সোশ্যাল মিডিয়া ও ওটিটি প্ল্যাটফর্মের জন্য নয়া নির্দেশিকা দিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। বৃহস্পতিবার সাংবাদিক বৈঠক করে একথা জানান কেন্দ্রীয় মন্ত্রী প্রকাশ জাভরেকর ও রবিশঙ্কর প্রসাদ। রবিশঙ্কর প্রসাদ বলেন, সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মগুলির ভারতে ব্যবসা করার জন্য সবসময় দরজা খোলা রয়েছে। সরকার এই বিষয়ে আলোচনা করতে প্রস্তূত। তবে সোশ্যাল মিডিয়ায় ভুল ব্যবহারের বিষয়ে একটি ফোরাম থাকা উচিত যেখানে সব অভিযোগ করা যাবে। এই নির্দেশিকা ৩ মাসের মধ্যে কার্যকর করতে হবে।
নয়া গাইডলাইন
রবি শঙ্কর প্রসাদ বলেন,ভারতে হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহারকারীর সংখ্যা ৫৩ কোটি, ফেসবুক ব্যবহারকারী ৪০ কোটিরও বেশি, ইনস্টাগ্রামে ২১ কোটি এবং টুইটারে এক কোটিরও বেশি ব্যবহারকারী রয়েছে। এগুলি ভারতে প্রচুর ব্যবহৃত হয়, ফলে গুরুত্ব সহকারে এগুলো নিয়ে কাজ করা উচিত। সুপ্রিম কোর্ট আগেই অনলাইন প্ল্যাটফর্মের কনটেন্ট নিয়ে একটি গাইডলাইন প্রকাশ করতে বলেছিল। সেই নির্দেশ মোতাবেক কেন্দ্রীয় সরকার এই গাইডলাইন নিয়ে এসেছে।
আরও পড়ুন, নতুন নীতিতে সম্মতি না দিলে ১৫ মে'র পর কী হবে অ্যাকাউন্ট ইনঅ্যাক্টিভ ? জেনে নিন বিস্তারিত
সোশ্যাল মিডিয়ার জন্য নির্দেশিকা
রবিশঙ্কর প্রসাদ ঘোষণা বলেন, সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মে অফিসার মোতায়েন করতে হবে। অভিযোগ পাওয়ার ২৪ ঘন্টার মধ্যে কোনও আপত্তিজনক পোস্ট সরিয়ে ফেলতে হবে। প্ল্যাটফর্মগুলিকে তাদের নোডাল অফিসার, ভারতে রেসিডেন্ট গ্রেভেন অফিসার নিয়োগ করতে হবে। অভিযোগের ভিত্তিতে মোট কতগুলি ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে, তার রিপোর্ট কেন্দ্রীয় সরকারকে দিতে হবে প্রতি মাসে। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বলেন, সোশ্যাল মিডিয়ায় গুজব প্রথমে কে ছড়াচ্ছে, তার বিষয়ে তথ্য দিতে হবে। কারণ, একজনের গুজবের পোস্ট থেকে তা ভাইরাল হয়ে যায়। ভারতের সার্বভৌমত্ব, সুরক্ষা, বৈদেশিক সম্পর্ক, ধর্ষণের মতো গুরুত্বপূর্ণ বিষয় এতে অন্তর্ভুক্ত করা হবে।
ওটিটি প্ল্যাটফর্ম প্ল্যাটফর্মের জন্য নির্দেশিকা
ওটিটি প্ল্যাটফর্ম অর্থাৎ ডিজিটাল মিডিয়া সম্পর্কিত গাইডলাইন প্রকাশ করার সময়ে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী প্রকাশ জাভরেকর বলেন, ইলেক্ট্রনিক মিডিয়াগুলিকে নিয়ম মেনে চলতে হয়। তবে ওটিটি এবং ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মগুলির কোনও নিয়ম নেই। আমরা ওটিটি প্ল্যাটফর্মের জন্য সেলফ রেগুলেশনের কথা বলেছিলাম, কিন্তু এটি করা যায়নি। প্রকাশ জাভরেকর বলেন, ওটিটি প্ল্যাটফর্ম / ডিজিটাল মিডিয়াগুলি তাদের কাজ, কীভাবে কনটেন্ট তৈরি করে সে সম্পর্কে তথ্য দিতে হবে। এর পরে, প্রত্যেককে সেলফ রেগুলেশনের মধ্যে নিয়ে আসা হবে। এর জন্য একটি সংস্থা গঠন করা হবে যা সুপ্রিম কোর্টের অবসরপ্রাপ্ত বিচারক বা অন্য কোনও ব্যক্তির নেতৃত্বে থাকবে। বৈদ্যুতিন মিডিয়াগুলির মতো, ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মগুলিও ভুল সম্প্রচারের জন্য ক্ষমা চাইতে করতে হবে।