বর্ধমানের কাটোয়া-সহ বাংলার বিভিন্ন জেলা থেকে ‘সুখ সাগর’ পেঁয়াজ উঠতে শুরু করায় দাম কমতে শুরু করেছে। বাংলায় উৎপাদিত আর মহারাষ্ট্রের নাসিকের পেঁয়াজের দাম কয়েকদিন যাবৎ কমছে।
রাজ্যে উৎপাদিত আর মহারাষ্ট্র থেকে আমদানি করা পেঁয়াজের দাম কয়েকদিন যাবৎ কমছে। পেঁয়াজের দাম কমার প্রবনতা এখন বজায় থাকবে বলেই মনে করছেন কৃষি বিপণন বিশেষজ্ঞরা।
দিন কয়েক আগেও নাসিক থেকে আসা পেঁয়াজের পাইকারি দাম কেজিতে ৪০ টাকার আশপাশে ঘোরাফেরা করছিল। এখন সেই পেঁয়াজই কেজিতে ২০-২২ টাকায় নেমে এসেছে।
রাজ্যের ‘সুখ সাগর’ পেঁয়াজের ব্যাপক উৎপাদন আর জোগানের ফলে ক্রমশ দাম কমছে রাঙা শস্যের! রাজ্যে উৎপাদিত পেঁয়াজ, যা পাইকারি বাজারে ৩০-৩৫ টাকার আশপাশে ছিল, তা এখন ১৯-২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
স্থানীয় খুচরো বাজারে পেঁয়াজ এখন ৩০ টাকার আশপাশে বিক্রি হচ্ছে। খুচরো বাজারে মহারাষ্ট্রের পেঁয়াজের দামও ৩৫-৪০ টাকা মধ্যেই রয়েছে। রাজ্যে পেঁয়াজের ব্যাপক ফলনের জেরে মহারাষ্ট্র থেকে আমদানির প্রয়োজন কমবে।
রাজ্যের নিত্যপ্রয়োজনীয় খাদ্যসামগ্রীর টাস্ক ফোর্সের এক কর্তার কথায়, এ বছর রাজ্যে বাম্পার ফলন হয়েছে পেঁয়াজের! কিছু দিনের মধ্যে খুচরো বাজারে পেঁয়াজের দাম ২০ টাকায় নেমে আসতে পারে।
ব্যাপক ফলনের জেরে এ বছর পেঁয়াজের দাম অনেকটাই কমতে পারে বলেই মনে করছেন কৃষি বিপণন বিশেষজ্ঞরা। আগামী জুন মাস পর্যন্ত স্থানীয় পেঁয়াজ বাজার চাহিদার বেশিরভাগটাই মেটাবে বলে আশা করা হচ্ছে।
রাজ্যে পেঁয়াজের ব্যাপক উৎপাদন আর জোগানের ফলে মহারাষ্ট্র থেকে এর আমদানি কমবে। তাই বাজার ধরে রাখতে প্রতি বছরের মতো এ বারও অনেকটা দাম কমতে পারে নাসিকের পেঁয়াজের।