রঞ্জি ট্রফির (Ranji Trophy 2023) ফাইনালে প্রায় চলে গিয়েছে মনোজ তিওয়ারির (Manoj Tiwary) বাংলা দল (Bengal Team)। সেমি ফাইনালের চতুর্থ দিনে তাও বিতর্ক আম্পায়ারিং নিয়ে। নক আউটে ডিআরএস (DRS) এর ব্যবস্থা করার জন্য চিঠি দিয়েছেন বাংলার অধিনায়ক। দেশীয় ক্রিকেটের সবচেয়ে বড় প্রতিযোগিতায় কেন ডিআরএস নেই? কেন ডিসিশন রিভিউ সিস্টেমের প্রয়োজন তা মনোজ ব্যখ্যা করেছেন তাঁর চিঠিতে। মাঠের আম্পায়ারদের ছোট ভুলে দলকে কত ভুগতে হতে পারে সেই কথাও রয়েছে বাংলার অধিনায়কের চিঠিতে।
মনোজের ডিআর এস ব্যবস্থা চালু করার আবেদন প্রাসঙ্গিক। হোলকার স্টেডিয়ামে বাংলার দ্বিতীয় ইনিংসে অনুষ্টুপ মজুমদারের এলবিডব্লু আউটের সিদ্ধান্তে তা আবারও প্রমাণিত। কুমার কার্তিকেয়র বল ব্যাটে লেগে লেগ আম্পায়ারের দিকে যাচ্ছে দেখে রানের জন্য দৌড় শুরু করেছিলেন অনুষ্টুপ। কিন্তু কার্তিকেয় এবং হিমাংশু মন্ত্রীর আবেদনে সাড়া দিয়ে দেন আম্পায়ার। অনুষ্টুপকে আউট দিয়ে দেন তিনি। প্রথম ইনিংসে সেঞ্চুরির পরে দ্বিতীয় ইনিংসেও ৮০ রানে ব্যাট করছিলেন অনুষ্টুপ। তবে বিতর্কিত আউটে বিরক্ত বাংলার অভিজ্ঞ ব্যাটারও। মাঠ ছাড়ার আগে আম্পায়ারকে বোধহয় কিছু বলেও গিয়েছেন বাংলার ক্রিকেটার। রঞ্জি ট্রফির সেমিফাইনালে দুই ইনিংসে সেঞ্চুরির বিরল কৃতিত্ব হাতছাড়া হওয়ার পাশাপাশি ফাইনালের আগে ব্যাটিং প্র্যাকটিসটা আরও বেশি করে সেরে নিতে চেয়েছিলেন অনুষ্টুপ। তা বানচাল হওয়াতেই হতাশ তিনি। প্রথম ইনিংসে ১২০ করার পরে দ্বিতীয় ইনিংসে ৮০ রানের ইনিংস সাজালেন সাতটি চার মেরে।
আরও পড়ুন: রঞ্জি সেমিফাইনালে অ্যাডভান্টেজ বাংলা. মধ্যপ্রদেশের চেয়ে ২৭৪ রানের লিড
২৬৮ রানের লিড নিয়ে দ্বিতীয় ইনিংসের শুরু থেকেই চালকের আসনে রয়েছে বাংলা। রঞ্জি ফাইনালের পথ অনেকটা পরিস্কার হলেও প্রতিপক্ষকে এক ইঞ্চি জায়গা ছাড়তে নারাজ লক্ষীরতন শুক্লার ছেলেরা। ইতিমধ্যেই ৫৪৭ রানে এগিয়ে বাংলা। অনুষ্টুপের ৮০ রানের পাশে চমক প্রদীপ্ত প্রামানিক। মধ্যপ্রদেশের বোলারদের শাসন করলেন টপ অর্ডার ব্যাটারদের ঢংয়ে। ঈশান পোড়েলকে নিয়ে ৫৬ রানের জুটি বাংলাকে পৌছে দিল নয় উইকেটে ২৭৯ রানে। প্রদীপ্ত প্রামাণিক মধ্যপ্রদেশ বোলারদের বিরুদ্ধে তিনি অপরাজিত ৬০ রানে। তাঁর ইনিংস সাজানো তিন চার এবং পাঁচটি বিশাল ছক্কায়।
আরও পড়ুন: ভারত-অস্ট্রেলিয়া সিরিজে বড় আপডেট, তৃতীয় ম্যাচের স্টেডিয়াম বদল?
করনলাল এবং অভিমন্যু ঈশ্বরন দ্রুত আউট হয়ে ফিরে যাওয়ার পরে সুদীপ ঘরামি এবং অনুষ্টুপ মজুমদার দলকে শক্ত ভিতের ওপরে দাঁড় করানোর কাজটি সেরে ফেলেন। আবেশ খান, কুমার কার্তেকেয়, সারাংশ জৈন, গৌরব যাদব, অনুভব আগরওয়ালদের হতাশ করে বড় রানের ইনিংস গড়তে থাকেন এই জুটি। ৮৫ রানের পার্টনারশিপ মধ্যপ্রদেশকে আরও ব্যাকফুটে ঠেলে দেয়। সুদীপ ঘরামি ব্যক্তিগত ৪১ রানে ফিরে যাওয়ার পরে অধিনায়ক মনোজ তিওয়ারি যোগ দেন অনুষ্টুপের সঙ্গে। প্রথম ইনিংসের পরে দ্বিতীয় ইনিংসেও মনোজ বড় রান করতে ব্যর্থ। মাত্র ১৫ রান করেই ফিরে যান তিনি। অভিষেক পোড়েল (১) প্রথম ইনিংসে হাফ সেঞ্চুরি করলেও দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যর্থ। শাহবাজ আহমেদ আউট হন ২৯ রান করে। মধ্যপ্রদেশ বোলারদের মধ্যে ৬ উইকেট নিয়ে সবচেয়ে সফল সারাংশ জৈন। ৩ উইকেট পেয়েছেন কুমার কার্তিকেয়।