scorecardresearch
 

Tata-র লড়াকু গাড়ি নিয়েই দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে জয় পায় মিত্রশক্তি, জানতেন?

Tata Made Car Used In World War II: ১৯৪২ সালে ভারতের জামশেদপুরে Tata-র কারাখানায় তৈর হয়েছিল গাড়ি টাটানগর। টাটার তৈরি এই লড়াকু গাড়ি নিয়েই দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে জয় পেয়েছিল মিত্রশক্তি। জানতেন এই চমকপ্রদ ইতিহাস? আসুন জেনে নিই...

Advertisement
Tata-র তৈরি লড়াকু গাড়ি নিয়েই দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে জয় পেয়েছিল মিত্রশক্তি, জানতেন? Tata-র তৈরি লড়াকু গাড়ি নিয়েই দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে জয় পেয়েছিল মিত্রশক্তি, জানতেন?
হাইলাইটস
  • Tata-র তৈরি লড়াকু গাড়ি ব্যবহার হয় দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে
  • মিত্রশক্তির শক্তি বাড়িয়েছিল টাটার গাড়ি টাটানগর
  • এছাড়াও মিত্রশক্তিকে ইস্পাত সরবরাহ করেছিল টাটা গ্রুপ

Tata Made Car Used In World War II: আত্মনির্ভর ভারত হিসেবে দেশকে গড়ে তুলতে যে সমস্ত কোম্পানির দেশে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে, তার মধ্যে অন্যতম টাটা গ্রুপ। এই কোম্পানির ভারতের ইতিহাসে বহু অবদান রয়েছে। ভারতের একটি স্টিল প্লান্ট থেকে নিয়ে লাক্সারি হোটেল এবং এয়ারলাইন্স, খাদ্য সামগ্রী,পোশাক, গাড়ি কী নেই তাঁদের। সমস্ত ধরনের ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত টাটা গ্রুপ। এক সময়ে এমন ছিল যখন তারা দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের মিত্র দেশের শক্তি হিসেবে উঠে এসেছিল।হাতিয়ার এবং লড়াকু বাহনের ঘাটতি থাকায় মিত্র দেশ ভারতের সাহায্যেই লড়াই চালিয়ে গিয়েছিল। যা তাঁদের জয়ে গুপুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। টাটা গ্রুপ এখানেও নিজের সক্ষমতা ও যোগ্যতা প্রমাণ করে। তাঁদের বৈজ্ঞানিকদের আলাদা আলাদা প্রয়োগ করিয়ে টাটা স্টিলের ১১০ ভ্যারাইটি তৈরি করে। যার মধ্যে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে মিত্র দেশগুলিকে জয়ী করতে তাদের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল।

আরও পড়ুনঃ Xiaomi-র ধামাকা, দীপাবলির আগেই ৮ হাজারের মধ্যে ফোন লঞ্চ Redmi-র

চলুন আগে আমরা আপনাকে জানিয়ে দিই যে মিত্র দেশ এবং অক্ষশক্তি গুলিতে কারা ছিল? যাতে আমাদের পুরো বিষয়টি বুঝতে সুবিধা হয়। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে গোটা পৃথিবীর সমস্ত দেশ দুটো ভাগে ভাগ হয়ে গিয়েছিল। এর মধ্যে ব্রিটেন, আমেরিকা এবং সোভিয়েত রাশিয়ার নেতৃত্বে যে ঘোঁট তৈরি হয়েছিল, তা অ্যালায়েড পাওয়ার বা মিত্র দেশ বলে পরিচিত ছিল। অন্যদিকে দ্বিতীয় গোষ্ঠী এডলফ হিটলারের জার্মানি, বেনিটো মুসোলিনীর ইতালি এবং জাপান ছিল। তাদের অক্ষশক্তি বা এক্সিস পাওয়ার বলা হয়।

