বঙ্গবন্ধু টি-২০ কাপ : নিজের অভব্য আচরণের জন্য ক্ষমা চাইলেন মুশফিকুর

বেক্সিমকো ঢাকার সতীর্থ ক্রিকেটার নাসুম আহমেদের কাছে ক্ষমা চাইলেন বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের প্রাক্তন অধিনায়ক মুশফিকুর রহিম। গতকাল বঙ্গবন্ধু টি-২০ কাপে ফরচুন বরিশালের বিরুদ্ধে ম্যাচ চলার মুশফিক দু'বার নিজের মেজাজ হারিয়ে ফেলেন। নিজের মেজাজ হারিয়ে মুশফিক তাঁর সতীর্থ ক্রিকেটার নাসুম আহমেদকে মারতে উদ্যত হন। একটি ক্যাট ধরার ঘটনাকে কেন্দ্র করে এমন উত্তপ্ত পরিস্থিতি তৈরি হয়।

আজ ক্ষমা চেয়ে নিজের ইনস্টাগ্রামে একটি পোস্ট করেছেন মুশফিকুর। তিনি লিখেছেন, "আসসালাম ওয়াইলিকুম সকলকে। গতকাল ম্যাচ চলাকালীন যে ঘটনা ঘটেছে তারজন্য সবার আগে আমি আমার প্রত্যেক সমর্থকের কাছে ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি।"

 

 

 

 

View this post on Instagram

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

A post shared by Mushfiqur Rahim (@mushfiqurofficial)

সেইসঙ্গে তিনি আরও যোগ করেন, "ম্যাচের পরই আমি আমার সতীর্থ ক্রিকেটার নাসুমের কাছে ক্ষমা চেয়ে নিয়েছি। দ্বিতীয়ত, আমি ঈশ্বরের কাছে ক্ষমা চাইছি। আমি সবসময় নিজেকে একজন ক্ষুদ্র মানুষ হিসেবেই মনে করি। মাঠের মধ্যে খেলা চলাকালীন আমি যে কাজটা করেছি, সেটা একেবারেই গ্রহণযোগ্য নয়। ইনশাল্লাহ, আশা করছি যে ভবিষ্যতে আর কখনও মাঠের মধ্যে কিংবা বাইরে আমি এমন কাজ করব না। ঈশ্বর মঙ্গল করুন।"

১৭ ওভারের শেষ বলে ফরচুন বরিশাল যখন প্রাণপনে জয়ের লক্ষ্যমাত্রা তাড়া করার চেষ্টা করছে, ঠিক তখনই এই ঘটনাটি ঘটে।

১৯ বলে ৪৫ রান দরকার ছিল বরিশালের। হাতে ছিল পাঁচ উইকেট। যথেষ্ট ভালো ফর্মে ছিলেন আফিফ হোসেন। ওভারের শেষ বলে একটা বাউন্ডারি খোঁজার তালে ছিলেন আফিফ। কিন্তু বলটি ব্যাটের কানায় লেগে সোজা আকাশের দিকে উঠে যায়। উইকেটরক্ষক মুশফিক এবং বোলার নাসুম দুজনেই ওই ক্যাচ ধরার জন্য এগিয়ে আসেন। ঘটনাচক্রে মুশফিকের দস্তানায় ক্যাচ জমা পড়ে এবং নাসুমের সঙ্গে তাঁর ধাক্কা লাগে।

তবে এই ধাক্কা এড়াতে চেয়েছিলেন নাসুম। আর সেকারণেই মুশফিক এই ক্যাচটি ধরতে পারেন। ইতিমধ্যে রহিমকে প্রচন্ড হতাশ দেখাতে শুরু করে। সে এগিয়ে এসে নাসুমকে বকাঝকা করতে শুরু করে দেন। তবে দলের অন্য ক্রিকেটাররা বিষয়টি শান্ত করার চেষ্টা করতে থাকেন। দেখে নিন সেই ভিডিওর ঝলক :

Calm down, Rahim. Literally. What a chotu 🐯🔥

(📹 @imrickyb) pic.twitter.com/657O5eHzqn

— Nikhil 🏏 (@CricCrazyNIKS) December 14, 2020

টসে জিতে প্রথমে ঢাকার এই ফ্র্যাঞ্চাইজ়ি দলকে ব্যাট করতে পাঠায় বরিশাল। নির্ধারিত ২০ ওভারে তারা আট উইকেট হারিয়ে ১৫০ রান তোলে। জবাবে ফরচুন বরিশাল ৯ উইকেটে তোলে ১৪১ রান। আর এই জয়ের সঙ্গেই বেক্সিমকো ঢাকা টুর্নামেন্টের দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ারে পৌঁছে যায়।