মোহনবাগানে (Mohun Bagan Super Giant) যোগ দেওয়ার আগে আলোড়ন পড়ে গিয়েছিল আলবেনিয়ার স্ট্রাইকার আর্মান্দো সাদিকুকে (Armando Sadiku) নিয়ে। এবারের আইএসএল বা এএফসি কাপে তাঁর ফর্ম চিন্তায় রেখেছে জুয়ান ফেরান্দোকে। সামনেই রয়েছে জানুয়ারির ট্রান্সফার উইন্ডো। সেখানে কি তাঁকে ছেড়ে দেওয়া হবে? প্রশ্ন তুলেছেন সবুজ-মেরুন সমর্থকদের একাংশ।
সাদিকুকে ছেড়ে দেবে মোহনবাগান?
আইএসএল-এ চার ম্যাচ খেলে মাত্র ১টি গোল করেছেন আলবেনিয়ার স্ট্রাইকার। একটাও অ্যাসিস্ট নেই তাঁর। ৬টা শট নিয়েছেন গোল লক্ষ্য করে। যার মধ্যে তিনটি শট তেকাঠির মধ্যে ছিল। এখনই সাদিকুকে নিয়ে চূড়ান্ত কোনও সিদ্ধান্ত নিচ্ছে না মোহনবাগান সুপার জায়েন্ট। চার ম্যাচ বাকি রয়েছে। শনিবার হায়দরাবাদের বিরুদ্ধে খেলবে মোহনবাগান। বুধবার ওড়িশা এফসি-র বিরুদ্ধে ম্যাচ। ১৫ নভেম্বর নর্থ ইস্ট ইউনাইটেডের বিরুদ্ধে নামবে সবুজ-মেরুন। আর ২৭ ডিসেম্বর কেরল ব্লাস্টার্সের বিরুদ্ধে খেলবে মোহনবাগান। এই ম্যাচগুলিতে সাদিকুর খেলা দেখে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে মোহনবাগান টিম ম্যানেজমেন্ট।
চোট আঘাতে জর্জরিত মোহনবাগান
দারুণ দল গড়েও, চোট সমস্যায় বারেবারে ভুগতে হয়েছে সবুজ-মেরুনকে। দলে নেই দিমিত্রি পেত্রাতোস। আরও কিছুটা সময় লাগবে তাঁর দলে ফিরতে। তারকা স্ট্রাইকার জেসন কামিন্সও একেবারেই ছন্দে নেই। ফলে সমস্যা বেড়েছে বেশ কিছুটা। মোহনবাগান সমর্থকরা কিন্তু ইতিমধ্যেই প্রশ্ন তুলতে শুরু করে দিয়েছেন কোচ জুয়ান ফেরান্দোকে নিয়ে। অন্যদিকে আশিক ক্রুনিয়ান আগে থেকেই চোট পেয়ে গোটা মরশুমের জন্য বাইরে চলে গিয়েছেন। এমন অবস্থায় হায়দরাবাদের বিরুদ্ধে অ্যাওয়ে ম্যাচে নামছে জুয়ানের দল।
রিজার্ভ দল থেকে কারা আসছেন মূল দলে?
মোহনবাগান দল এখন যেন মিনি হাসপাতাল। সেই কারণেই, দলে নেওয়া হচ্ছে রিজার্ভ দল থেকে আট ফুটবলারকে। এমনটাই সূত্রের খবর। আর সেই কারণেই বৃহস্পতিবার কলকাতা লিগের ডার্বিতে খেলতে নামছে না মোহনবাগান। কর্তাদের যুক্তি, কলকাতা লিগের ডার্বি খেলার মতো টিমই নেই তাদের। সেই জন্যই রিজার্ভ দল থেকে ফুটবলারদের নেওয়া হয়েছে। ম্যাচটা যুবভারতীতে হলে তাও বোঝা যেত। ম্যাচ খেলে দল চলে যেতে পারত হায়দরাবাদ। তাও করা হয়নি। নৈহাটিতে খেলে বিমান ধরা সম্ভব নয়।