Maruti Alto No 1 Car In January 2023: হ্যাচব্যাক গাড়ি সব সময়ই নিজের লো-মেনটেনেন্স, ভালো মাইলেজ এবং কম খরচের জন্য লোকেদের মধ্যে বেশি জনপ্রিয় হয়। এটা শুরু থেকেই দেখে আসা গেছে। যদিও বেশ কিছু বছর ধরে হাজব্যাককে করা টক্কর দিচ্ছে suv। হ্যাচব্যাকের আগের চেয়ে চাহিদা কিছুটা কমেছে বটে কিন্তু আজও এন্ট্রি লেভেলের গাড়ির (India's most Selling Entry Level Car) চাহিদা বজায় রয়েছে।
গত জানুয়ারি মাসে মারুতি সুজুকি (Maruti Suzuki) তো আরও একবার ফের বিক্রির ক্ষেত্রে বড় লাফ মেরেছে। গত কিছু মাসে বিক্রির চার্টে নিচে সরে যাওয়ার পর এখন আরও একবার এই এটি টপ পজিশনে চলে এসেছে। মারুতি ওয়াগনার, বালেনো, সুইফট এর মত মডেলকে পেছনে ফেলে এটি দেশের সবচেয়ে বেশি বিক্রি হওয়া গাড়ি হিসেবে নিজের নাম খোদাই করে নিয়েছে।
বিক্রির পরিসংখ্যানের উপর যদি নজর দেওয়া যায় তাহলে দেখা যাবে জানুয়ারি মাসে টপ ফাইভ সূচিতে maruti suzukiর চারটি গাড়ি রয়েছে। যেখানে পাঁচ নম্বর জায়গায় রয়েছে টাটা নেক্সনের (Tata Nexon)। মারুতি সুজুকি সম্প্রতি অলটো (Maruti Suzuki Alto) কে টেনকে বাজারে পেশ করা হয়েছে নতুন আপডেট এবং ফিচারস দেওয়ার পর। তারপরই এই গাড়ির বিক্রি ক্ষেত্রে তরতর করে এগিয়ে গিয়েছে।
বছরের সবচেয়ে প্রথমে প্রথম মাসে মারুতি সুজুকি অল্টো মোট ২১ হাজার ৪১১ ইউনিট বিক্রি হয়েছে। যেখানে গত বছর জানুয়ারি মাসে এটি বিক্রি হয়েছিল মাত্র ১২,৩৪২ ইউনিট। সেই তুলনায় এটি ৭৩ শতাংশ বেশি দামে বিক্রি হয়েছে।
জানুয়ারি মাসে বিক্রি নিরিখে টপ ফাইভ গাড়ি
১. মারুতি অল্টো
২. মারুতি ওয়াগনআর
৩. মারুতি সুইফট
৪. মারুতি বালেনো
৫. টাটা নেক্সন
মোট চারটি রংয়ে অল্টো এখন পাওয়া যাচ্ছে। এটি পাওয়া যাচ্ছে আপটাউন রেড, সিল্কি সিলভার, গ্রেনাইট গ্রে এবং সলিড হোয়াইট কালারে। এই পাওয়া যাচ্ছে এই গাড়ির দাম ৩ লাখ ৫৪ হাজার টাকা থেকে নিয়ে ৫ লাখ ১৩ হাজার টাকার মধ্যে রয়েছে। কোম্পানির দাবি যে এটি পেট্রোল ভেরিয়ান্টে ২২ কিলোমিটার এবং সিএনজি প্রায় ৩১ কিলোমিটার পর্যন্ত যেতে পারে।
Alto কে টেন বেশি পাওয়ারফুল। এই গাড়ি কোম্পানি ১.০ লিটার ক্ষমতা সম্পন্নকে টেন ডুয়েল জেট ইঞ্জিন ভিভিটি ইঞ্জিন ব্যবহার করেছে। যদিও পেট্রোল মোডে ইঞ্জিন ৬৫ এবং ৮৯ এনএস পিক টর্ক জেনারেট করে। যেখানে সিএনজি ভ্যারিয়েন্টে কোম্পানি ম্যানুয়াল ট্রান্সমিশন গিয়ার বক্সের সঙ্গে এটি পেশ করেছে।
জবরদাস্ত মাইলেজ দিচ্ছে এই গাড়ি। রেগুলার পেট্রোল মডেলের তুলনায় সিএনজি ভেরিয়েন্টের দাম প্রায় ১ লাখ টাকা বেশি। পেট্রোল মডেল শুরুর দাম মাত্র ৩ লাখ ৯৯ হাজার টাকা। এর সিএনজি মডেল ভিএক্সআই-এর ওপর বেস করে তৈরি করা হয়েছে এবং পেট্রোল ভেরিয়েন্ট এর দাম ৪ লাখ ৯৯ হাজার টাকা থেকে শুরু হচ্ছে। কোম্পানির দাবি সিএনজি ভেরিয়েন্ট প্রতি কেজি ৩৩.৮৫ কিলোমিটার পর্যন্ত মাইলেজ দিতে পারে।