অসাধারণ কিয়ান নাসিরি। পরে নেমেও হ্যাটট্রিক করেন তিনি। পিছিয়ে থাকা এটিকে মোহনবাগানকে সমতা ফেরানোর পর আরও দুই গোল করে এদটিকে মোহনবাগানকে জেতান কিয়ান। ৩-১ গোলে এসসি ইস্টবেঙ্গলকে হারাল এটিকে মোহনবাগান।
১০ মিনিটেই আহত হয়ে উঠে যান অঙ্কিত মুখোপাধ্যায়। শুভাশিস বসুর ফাউলে আহত হন অঙ্কিত। তাঁর জায়গায় অমরজিৎ সিং কিয়ামকে মাঠে নামান এসসি ইস্টবেঙ্গল কোচ মারিও রিভেরা। ১৬ মিনিটে নাওরেম মহেশ সিং-এর শট গোলের কিছুটা বাইরে দিয়ে যায়। ১৯ মিনিটে মার্সেলো একা অমরিন্দরকে পেলেও গোল করতে পারেননি। তাঁর শট দ্বিতীয় পোস্টের বাইরে চলে যায়। একবার লিস্টন কোলাসো সুযোগ পেলেও গোল করতে পারেনি এটিকে মোহনবাগান। তাঁর শট অরিন্দম ভট্টাচার্য হাত দিয়ে চাপড় মেরে গোল বাঁচান। সুযোগ পেয়েছিলেন ডেভিড উইলিয়ামসও। সহজ সুযোগ হাতছাড়া করেন এটিকে মোহনবাগান অধিনায়ক প্রিতম কোটাল। গোল পায়নি এসসি ইস্টবেঙ্গলও।
দ্বিতীয়ার্ধের প্রথম মিনিটেই ডান পায়ে শট করেন লিস্টন কোলাসো। তাঁর শট ক্রসবারে লেগে ফেরে। সুযোগ নষ্ট করেন শুভাশিস বোস। প্রথম থেকে রয় কৃষ্ণকে খেলানি হুয়ান ফেরান্দো। মাঠে তাঁর অভাব ভালই বোঝা গিয়েছে। ৫৬ মিনিটে এসসি ইস্টবেঙ্গলকে এগিয়ে দেন ড্যারেন সিডওয়েল। ডানদিক থেকে পেরেসোভিচ কর্নার নেন। সেখান থেকে সিডওয়েল হেড করেন। দীপক টাংরির গায়ে লেগে বল গোলে ঢুকে যায়। এটিকে মোহনবাগানের হয়ে নামেন কিয়ান নাসিরি। দীপক টাংরিকে তুলে নিয়ে তাঁকে নামান হয়। জামসেদ নাসিরির পুত্র কিয়ান নেমেই গোল করে দেন। এসসি ইস্টবেঙ্গলের ডিফেন্সের ভুলে বল পান কিয়ান। গোল করে যান তিনি। সৌরভ দাসের ভুল পাস থেকে করেন কিয়ান। পরের মিনিটেই পেনাল্টি পায় এটিকে মোহনবাগান। পেনাল্টি বক্সের মধ্যে অমরজিৎ সিং কিয়াম ফাউল করেন লিস্টন কোলাসোকে। ৬৬ মিনিটে ডেভিড উইলিয়ামসের নেওয়া পেনাল্টি বাইরে চলে যায়। ৮০ মিনিটে হামতের শট কোনওমতে মাথায় লাগিয়ে বাঁচান অমরিন্দর সিং। শেষদিকে লিস্টন কোলাসোর শট গোললাইন সেভ করেন হীরা মন্ডল। কিয়ানের ব্যাকপাস থেকে বল পান লিস্টন। অরিন্দম বিট হলেও হেড দিয়ে গোল রক্ষা করেন হীরা। অতিরিক্ত সময়েও গোল করেন কিয়ান নাসিরি। আরও একটি গোল করে নিজের হ্যাটট্রিক করে ফেলেন কিয়ান।
আরও পড়ুন: ডার্বির মঞ্চে সুভাষ-স্মরণ, দারুণ উদ্যোগ দুই প্রধানের
আরও পড়ুন: অমরিন্দর না অরিন্দম কে এগিয়ে? ভাস্করের মতে...
এই ম্যাচ জিতে চার নম্বরে উঠে এল এটিকে মোহনবাগান। ১১ নম্বরেই থাকল এসসি ইস্টবেঙ্গল।