১৯ নভেম্বর গুজরাতের নরেন্দ্র মোদী স্টেডিয়ামে ক্রিকেট বিশ্বকাপের ফাইনালে মুখোমুখি হবে ভারত ও অস্ট্রেলিয়া। ফাইনাল ম্যাচের ঠিক আগে স্টেডিয়ামের আকাশে প্রতিধ্বনিত হবে ভারতীয় বায়ুসেনার গর্জন। ভারতীয় বায়ুসেনার সূর্যকিরণ দল দুপুর দেড়টার দিকে স্টেডিয়ামের উপরে স্টান্ট করবে। এতে সহায়তা করবে Hawk MK 132 বিমান।
সূর্য কিরণ দল টুইট করে বলেছে যে ইতিহাসে প্রথমবারের মতো এটি ঘটতে চলেছে। তারা অ্যারোবেটিক জেট দিয়ে নরেন্দ্র মোদী স্টেডিয়ামের একটি ভিডিও তৈরি করেছে এবং তা টুইটারে পোস্ট করেছে। আসুন জেনে নেওয়া যাক এই বিমানটির বিশেষত্ব কী।
সূর্য কিরণ মানে সূর্যের কিরণ। এটি ভারতীয় বায়ুসেনার অ্যারোবেটিক দল। এটি ১৯৯৬ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। এটি ৫২তম স্কোয়াড্রনের অংশ। কর্নাটকের বিদার এয়ার ফোর্স স্টেশনে এই দলের পোস্টিং। ২০১১ সাল পর্যন্ত এই দলটির কাছে HAL HJT-16 কিরণ MK2 বিমান ছিল। এখন এটি Hawk Mk-132 হয়ে গেছে।
আসুন জেনে নিই Hawk Mk-132 প্লেনের বিশেষত্ব
এই প্লেনটি তৈরি করেছে ইংল্যান্ডের BAE সিস্টেমস। এ পর্যন্ত ১০০০ টিরও বেশি প্লেন তৈরি করা হয়েছে। বিশ্বের ১৮টি স্থানে এই বিমানগুলো ব্যবহার করা হচ্ছে। এটি প্রশিক্ষণের জন্য এবং প্রয়োজনে যুদ্ধের জন্য ব্যবহার করা যেতে পারে। এটি উড়ানোর জন্য ২ জনের প্রয়োজন। ৪০ ফুটের বেশি ফুট লম্বা একটি বিমানের ডানা ৮৩২.৭ ফুট। এর উচ্চতা ১৩.১ ফুট। টেকঅফের সময় সর্বোচ্চ ওজন ৯১০০ কেজি। এটি Rolls-Royce এর Turbomeca Adore ইঞ্জিন দিয়ে সজ্জিত। যা এটিকে ২৯ কিলোনিউটন শক্তি দেয়।
এটি সর্বোচ্চ ১০২৮ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টা গতিতে উড়ে। এর সর্বোচ্চ পরিসীমা ২৫৫০ কিলোমিটার। এটি আকাশে ৪৪,৫০০ ফুট উচ্চতায় পৌঁছতে পারে। এটি প্রতি সেকেন্ডে ৪৭ মিটার গতিতে উড়ে। এতে অস্ত্র লাগানোর সিস্টেম নেই। তবে প্রয়োজনে এতে ৩০ মিলিমিটার ইডেন কামান বসানো যেতে পারে। এই কামানটি প্রতি মিনিটে ১২০০ থেকে ১৭০০ রাউন্ড বেগে গুলি ছুড়তে পারে। এ ছাড়া এতে পাঁচটি হার্ডপয়েন্ট রয়েছে।
পাঁচটি হার্ডপয়েন্ট মানে এতে এতগুলো অস্ত্র বসানো যাবে। ৪টি AIM-9 Sidewinder বা ASRAAM বা A-Darter মিসাইলের মতো। এগুলো এয়ার টু এয়ার মিসাইল। অথবা দুটি উম্বানি বা আল তারিক মিসাইল লাগানো যাবে। এগুলি ছাড়াও এতে ৬৮০ কেজি ওজনের বোমা রাখা যেতে পারে।