অস্বস্তি বাড়ছে বলিউড অভিনেত্রী জ্যাকলিন ফার্নান্ডেজের। প্রতারক সুকেশের সঙ্গে তাঁর একটি ঘনিষ্ঠ ছবি এবার চলে এসেছে সাধারণ্যে। ওই ছবিতে জ্যাকলিনের গলার কাছে চুমুর কামড়ের দাগ দেখা যাচ্ছে।
ছবিটি ফাঁস হওয়ার পর বিবৃতি দিয়েছেন জ্যাকলিন। সংবাদ মাধ্যম ও ভক্তদের ছবিটি নেট মাধ্যমে ছড়িয়ে না দেওয়ার আবেদন করেছেন। এই ঘটনায় প্রশ্ন উঠছে, ব্যক্তিগত ফটো বা ভিডিয়ো কীভাবে ফাঁস হয়ে গেল?
কাঠগড়ায় তোলা হচ্ছে মালয়েশিয়ার একটি সফটওয়্যারকে। মালয়েশিয়ার এই সফরওয়্যার অ্যাপের মাধ্যমে ছবি কুক্ষিগত করে নেয়। ফোনে অজানা অ্যাপকে গ্যালারি ব্যবহারের অনুমতি দিলে এই ধরনের বিপত্তি ঘটে। ব্যক্তিগত নানা তথ্য়ও হাতিয়ে নেয় এই ধরনের সফটওয়্যার।
Password Guessing করে সেলিব্রিটিদের ফটো ফাঁস করা সম্ভব। অ্যাকাউন্টের পাসওয়ার্ড জানার জন্য কাজে লাগে সফটওয়্যার। এটা দিয়ে পাসওয়ার্ড ভেঙে ফোনের তথ্য হাতিয়ে নেওয়া যায়।
শুধু অনুমান করে পাসওয়ার্ড জানতে পারে হ্যাকাররা। ব্যক্তির চরিত্র, নাম, পছন্দ ও অপছন্দকে খেলায় রেখে বারবার নানা ধরনের পাসওয়ার্ড প্রয়োগ করা হয়। ভুল হতে হতে ঠিক পাসওয়ার্ড লেগে যায়। এজন্য ফোনে জটিলপাসওয়ার্ড দেওয়ার পরামর্শ দেন বিশেষজ্ঞরা।
ফোন হ্যাক করে তথ্য হাতিয়ে নিতে পারেন পেশাগত হ্যাকাররা। শুধু ফোনই নয়, হ্যাকারদের হাত থেকে নিরাপদ নয় গুগল ফটোজ, গুগল ড্রাইভ ও আইক্লাউডও।
সোশ্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং হাতিয়ারের ব্যবহারও করে হ্যাকাররা। এভাবে ফোন হ্যাক করার দরকার পড়ে না। বরং ভার্চুয়াল দুনিয়ায় হানা দিলেই তথ্য হাতে চলে আসে। আইক্লাউড, ড্রপবক্সে সিঁধ কাটে হ্যাকাররা।
এছাড়া অনেক সময় কাছের লোকের কাছে ফোন থাকে। তারাও ফোন থেকে তথ্য হাতিয়ে নিতে পারে। জ্যাকলিনের ক্ষেত্রেও হয়তো কোনও পরিচিত এই ছবিটি ফাঁস করে দিয়েছে। এজন্য প্রযুক্তির দরকার পড়ে না। আবার হতে পারে সুকেশের ফোন থেকেও ছবিটি ভাইরাল করা হয়েছে।