Bike Modification Alert: বাইক-গাড়ি মডিফিকেশনের অভ্যাস আমাদের অনেকেরই আছে। বাইক কিনে তাতে নানা রকমের আলাদা টুলস আমরা লাগিয়ে থাকি। কখনও গতি বাড়ানোর জন্য বা কখনও দেখতে সুন্দর লাগার জন্য। আমরা এই মডিফিকেশন অনেকেই করি। অনেকের নেশা এই নতুন বাইক কিনেই মডিফিকেশনে চলে যান। তার জন্য দেশের প্রত্যেক শহরেই নানা রকম মডিফিকেশন সেন্টার রয়েছে। তাদের ব্যবসাও রমরমিয়ে চলে। সাইলেন্সার থেকে নিয়ে হেডলাইট, সব কিছু বদলানো যায় এবং অনেকেই বদলে থাকেন। কিন্তু বাইক মডিফিকেশন নিয়ে কিছু নতুন নিয়ম সামনে এসেছে যা মোটরসাইকেল মডিফাই করানোর আগে আপনাদের জেনে নেওয়া অত্যন্ত জরুরি। নইলে আপনার বাইক বাজেয়াপ্ত হতে পারে জানতেন কি, না? জানলে জেনে নিন...
বাইক মডিফিকেশনে কি নিয়ম
সবার আগে তো এটা জানা জরুরি যে আপনি আপনার মোটরসাইকেলের মডিফিকেশন করাতে পারবেন কি না। তাহলে এর জবাব হল, যে আপনি বাইকে মামুলি বদল করাতে পারেন। কিন্তু এর জন্য আপনাকে নিজের আঞ্চলিক পরিবহণ কার্যালয়ের অনুমতি নিতে হবে। বাইক মডিফিকেশনের জন্য আপনি ওই সমস্ত পার্ট ব্যবহার করতে পারবেন। যেগুলি অটোমেটিভ রিসার্চ অথরিটি অফ ইন্ডিয়া (ARA) দ্বারা অ্যাপ্রুভ করা হয়।
মোটর ভেহিকেল অ্যাক্ট (MVA) অনুযায়ী ভারতে গাড়ি বাইক মডিফিকেশন বেআইনি। কারণ বাইকের স্ট্রাকচার এবং বডি বদলাতে গেলে তার প্রভাব বা গাড়ির মূল কাঠামোর উপরে পড়ে। যা চালক এবং অন্য যাত্রীদের জন্য প্রমাণিত হতে পারে। তা ছাড়া গাড়ির মূল চেহারা বদলে গেলে গাড়ি বা বাইক আইডেন্টিফাই করাও মুশকিল হতে পারে।
গাড়ি-বাইক মডিফিকেশন নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের রায়
সুপ্রিম কোর্ট দ্বারা ২০১৯ সালে একটি রায় অনুসারে গাড়ির যেমন খুশি মডিফিকেশন করা যাবে না এবং গাড়ি নির্মাতা দ্বারা তৈরি করা মূল গাড়ির ওই ধরনের পার্টসই আপনি বিকল্প হিসেবে ব্যবহার করতে পারবেন। আপনার গাড়ির হেডলাইট খারাপ হলে আপনি ওই কোম্পানির ওই একই জাতীয় গাড়ির হেডলাইট লাগাতে পারবেন। কিন্তু অনেক সময় এই ধরনের আইন মানা হয় না এবং গাড়িকে বা বাইককে মডিফিকেশন করা হয়। কিন্তু তাতে বিপদ হতে পারে।
নিয়ম ভাঙলে হতে পারে জেলও
নিয়ম অনুসারে যদি কেউ নিজের গাড়ির এভাবে মডিফিকেশন করেন, যা নিয়ম বহির্ভূত তাহলে ৫ হাজার টাকা চালান বা ৬ মাসের জেল হতে পারে। যদিও বাইক বা গাড়ির মডিফিকেশনের প্রকারের উপর এটি নির্ভর করে। এছাড়া যদি আপনি আপনার গাড়ি বা বাইক বিনা আরটিও অনুমতি নোটিফিকেশন করে না নেন, তাহলে এটি বিপজ্জনক হতে পারে। ফলে আপনার গাড়ি সিজ করা হতে পারে। যদি আপনি আপনার বাইক বা গাড়ি সাইজ, স্ট্রাকচার, চেসিস, ইঞ্জিন ইত্যাদি বদলাতে চেষ্টা করেন তাহলে আরটিওর অনুমতি লাগবে।
কেমন মডিফিকেশন বৈধ এবং করাতে পারবেন?
ভিএন্ডভি অ্যাসোসিয়েটের বক্তব্য অনুযায়ী আপনারা ২ চাকার বাহনে কিছু মামুলি মডিফিকেশন করতে পারেন। যেমন ভাইজার, সাইলেন্সার, লাইট, চাকা এসব। যা গাড়ির মূল কাঠামোতে কোনও রকম সমস্যা তৈরি হয় না। বা বড় কোন বদল হয় না। এছাড়া আপনি গাড়ির টায়ার বদলানোর সময় কোম্পানির দেওয়া টায়ারের বদলে বাজার চলতি একই ক্যাটাগরির অন্য টায়ারও ব্যবহার করতে পারেন। কিন্তু অনাবশ্যক অতিরিক্ত চওড়া বা পাতলা টায়ার ব্যবহার করতে চাইলে তা নিয়ম বহির্ভুত হবে।
ইঞ্জিনে বদল করতে হলে কি করবেন?
যদি আপনার বাইক বা গাড়ির বর্তমানে ইঞ্জিন খারাপ হয়ে গিয়ে থাকে তাহলে আপনি সেই গাড়ির ইঞ্জিন বদল করবেন। কিন্তু এর জন্য একটা নিয়ম রয়েছে। ইঞ্জিন বদলানোর আগে আপনাকে RTO-র কাছ থেকে নো অবজেকশন সার্টিফিকেট নিতে হবে। এ ছাড়া গাড়ির ইঞ্জিন বদলানোর পর আপনার রেজিস্ট্রেশন করানোর জন্য এপ্লাই করতে হবে, নিয়ম অনুযায়ী পুরনো এবং নতুন দুটি ইঞ্জিনের একই রকমের ফিউল এবং অন্যান্য ফাংশন থাকতে হবে। গাড়ির রং বদলাতে গেলে আপনাকে অনুমতি নিতেই হবে।