সোয়াইন ফ্লু, গ্যাস্ট্রোএন্ট্রাইটিসের মতো রোগ ভাইরাস বা ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণের ফলে ছড়ায়। করোনাভাইরাসের ক্ষেত্রেও তাই। এই জীবাণু মূলত ছড়ায় আমাদের হাত থেকেই। বিশেষজ্ঞদের মতে, এই সব জীবানু ১০০ শতাংশ নির্মূল করার ক্ষমতা নেই হ্যান্ড স্যানিটাইজারের। এ ক্ষেত্রে সাবান দিয়ে ভাল করে হাত, মুখ ধোয়াটাই বুদ্ধিমানের কাজ।
হ্যান্ড স্যানিটাইজারের অ্যালকোহল এবং ক্লোরেক্সিডিনঅনেক সময় ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়ার পাশাপাশি উপকারী ব্যাকটেরিয়াদেরও মেরে ফেলে। ফলে অনেক ক্ষেত্রেই ত্বকের ক্ষতির আশঙ্কা বেড়ে যায়।
কোনও সাবানে বা হ্যান্ড স্যানিটাইজারের মধ্যে ক্লোরেক্সিডিন নামের একটি অ্যান্টিসেপটিক ও অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল উপাদান থাকে। এই ক্লোরেক্সিডিন ওই সাবানে বা হ্যান্ড স্যানিটাইজারের মধ্যে ৪ শতাংশের বেশি থাকলেই ত্বকের সমস্যা হতে পারে।
খেলাধুলোর পর শিশুদের মুখ, হাত-পা সাবান দিয়েই ভাল করে ধোয়া উচিৎ। এ সব ক্ষেত্রে হ্যান্ড স্যানিটাইজার খুব একটা কার্যকর নয়। তাছাড়া হ্যান্ড স্যানিটাইজারে থাকা অ্যালকোহলের প্রভাবে শিশুদের কোমল ত্বকের ক্ষতি হতে পারে।
অধিকাংশ হ্যান্ড স্যানিটাইজারে রয়েছে ‘সিন্থেটিক ফ্রেগরেন্স’ বা কৃত্রিম সুগন্ধি যার রাসায়নিক উপাদান শরীরে সঠিক পরিমাণে হরমোন উৎপাদনে বাধা সৃষ্টি করে বা শরীরের বিভিন্ন হরমোনের ভারসাম্য নষ্ট করে দিতে পারে।
অধিকাংশ হ্যান্ড স্যানিটাইজারে মূল উপাদান হল অ্যালকোহল যা ত্বককে জীবানুমুক্ত করতে সাহায্য করে। কিন্তু এই অ্যালকোহলের প্রভাবেই ত্বকের স্বাভাবিক আর্দ্রতা নষ্ট হয়। ফলে ত্বক রুক্ষ, শুষ্ক হয়ে পড়ে। তাই যেখানে হাতের কাছে জল নেই, একমাত্র সে ক্ষেত্রেই হ্যান্ড স্যানিটাইজার ব্যবহার করা যেতে পারে। এ ছাড়া সব সময় হাত জীবানু মুক্ত করতে সাবান ব্যবহার করাই ভাল।