মালিক ছাড়া এই পিস্তল থেকে আর কেউ ফায়ার করতে পারবে না। কারণ আপনি যখন এটি কিনবেন তখনই আপনার মুখের ছবিতে লক করা হবে। অনেকটাই মোবাইলের মতো। ফেস লক খুললে তবেই চলবে এই পিস্তল। অর্থাৎ বাড়িতে যদি এই পিস্তল থাকে, কেউ এর অপব্যবহার করতে পারবে না।
কেউ যদি আপনার কাছ থেকে এই পিস্তলটি জোর করে ছিনিয়ে নেয়, তবুও সে তা চালাতে পারবে না। তাই এই পিস্তলটির নাম দেওয়া হয়েছে স্মার্ট পিস্তল। এটি বায়োফায়ার টেক নামে কলোরাডো ভিত্তিক একটি সংস্থা তৈরি করেছে। তাদের দাবি, এটি ফেসিয়াল রিকগনিশনে চলে। আমেরিকায় এর বিক্রি শুরু হয়েছে।
এই পিস্তলের পিছনে একটি বিশেষ সেন্সর এবং ক্যামেরা রয়েছে। প্রথমবার যখন আপনি এটি চালান, শুধুমাত্র তখনই এটি আপনার মুখের নীচে ফিড করে। এর পর আর কেউ চালাতে পারবে না। কোম্পানির প্রতিষ্ঠাতা কাই ক্লফফার বলেছেন যে এর সফ্টওয়্যার এবং ইলেকট্রনিক্স অনেকবার পরীক্ষা করা হয়েছে। এটি একটি সম্পূর্ণ সফল এবং নিরাপদ পিস্তল। শুধু তাই নয়, বায়োফায়ার টেকের এই পিস্তলে ফিঙ্গারপ্রিন্ট রিডারও রয়েছে। অর্থাৎ ফেস রিকগনিশন টেকনিক কোনোভাবে ব্যর্থ হলেও আঙুলের ছাপ দিয়েই এটি চালু করা হবে। আঙুলের ছাপ না পাওয়া গেলে এই পিস্তল গুলি করবে না। এর ফলে শিশুদের পিস্তল থেকে গুলি, আত্মহত্যার ঘটনা বন্ধ হবে। এর পাশাপাশি কেউ পুলিশের পিস্তল ছিনিয়ে নিয়ে হামলা করতে পারবে না। এই চুরি করা পিস্তল অকেজো হয়ে যাবে।
এটি একটি ৯ মিমি হ্যান্ডগান। এর প্রি-অর্ডার শুরু হয়ে গেছে। এ বছরের শেষ বা আগামী বছরের দ্বিতীয় প্রান্তিক থেকে মানুষের কাছে ডেলিভারি শুরু হবে। একটি পিস্তলের দাম ১৪৯৯ ডলার। মানে ১.২৩ লক্ষ টাকা। এটি আমেরিকার প্রথম স্মার্ট বন্দুক, যার বিক্রি শুরু হয়েছে। এর আগে ২০১৪ সালে আরমাটিক্স নামের পিস্তলটি বিক্রি করে কয়েকদিন বন্ধ রাখা হয়।
আরও পড়ুন-হোয়াটসঅ্যাপে দেখা যাবে ডিলিট হওয়া মেসেজ, কীভাবে?