ফের বড় ম্যানচ (Kolkata Derby)। রবিবার যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনে ডুরান্ড কাপের ফাইনালে নামছে মোহনবাগান সুপার জায়েন্ট এবং ইমামি ইস্টবেঙ্গল। মরশুমের প্রথম ডার্বিতে হারতে হলেও, এবার ঘুরে দাঁড়িয়ে ডুরান্ড ট্রফি জিততে চায় মোহনবাগান।
ডুরান্ডের গ্রুপ পর্বে নন্দাকুমারের গোলে ইস্টবেঙ্গলের কাছে ১-০ গোলে হারে জুয়ান ফেরান্দোর দল। তবে এই ম্যাচ হেরে গেলেও ঘুরে দাঁড়িয়েছে দল। এএফসি কাপে মূল পর্বে যোগ্যতা অর্জন করেছে। রবিবারের ডার্বি ম্যা্চের আগে তাই কিছুটা স্বস্তি বাগান কোচের। তবে পরপর ম্যাচ খেলতে হওয়ায় ধকল সামলাতে সমস্যা হতে পারে। জুয়ানকে এটাই চিন্তায় রাখছে। মোহনবাগান কোচ বলেন, ‘সত্যি কথা বলতে প্রথম ডার্বির আগে আমি এএফসি কাপ নিয়ে বেশি চিন্তিত ছিলাম। মাথায় মাছিন্দ্রা এফসি, ঢাকা আবাহনীর কথা ঘুরছিল। কিন্তু এখন সেই চাপ থেকে আমরা মুক্ত। এখন আমরা একটা ফাইনাল খেলতে নামব। গোয়া, মুম্বইয়ের মতো কঠিন দলের বিরুদ্ধে খেলতে নেমেছি। আগামী মরশুমে খেলতে নামার আগে ফাইনাল আমাদের কাছে আরও একটা পরীক্ষা।‘
সুহেল ভাট সুমিত রাঠিরা দলে নেই। জাতীয় শিবিরে যোগ দিয়েছেন তাঁরা। সমস্যায় পড়বে দল? জুয়ান বলেন, ‘দল নিয়ে এখনও কথা বলার জায়গায় আসিনি। কে খেলবে, কে খেলবে না সেটার জন্যে শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত অপেক্ষা করব। কারা তৈরি রয়েছে সেটা এখনও বলার সময় আসেনি। সুহেল, সুমিত জাতীয় শিবিরে চলে গিয়েছে। ওদের পাচ্ছি না। বাকিদের রিকভারি হচ্ছে না। এত ঘন ঘন ম্যাচ খেলতে হচ্ছে যে তাল মেলানো মুশকিল। অনেকেই রয়েছে যারা ৫০ শতাংশ তৈরি। কিন্তু এটা নিয়ে কোনও অজুহাত দিতে চাই না।‘
দল ফাইনালে ওঠায় খুশি জুয়ান। তবে ট্রফি জয় তাঁর লক্ষ্যি সেকথা জানাতে ভুললেন বাগান কোচ। এই নিয়ে তিনি বলেন, ‘দল ফাইনালে ওঠায় আমি খুশি। গোয়া, মুম্বইয়ের বিরুদ্ধে ভাল খেলে জিতেছি। ফাইনালে আরও একটা ভাল দলের বিরুদ্ধে খেলতে নামব। নিজেদের সেরাটা দেওয়াই লক্ষ্য। ট্রফি জিততে চাই, এটা অস্বীকার করব না।‘
এদিকে ইস্টবেঙ্গলের মতন মোহনবাগানে সাংবাদিক সম্মেলনে উঠেছিল পেনাল্টি বিতর্ক। এই নিয়ে জুয়ান বলেন, ‘ কোচ হিসাবে নিজের দলের খেয়াল রাখাই আমাদের কাজ। এমন বিষয়ে প্রশ্ন করছেন যেটা আমার নিয়ন্ত্রণের বাইরে। রেফারিদের নিয়ে কথা বলে নিজের শক্তি নষ্ট করতে চাই না। আমরা সবাই ভারতীয় ফুটবলের উন্নতি চাই। তাই ভারতীয় রেফারিদের আরও বেশি করে তুলে আনাই আমাদের দরকার।‘