টাটানগর

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ ১৯৩৯ সালে শুরু হয়। এডলফ হিটলারের নেতৃত্বে কার্পেট বোম্বিং এর মত পদক্ষেপ ইউরোপে ব্যাপক ধ্বংসলীলা চালায়। যুদ্ধের উন্মাদনা যত বাড়তে থাকে, ইউরোপের হাতিয়ার এবং অন্য অস্ত্রগুলি কম হতে থাকে। তখন প্রতিরক্ষার জন্য স্টিলের ব্যবহার বড় মাত্রায় হচ্ছিল। এই পরিস্থিতিতে ভারত সে সময় সে সময় ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের অন্তর্ভুক্ত ছিল, তখন ভারতের দিকেই স্টিল উৎপাদনের জন্য মুখাপেক্ষী হয়েছিল তারা। ভারতের সবচেয়ে বড় স্টিল কারখানা ওই সময় টাটা গ্রুপের জামশেদপুরে ছিল এবং টাটা স্টিলের ফ্যাক্টরির সমস্ত উৎপাদন দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় মিত্রশক্তির কাজে ব্যবহার হতে থাকে।

Advertisement

টাটা বানায় ১১০ রকমের স্টিল

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের প্রয়োজনীয়তা দেখে টাটা স্টিল আলাদা আলাদা লেভেলে কাজ শুরু করে। টাটা স্টিলের বৈজ্ঞানিকেরা সেই সময়ে গভীর রিসার্চ করে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পাঁচ বছরে মধ্যে ১১০ রকমের স্টিল ভ্যারাইটি তৈরি করে। শুধু তাই নয় ১৯৪২ সালে একটি আলাদা ফ্যাক্টরি তৈরি করতে হয়, সেখানে ১৯৪৩ সালে একটি বেনজল রিকভারি প্ল্যান তৈরি করা হয়। যার মধ্যে টলুইন তৈরি করা হতো। টলুইনের ব্যবহার বিস্ফোরক তৈরিতে ব্যবহার হত।

এরপরে এলো টাটানগর ফাইটার কার

১৯৪১ সালের শেষে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ আরও ভয়ংকর রূপ নেয়। মিত্র দেশের লড়াকু গাড়িগুলি প্রয়োজন ছিল। ফাইটার কার এমন ভাবে তৈরি করা হয় যা গোটা আরমার দিয়ে তৈরি হয়। তখন টাটা গ্রুপ ইন্ডিয়ান গাড়ি তৈরি করেছিল এবং গাড়ির মধ্যে ফোর্ড v8 engine লাগানো হয়। যা ইন্ডিয়ান রেলের তরফে সরবরাহ করা হয়েছিল। এই গাড়ির অফিসিয়াল নাম ছিল ইন্ডিয়ান প্যাটার্ন ক্যারিয়ার। কিন্তু যেহেতু এটি জামশেদপুরের তৈরি হয়েছিল, তাই টাটানগর নাম হয়ে যায়। টাটানগর কার, টাটা স্টিল তৈরি করে। 

আরও পড়ুনঃ ব্লাড প্রেসার কন্ট্রোলে রাখে ৪ ফল, ওষুধ না-ও খেতে হতে পারে

টাটানগর লড়াকু গাড়ি, মিত্রশক্তির ভূমধ্যসাগরের তীরবর্তী দেশ অর্থাৎ আফ্রিকার এলাকায় অক্ষশক্তির বিরুদ্ধে ব্যবহার করা হয়েছিল। টাটার অত্যন্ত প্রশংসা করা হয়েছিল এই কারণে যে, এর অ্যান্টি ট্যাংকক্ষমতা এবং ট্রান্সপোর্টেশন ক্যাপাবিলিটি ছিল হাই। ব্রেইন লাইট মেশিন গান থেকে নিয়ে আরও অস্ত্র শস্ত্র নেওয়া যেত। একবারে তিন থেকে চারজন সৈনিককে ক্যারি করতে পারত। মিত্রশক্তির জন্য এই ছোট লড়াকু কার লড়াইতে খুব গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা গ্রহণ করে।

 

Advertisement