আবারও একবার সরকারি সার্বভৌম গোল্ড বন্ডে (Government Sovereign Gold Bond) বিনিয়োগের সুযোগ। ১২ থেকে ১৬ জুলাই পর্যন্ত মিলছে এই সুযোগ। ২০২১-২২ অর্থবর্ষে সার্বভৌম গোল্ড বন্ডের এটা চতুর্থ কিস্তি। এর আগে মে মাসে এই সুযোগ পেয়েছিলেন বিনিয়োগকারীরা।
প্রতি গ্রাম সোনার মূল্য
এবার সার্বভৌম গোল্ড বন্ড যোজনা ২০২১-২২-এর জন্য ইস্যু প্রাইস প্রতিগ্রাম ৪,৮০৭ টাকা রাখা হয়েছে। তবে যদি অনলাইনে বা ডিজিটালি পেমেন্ট কর হয়, তবে প্রতি গ্রাম ৫০ টাকা করে অতিরিক্ত ছাড় পাবেন বিনিয়োগকারী। সেইসমস্ত বিনিয়োগকারীদের জন্য একগ্রাম সোনার দাম পড়বে ৪,৭৫৭ টাকা।
সার্বভৌম গোল্ড বন্ডের সূত্রপাত
২০১৫ সালে সার্বভৌম গোল্ড বন্ডে বিনিয়োগের বিকল্প আসে। এটি আরবিআই জারি করে। সার্বভৌম গোল্ড বন্ডে কমপক্ষে ১ গ্রাম সোনা কিনতে হয়। আর তা কিনতে হয় অনলাইনে বা নগদে। এর ম্যাচুরিটি হয় ৮ বছরে। তবে ৫ বছর পরেও এর থেকে বেরিয়া আসার ব্যবস্থা রয়েছে।
সার্বভৌম গোল্ড বন্ডের সুবিধা
যদি এর সুবিধার দিকে নজর রাখা যায় তবে দেখা যাবে, এতে বছরে ২.৫ শতাংশ সুদ পাওয়া যায়। সাধারণ মানুষের জন্য গোল্ড বন্ডে নূন্যতম ১ গ্রাম সোনা এবং সবচেয়ে বেশি ৪ কিলোগ্রাম বিনিয়োগ করার সুযোগ রয়েছে। পাশাপাশি হিন্দু একান্নবর্তী পরিবারের জন্য ৪ কিলোগ্রাম এবং ট্রাস্টের জন্য ২০ কিলো বিনিয়োগের সুযোগ রয়েছে। গত কয়েক বছরে, এর প্রতি জনগণের আগ্রহও দ্রুত বৃদ্ধি পেয়েছে।
সার্বভৌম গোল্ড বন্ডের উদ্দেশ্যই হল সোনার চাহিদা হ্রাস করা, অর্থাৎ মানুষ যাতে গহনার পরিবর্তে সোনার বন্ড কেনেন সেই দিকটি দেখা। এটা ম্যানেজ করাও যথেষ্ট সুবিধাজনক ও নিরাপদ। সরকারি সার্বভৌম গোল্ড বন্ডের দাম বাজারে সোনার মূল্যের চেয়ে কম হয়।
এতে কোনও প্রকার জালিয়াতি এবং অসতর্কতার সম্ভাবনা নেই। এটি ৮ বছর পর ম্যাচিওর হয়। অর্থাৎ ৮ বছর পর এর থেকে অর্থ পাওয়া যেতে পারে। এছাড়া ৫ বছর পরেও এর থেকে বেরোন যায়।
সোনার দাম বাড়লেই বিনিয়োগকারীদের সুবিধা হয়। এটা বন্ড পেপার ও ইলেকট্রনিক ফর্মাটে থাকে, তাই লকারে রাখার খরচও নেই। এই সোনা ব্যাঙ্ক, ডাকঘর, এনএসই ও বিএসই ছাড়া স্টক হোল্ডিং কর্পোরেশন অফ ইন্ডিয়া লিমিটেডের মাধ্যমেও বিক্রি করা যায়।
এক্ষেত্রে প্রাথমিক বিনিয়োগে প্রতি বছর ২.৫০ শতাংশ সুদ পাওয়া যায়। সেটি বিনিয়োগকারীর অ্যাকাউন্টে অর্ধ-বার্ষিকী রূপে জমা করা হয়। সার্বভৌম গোল্ড বন্ডে টিডিএস লাগু নয়।