দেশের করোনা মহামারী পরিস্থিতি এখন অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে। বাংলাতেও নিয়ন্ত্রণেই রয়েছে করোনা আক্রান্ত্রের সংখ্যা। তবে মহামারীর চেয়েও মুদ্রাস্ফীতির ঠেলায় নাভিশ্বাস উঠছে আম জনতার।
পেট্রোল-ডিজেলের আকাশছোঁয়া দামের বোঝায় দেশজুড়ে বেড়েছে পণ্য পরিবহণের খরচ। ফলে বেড়েছে শাক-সবজি থেকে যাবতীয় নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রির দাম। মুদ্রাস্ফীতির প্রভাবে মে মাসের মাঝামাঝি বেড়ে গিয়েছিল ডিমের দামও।
এক ট্রে (৩০টি ডিম) মুরগির ডিমের দাম ১৪০-১৪৫ টাকা থেকে বেড়ে ১৭০ টাকা হয়ে যায়। দাম বেড়ে ১২ টাকা জোড়া হয়ে গিয়েছিল খুচরো ডিমের দাম! অবশেষে সেই দাম বেশ কিছুটা কমেছে।
ওয়েস্ট বেঙ্গল পোল্ট্রি ফেডারেশন (WBPF) ব্রয়লার প্রস্তাবিত হার অনুযায়ী, বর্তমানে ডিমের দাম প্রায় ১০-১২ শতাংশ কমেছে। একেকটা ডিমের দাম এখন ৬ টাকা থেকে কমে ৫ টাকা ২৫ পয়সা হয়েছে।
অর্থাৎ, এক জোড়া ডিম এখন ১২ টাকার পরিবর্তে সাড়ে ১০ টাকায় কেনা যাবে। খুচরো ডিমের পাশাপাশি এক ট্রে (৩০টি ডিম) মুরগির ডিমের দাম এখন ১৭০ টাকা থেকে কমে ১৫০-১৫৫ টাকায় মিলছে।
এর আগে ডিমের দাম বৃদ্ধির কারণ হিসাবে ওয়েস্ট বেঙ্গল পোল্ট্রি ফেডারেশন (WEST BENGAL POULTRY FEDERATION)-এর সাধারণ সম্পাদক মদন মোহন মাইতি জানিয়েছিলেন যে, জ্বালানির আকাশছোঁয়া দাম, মুদ্রাস্ফীতি, পাম তেলের আমদানিতে নিষেধাজ্ঞা— এ সবকিছুর প্রভাবে গত দু’বছরে ডিমের উৎপাদন খরচ প্রায় ৮৫ শতাংশ বেড়ে গিয়েছে।
সে সময় ডিমের দাম কবে কমতে পারে জানতে চাওয়ায় মদনমোহন বাবু জানান, পেট্রোল-ডিজেল আর তৈলবীজের দাম কমলেই ডিমের দামও কিছুটা কমে যাবে। আর হলও ঠিক তেমনটাই। কেন্দ্র সরকার ২১ মে আবগারি শুল্ক কমানোয় পেট্রোল লিটারে ৮ টাকা, ডিজেল ৬ টাকা করে সস্তা হয়েছে।