ভারতীয় অন্তরীক্ষ অনুসন্ধান সংগঠন (ISRO) চন্দ্রযান ৩ মিশনে চাঁদে পৌঁছে গিয়েছে। পৌঁছে দিয়েছে বিক্রম ল্যান্ডারকে।সেখান থেকে লাগাতার নতুন নতুন খোঁজ এবং তথ্য মিলছে। যাদের জমিতে নতুন নতুন প্রয়োগ করে বিক্রম ল্যান্ডার এখন চাঁদের প্রাকৃতিক কম্পনের বা ভূমিকম্পের গতিবিধি রেকর্ড করেছে।
ইসরো বৃহস্পতিবার সোশ্যাল মিডিয়াতে তথ্য শেয়ার করেছে। যেখানে বলা হয়েছে বিক্রম ল্যান্ডারের উপর এমন উপকরণ লাগানো হয়েছে যা, ভূমিকম্পের গতিবিধির রেকর্ড করতে সক্ষম। এই উপকরণ বৃহস্পতিবার চাঁদের মাটিতে সিসমিক অ্যাকটিভিটির খোঁজ পেয়েছে। আসলে এই উপকরণ চাঁদের মাটিতে হওয়া বিভিন্ন গতিবিধির রেকর্ড করতে সফল হয়েছে।
ইসরো নিজেদের সোশ্যাল মিডিয়াতে জানিয়েছে যে, চাঁদের সিসমিক অ্যাকটিভিটি জানার জন্য পাঠানো প্রথম মাইক্রো ইলেক্ট্রো মেকানিক্যাল সিস্টেম (MEMS) বেসড উপকরণ ইন্সট্রুমেন্ট ফর দ্য লুনার সেসমিক অ্যাক্টিভিটি (ILSA) চাঁদের মাটিতে রোভার এবং অন্য পেলোডের কম্পন রেকর্ড করেছে।
আইএলএসএ চাঁদের কম্পনের খোঁজ দিয়েছে
২৬ আগস্ট এই ঘটনা রেকর্ড করে বিক্রম। যা স্বাভাবিক বলে মনে করা হচ্ছে। যদিও ইসরো এই বিষয়টিও জানিয়েছে যে এই ঘটনা প্রবাহের আরও খোঁজ করা হচ্ছে। ইসরোর বক্তব্য অনুযায়ী আইএলএসএ-এর উদ্দেশ্য, চাঁদের মাটিতে ভূমিকম্প তার প্রভাব এবং কৃত্রিম ঘটনার কারণে ভূমিপৃষ্ঠে হওয়া কম্পন মাপা হয়।
প্লাজমা কণা যাচাই করা হয়েছে
এর আগে ইসরো চাঁদের সাউথ পোলে প্লাজমা পার্টিকেলের বিষয়ে তদন্ত করেছে এবং তার তথ্য দিয়েছে। যখন অন্তরীক্ষ এজেন্সি জানিয়েছে যে, বিক্রম ল্যান্ডারের উপর অন্য উপকরণ রেডিও একাডেমি অফ মুন বাউন্ড হাইপারসেনসিটিভ আয়নোস্ফিয়ার ও অ্যাটমস্ফিয়ারও উপস্থিত রয়েছে। যেটি চাঁদের দক্ষিণ ভূমিতে প্লাজমার খোঁজ চালিয়েছে। ইসরোর দেওয়া পরিসংখ্যানে সংকেত মিলেছে যে, চাঁদের মাটিতে প্লাজমার মাত্রা প্রতাাশার চেয়ে কম।