নো বল বাঁচিয়ে দিল টিম ইন্ডিয়াকে। বলা ভালো অস্ট্রেলিয়ান ক্যাপ্টেন প্যাট কামিন্সই বাঁচিয়ে দিলেন রোহিত শর্মাদের। দ্বিতীয় দিনের পর তৃতীয় দিনেও একই ভুল করে বসেন অজি অধিনায়ক। আউট করলেও নো বল করে বসেন কামিন্স।
একবার নয় দুইবার। দ্বিতীয়দিন অজিঙ্কা রাহানেকে আউট করলেও নো বল হওয়ায় উইকেট পাননি অস্ট্রেলিয়ার অধিনায়ক। তৃতীয় দিন একই ঘটনা ঘটল শার্দুল ঠাকুরের সঙ্গেও। ভারতের ইনিংসের ৫৯.৪ ওভারে কামিন্সের বলে শার্দুলকে এলবিডব্লিউ দেন আম্পায়ার। সময় নষ্ট না করেই শার্দুল রিভিউ নিয়ে নেন। তৃতীয় আম্পায়ার টেলিভিশন রিপ্লে দেখেই নিশ্চিত করেন যে, ওভার-স্টেপ করেছেন কামিন্স। ফলে সেটি নো-বল হয়। এই দৃশ্য যখন স্টেডিয়ামের জায়েন্ট স্ক্রিনে দেখা যায় তখনই দর্শকরা চিৎকার করে ওঠেন। এ যাত্রায় বেঁচে যান শার্দুল। নো-বল না হলে আম্পায়ার্স কলে আউট হতে হতো ঠাকুরকে।
ভারতীয় দলের ২২তম ওভারে রাহানেকে আউট করেন কামিন্স। এ ক্ষেত্রেও এলবিডব্লিউ দেন আম্পায়ার। সেই সময় মাত্র ১৭ রান ব্যাট করছিলেন রাহানে। সেই সময় তাঁকে আউট করতে পারলে আরও বড় বিপদে পড়তে হতে পারত ভারতীয় দলকে।
দ্বিতীয় দিনের ভুলে উইকেট ফিরে পাওয়া রাহানে তৃতীয় দিনে চালিয়ে খেলতে থাকেন লাঞ্চের পরেই ৮৯ রান করে আউট হন তিনি। দারুণ ক্যাচ ধরে তাঁকে আউট করেন ক্যামেরন গ্রিন। এর আগে স্লিপে রাহানের সহজ ক্যাচ ফেললেও এবারে ভুল করলেন না অজি অলরাউন্ডার। পিছিয়ে থাকলেও দারুণ লড়াই করছে ভারতীয় দল। আর সেই লড়াইয়ের মুখ্য কারিগর ভারতের লোয়ার অর্ডার ব্যাটাররা। রবীন্দ্র জাদেজার উইকেটের পর শ্রীকর ভরত দিনের দ্বিতীয় বলেই আউট হন। দারুণ বোলিং করে ভারতের উইকেটকিপার ব্যাটারকে ফেরান স্কট বোল্যান্ড।
এরপর শার্দুল ঠাকুরকে সঙ্গে নিয়ে পাল্টা আক্রমণ করে যেতে থাকেন রাহানে। রাহানে আউট হওয়ার পর উমেশ যাদবের উইকেটও হারায় টিম ইন্ডিয়া। যদিও শার্দুল থামেন ৫১ রান করে। ১৫২ রানে ৬ উইকেট হারিয়ে ফেলা ভারতীয় দলকে লড়াইয়ে রাখেন শার্দুল ও রাহানে। আর এই দুই ব্যাটারকেই আউট করে ফেলেছিলেন কামিন্স। তাই প্রথম ইনিংসের শেষে ২৯৬ রানে শেষ ১৭৩ রানে অস্ট্রেলিয়া এগিয়ে থাকলেও আফশোস করবেন অজি ক্যাপ্টেন।