ্যান নিয়ে একেবারেই ভাবতে নারাজ বাংলার প্রখ্যাত সুরকার জয় সরকার। আজ ফেসবুকে এক ভিডিও বার্তায় তিনি বলেছেন, "আজকে সেই বহু প্রতীক্ষিত দিন অর্থাৎ আইএসএল ২০২১-র ফাইনাল। আর সেই ফাইনালে খেলছে আমাদের প্রাণের দল, আমাদের সবথেকে সবথেকে ভালোবাসার জায়গা মোহনবাগান। ফলে আজকে কিন্তু জোরদারভাবে সাপোর্ট করতে হবে। এতদিন যেভাবে সাপোর্ট করে এসেছি, তার থেকে অন্তত ১০ গুণ জোরদার হওয়া দরকার।"

আজকের ম্যাচে যে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হবে, তা নিয়ে কোনও সন্দেহ নেই। গোটা টুর্নামেন্ট জুড়ে এই দুই দলের আক্রমণ ঝাঁঝের পরিচয় আমরা পেয়ে গেছি। পাশাপাশি জয়ের রেকর্ডও যথেষ্ট ভালো। ফাইনালে আসার পথে দুটো দলই ১২টা করে ম্যাচ জিতেছে এবং চারটে করে ম্যাচ হেরেছে।

Joy Mohunbagan 💚♥️ @Mohun_Bagan @ArenaMariners @atkmohunbaganfc #isl #final2021 pic.twitter.com/ydwFSeUqid

— Joy Sarkar (@joythejoyous) March 13, 2021

জয় সরকার আরও বললেন, "আজকে ফাইনাল ডে। তাই আজকের সাপোর্ট আরও জোরদার হওয়া দরকার। আজকে আমরা জিতব, অবশ্যই জিতব। তাই সবাই মিলে, গলা ছেড়ে, এক সাথে জয় মোহনবাগান।"

আইএসএল ২০২০-২১ মরশুমে সোনার বুট জয়ের লড়াই যে হাড্ডাহাড্ডি হবে, তা ইতিমধ্যেই আঁচ করা গেছে। লড়াইয়ে রয়েছেন এটিকে মোহনবাগানের ফিজিয়ান স্ট্রাইকার রয় কৃষ্ণা এবং এফসি গোয়ার ইগর অ্যাঙ্গুলো। দ্বিতীয় সেমিফাইনালের পর এই দুই ফুটবলারই ২১ ম্যাচে ১৪টি করে গোল করেছেন। তবে আজ যেহেতু এফসি গোয়া লড়াইয়ে থাকছে না, তাই কৃষ্ণার কাছে কাজটা অনেকটাই সহজ হয়ে যাবে। 

আজ ইতিহাসের সামনে দাঁড়িয়ে রয়েছেন রয় কৃষ্ণা। মুম্বই সিটি এফসি'র বিরুদ্ধে একটা গোল করতে পারলেই তাঁর স্বপ্ন সার্থক হবে। সেমিফাইনালে মুম্বই সিটির কাছে হেরে গেছে এফসি গোয়া। সেকারণে ১৪ গোলেই অভিযান শেষ করেছেন ইগর। তবে যদি আজ ফাইনালে রয় কৃষ্ণা একটাও গোল না করতে পারেন, তাহলে সোনার বুট ইগরের কাছেই চলে যাবে। কারণ সেক্ষেত্রে একটা ম্যাচ কম খেলে সমসংখ্যক গোল করার বাড়তি সুবিধা পাবেন তিনি।