নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম ক্রমাগত বেড়ে চলেছে। কমছে না পেট্রোল-ডিজেলের দামও। এবার বাড়ল ডিমের দামও। ফলে বাড়ির বাচ্চা থেকে বুড়োর জরুরি শারীরিক খোরাক জোটাতে চিন্তা বাড়ল নিম্নবিত্ত ও মধ্যবিত্ত পরিবারে।
অগ্নিমুল্য পেট্রোল-ডিজেল পণ্য পরিবহণের খরচের বোঝা বাড়িয়েছে বহুগুণ। ফলে সবকিছুর সঙ্গে তাল মিলিয়ে ফের সামান্য বাড়ল মুরগির ডিমের দাম।
ওয়েস্ট বেঙ্গল পোল্ট্রি ফেডারেশন (WBPF) ব্রয়লার প্রস্তাবিত হার অনুযায়ী, সোমবার (২৭ জুন) এক পিস মুরগির ডিমের দাম ৫ টাকা ৯০ পয়সা হয়ে গিয়েছে। চলতি মাসে এই নিয়ে তৃতীয়বার বাড়ল ডিমের দাম।
জুন মাসের শুরুতে ৫ টাকা ২৫ পয়সা পিস হিসাবে বিক্রি হওয়া মুরগির ডিমের দাম এখন বাড়তে বাড়তে ৫ টাকা ৯০ পয়সা হয়ে গিয়েছে। অর্থাৎ, এক মাসেরও কম সময়ের মধ্যে একজোড়া ডিমের দাম প্রায় দেড় টাকা বেড়ে গিয়েছে।
জুন মাসের শুরু সাড়ে ১০ টাকা থেকে ১১ টাকা জোড়া বিক্রি হওয়া মুরগির ডিম এখন কোথাও ১২ টাকা, কোথাও সাড়ে ১২ টাকা জোড়া হিসাবে কিনতে হচ্ছে খুচরো বিক্রেতাদের কাছ থেকে।
মে মাসের শেষ থেকে ১৬০-১৬৫ টাকায় বিক্রি হওয়া এক ট্রে (৩০টি ডিম) মুরগির ডিমের দাম বেড়ে এখন ১৭৫-১৮০ টাকা হয়ে গিয়েছে। অর্থাৎ, এক মাসেরও কম সময়ে ডিমের দাম প্রায় ১০-১২ শতাংশ বেড়ে গিয়েছে।
গত দেড় বছরে পেট্রোল-ডিজেলের দাম অনেকটাই বেড়ে গিয়েছে। বিগত মাস চার-পাঁচেক ধরে রাজ্যে পেট্রোলের লিটার প্রতি দর ১০০ টাকার উপরেই রয়ে গিয়েছে। ডিজেলের দামও প্রায় একশো ছুঁই ছুঁই।
আকাশছোঁয়া জ্বালানির দর, মুদ্রাস্ফীতির ধাক্কায় নামমাত্র লাভ রেখেও একেকটা মুরগির ডিম ৬ টাকার কমে দেওয়া যাচ্ছে না। এদিকে মাছ, মাংস, শাক-সবজি, দুধের পর ডিমের দামও বাড়তে থাকায় সমস্যায় পড়েছেন আম জনতা।
মুদ্রাস্ফীতির ধাক্কা সামলে পোল্ট্রির ডিম আর মুরগির কারবার এখন টিকিয়ে রাখাটাই এখন একটা বড় চ্যালেঞ্জ। এদিকে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম ক্রমাগত বেড়ে চলায় সাধারণ মানুষের দু’বেলা, দু’মুঠো জোটাতেও হিমশিম খেতে হচ্ছে।