বর্তমানে ধীরে ধীরে জনপ্রিয়তা বাড়ছে ব্যাটারি ও সিএনজি গাড়ির। তবুও এখনও বেশিরভাগ গাড়িই চলে পেট্রোল (How To Reduce Petrol Consumption In Car) বা ডিজেল। কিন্তু পেট্রোল বা ডিজেলর দাম বিগত প্রায় বছরখানেক সময় ধরে যে জায়গায় পৌঁছেছে, তাতে বাজেটে টান পড়েছে প্রায় প্রত্যেক চালকের। তবে কিছু উপায় আছে, যা অনুসরণ করলে, পেট্রোল ডিজেলের খবর কমিয়ে বাঁচানো যায় টাকা।
সিগন্যালে বন্ধ রাখুন ইঞ্জিন - রাস্তায়, বিশেষত শহরাঞ্চলে গাড়ি চালানোর সময় ট্রাফিক সিগন্যালে গাড়ি থেমে যাওয়ার ঘটনা প্রায়শই ঘটে। অনেক সিগন্যালে এক মিনিট বা তারও বেশি সময় ধরেও দাঁড়াতে হয়। সেই সময়টায় গাড়ির ইঞ্জিন বন্ধ রাখুন। তাতে ফুয়েল খরচ বাঁচবে। কমবে খরচও।
সর্বদা গাড়ি চালান নিয়ন্ত্রিত গতিতে - গাড়ি চালানোর সময়, কখনওই হঠাৎ করে গাড়ির গতি খুব কম বা বেশি করে ফেলবেন না। তাতে ইঞ্জিনের ওপরে চাপ পড়ে ও ফুয়েল খরচও বাড়ে। বরং রাস্তার সিগন্যালগুলি আগে থেকে দেখে রাখুন, যাতে গাড়ির গতি একটা নির্দিষ্ট মাত্রায় রাখা যায়। এতে দীর্ঘমেয়াদিভাবে জ্বালানির খরচ কমবে।
চাকার এয়ার প্রেশার - গাড়ির তেল বেশি খরচের আরও একটি বড় কারণ হল চাকার এয়ার প্রেশার। গাড়ির টায়ারে প্রেশার কম থাকলে সেগুলি মসৃণভাবে রাস্তায় চলতে পারে না। ফলে ইঞ্জিনের ওপর চাপ বাড়ে ও তেল বেশি খরচ হয় (How To Reduce Fuel Consumption In A Bike)। তাই গাড়ি চালালে নির্দিষ্ট সময় অন্তর চাকার এয়ার প্রেশার পরীক্ষা করতে ভুলবেন না।
আরও পড়ুন - ডায়াবেটিস-স্থূলতা-ক্যান্সার, লাল রঙের এই ফল, করবে কামাল
হালকা ওজনের গাড়ি - ভেহিকেল প্রস্তুতকারী সংস্থাগুলি সবসময় নিরাপত্তাকে অক্ষুন্ন রেখে গাড়িকে হালকা বানানোর চেষ্টা করেন। কারণ গাড়ি হালকা হলে ইঞ্জিনে চাপ কম পড়ে ও তেলও কম খরচ হয়। আর সেই কারণে একই ইঞ্জিনের একটি হালকা গাড়ির চেয়ে একটি ভারী গাড়ি তেল বেশি 'খায়'। এছাড়া গাড়িতে অপ্রয়োজনীয় সামগ্রিও রাখবেন না। তাতেও গাড়ির ওজন বাড়ে, ফলে ফুয়েল খরচ বাড়ে।
এয়ার ফিল্টার চেক করুন - গাড়ির তেলের খরচ বাড়ার আরও একটি কারণ হল অপরিষ্কার এয়ার ফিল্টার। কারণ এয়ার ফিল্টার পরিষ্কার না থাকলে বাতাস চলাচল বাধাপ্রাপ্ত হয়। যার ফলে ইঞ্জিনের কর্মক্ষমতা কমে যায় ও ফুয়েল খরচ বেড়ে যায়।