কিছু বাড়তি সুবিধা, সামান্য বাড়তি সুদের আকর্ষণে অনেকেই একাধিক ব্যাঙ্কে অ্যাকাউন্ট খুলে ফেলেন। কিন্তু সবকটি অ্যাকাউন্টে নিয়মিত লেনদেন চালানো সম্ভব হয়ে ওঠে না। আর এখানেই হয় সমস্যা।
সামান্য বাড়তি সুদের আকর্ষণে নতুন ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট খুলে তো ফেললেন, কিন্তু হিসেব করে দেখা যায়, বাড়তি সুদ তো দূর, একাধিক ব্যাঙ্কে অ্যাকাউন্ট থাকার ফলে উল্টে আপনার সঞ্চয়ের ক্ষতি হচ্ছে। কী ভাবে? চলুন বুঝে নেওয়া যাক...
বহুদিন ধরে অব্যবহৃত ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট ডর্ম্যাট অ্যাকাউন্ট-এ পরিণত হয়। এছাড়া অনেক ব্যাঙ্কেই সার্ভিস চার্জ দিতে হয়। এমন পরিস্থিতিতে কোনও লেনদেন বা পরিষেবা না নিয়েই মোটা অঙ্কের সার্ভিস চার্জ গুণতে হতে পারে।
কোনও ব্যাঙ্কে একটা সময় স্যালারি অ্যাকাউন্ট ছিল, কিন্তু সংস্থা বদলে ফেলায় সেটির প্রয়োজন ফুরিয়েছে। এই অবস্থায় ওই অ্যাকাউন্টে তিন মাস কোনও স্যালারি ক্রেডিট না হলে, ওই অ্যাকাউন্ট সেভিংস অ্যাকাউন্টে পরিণত হয়। এর ফলে বদলে যায় অ্যাকাউন্টের নিয়মও।
অনেক সময় এই ভাবে স্যালারি অ্যাকাউন্ট থেকে সেভিংসে পরিণত হওয়া অ্যাকাউন্টে ন্যূনতম ব্যালেন্স বজায় না রাখার কারণে জরিমানা বাবদ টাকা কেটে নেওয়া হতে পারে। ফলে এই ধরনের স্যালারি অ্যাকাউন্ট প্রয়োজন ফুরালে ব্যাঙ্কের সঙ্গে যোগাযোগ করে বন্ধ করে দেওয়াই ভাল।
অনেক সময় একাধিক ব্যাঙ্কে অ্যাকাউন্ট থাকার ফলে তার মধ্যে কোনওটি খেয়াল না থাকার কারণে নিষ্ক্রিয় হয়ে যেতে পারে। এই ধরনের একাধিক নিষ্ক্রিয় ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট আপনার ক্রেডিট স্কোরের উপর বিরুপ প্রভাব ফেলে।
মনে রাখবেন, অ্যাকাউন্টে ন্যূনতম ব্যালেন্স বজায় না রাখার কারণে শুধু জরিমানাই নয়, ক্ষতিগ্রস্থ হয় ক্রেডিট স্কোরও! একাধিক নিষ্ক্রিয় ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টও ক্রেডিট স্কোর কমিয়ে দিতে পারে। ফলে ভবিষ্যতে প্রয়োজনে ঋণ পেতে সমস্যা হতে পারে।
যদি আপনার একাধিক ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের মধ্যে যে কোনও একটি বা দু’টি বন্ধ করতে চান, তাহলে তার জন্য ডি-লিঙ্ক ফর্ম পূরণ করতে হবে। অ্যাকাউন্ট ক্লোজের ফর্ম ব্যাঙ্ক শাখা থেকে সংগ্রহ করে ফর্মটিতে অ্যাকাউন্টটি বন্ধ করার কারণ জানাতে হবে।