ইতিহাস গড়ল এল সালভাদোর (El Salvador)। বিটকয়েন (Bitcoin)-কে তারা সরকারি মুদ্রা হিসেবে স্বীকৃতি দিল। পৃথিবীর প্রথম কোনও দেশ হিসেবে এমন কাজ করল তারা। মঙ্গলবার সেই সিদ্ধান্ত ঘোষণা করেছে তারা।
এল সালভাদোর সরকার জানাচ্ছে, এই পদক্ষেপের ফলে দেশের অনেক নাগরিক প্রথম বারের জন্য ব্যাঙ্কিং পরিষেবা পাবেন। এর পাশাপাশি ব্যবসা-বাণিজ্যের ক্ষেত্রে ৪০০ মিলিয়ন ডলার বাঁচবে।
বিটকয়েনকে সরকারি ভাবে ব্য়বহার করার জন্য সে দেশে আইন পাশ হয়েছে। এল সালভাদোরের সংসদে জুন মাসে আইন আনা হয়েছে।
এখন সে দেশে সব কিছু বিটকয়েন (Bitcoin)-এর সাহায্য়ে কেনাকাটা যাবে। এল সালভাদোর (El Salvador)-এর রাষ্ট্রপতি নায়িব বুকেলে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে বিলটি পাশ করিয়ে দেন।
এবং তারপর সোমবার বিকেলে তিনি ঘোষণা করেন, এল সালভাদোর তাদের প্রথম ৪০০ বিটকয়েন (Bitcoin) কিনেছে। দু'টি ধাপে সেগুলো কেনা হয়েছে। ২০০টি করে বিটকয়েন কেনা হয়েছে।
সোমবার তিনি টুইট করেন। সেখানে তিনি লিখেছেন, কাল, সারা দুনিয়ার নজর থাকবে এল সালভাদোরের দিকে, এই প্রথম। বিটকয়েন (Bitcoin) এই কাজ করেছ।
দেশে বিটকয়েন (Bitcoin)-এর ব্যবহার আরও বাড়াতে একগুচ্ছ উদ্য়োগ নিচ্ছে সরকার। সেখানে বসানো হবে ২০০ বিটকয়েন টেলার মেশিন।
শুধু তাই নয়, এএফপি জানাচ্ছে, সেগুলির মধ্য়ে কয়েকটির বাইরে রয়েছেন সেনা। যাতে কোনও অপ্রীতিকর ঘটনা না হয়।
এর মাধ্যমে এল সালভাদোর (El Salvador) সরকার দু'টি সমস্য়ার সমাধান করতে চেয়েছে। ওই দুই সমস্যাই আর্থিক। এর মধ্যে একটি হল ক্রিপ্টোকারেন্সির দৌলতে দেশের অনেক মানুষ ব্যাঙ্কিং ব্যবস্থা পাবেন। যা আগে কখনও হয়নি।
আর অন্যটি হল, বিটকয়েন (Bitcoin) যেহেতু বিকেন্দ্রীকৃত, তাই মানুষের কাছে পৌঁছে দিতে কারও ওপর নির্ভর করতে হবে না। ইন্টারনেট রয়েছে এমন যন্ত্রের সাহায্যে এর ফলে যে কেউ এই ব্যবস্থায় অংশ নিতে পারবেন। আরও একটি বড় জিনিস হল, বিটকয়েক (Bitcoin) সেখানকার মানুষকে টাকা লেনদেনের খরচ বাঁচাতে সাহায্য করবে। বিশেষ করে যাঁরা বিদেশে থাকেন।