গত অর্থবর্ষে চাকরি পেয়েছেন এ রাজ্যের প্রায় ৩ লক্ষ যুবক-যুবতী। গত অর্থবর্ষে বাংলায় প্রতি মাসে গড়ে ২৩ হাজার ৫০০ জনের চাকরি হয়েছে। এই তথ্য উঠে এসেছে কেন্দ্রীয় সরকারের শ্রমমন্ত্রকের অধীনস্ত এমপ্লয়িজ প্রভিডেন্ট ফান্ড অর্গানাইজেশনের দেওয়া হিসাব থেকে।
এ বছরেও করোনা পরিস্থিতির মধ্যেই কর্মসংস্থানের সুযোগ রয়েছে রাজ্যের মানুষের কাছে। যেমন, ২,৫০০ শূন্যপদে নিয়োগের ছাড়পত্র পেয়েছে কলকাতা পুলিশ। সম্প্রতি এই বিপুল সংখ্যক কর্মী নিয়োগে অনুমোদন দিয়েছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মন্ত্রিসভা।
চলতি সপ্তাহের শুরুতেই স্বরাষ্ট্র দপ্তরের পক্ষ থেকে নিয়োগের ছাড়পত্র পাঠানো হয়েছে লালবাজারে। সূত্রের খবর, এ মাসেই কর্মী নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু করবে পশ্চিমবঙ্গ পুলিস রিক্রুটমেন্ট বোর্ড। কারণ, কলকাতা পুলিস রিক্রুটমেন্ট বোর্ড ২০১৮ সালেই ভেঙে দেওয়া হয়। সেই থেকেই রাজ্য এবং কলকাতা পুলিসের সাধারণ এবং সশস্ত্র বাহিনীর সাধারণ এবং সশস্ত্র বাহিনীর সাব-ইনস্পেক্টর এবং সার্জেন্ট নিয়োগের দায়িত্বে রয়েছে পশ্চিমবঙ্গ পুলিস রিক্রুটমেন্ট বোর্ড।
মোট ২,৫০০ শূন্যপদের মধ্যে কলকাতা পুলিসের কনস্টেবল ও লেডি কনস্টেবল পদে ১,৮০০টি আসন রয়েছে। এছাড়াও, সার্জেন্ট ও সাব ইনসপেক্টরের পদে ৭০০টি আসন খালি রয়েছে। এই আড়াই হাজার পদেই এ মাসের মধ্যে কর্মী নিয়োগ করা হবে বলে জানা গিয়েছে।
রাজ্য সরকারের হিসাব অনুযায়ী, বিগত ১০ বছরে অনেকটাই বেড়েছে রাজ্য পুলিসের কর্মীর সংখ্যা। এই ১০ বছরে নিয়োগ হয়েছে প্রায় ১ লক্ষ ৮০ হাজার পুলিস কর্মী। এ বারের নিয়োগের ক্ষেত্রে kprb.kolkatapolice.gov.in ওয়েবসাইটে নজর রাখতে হবে।
কলকাতা পুলিসের কনস্টেবল, লেডি কনস্টেবল সার্জেন্ট ও সাব ইনসপেক্টরের পদে নিযুক্তদের মাসিক বেতন ৫,৪০০ টাকা থেকে ২৫,২০০ টাকা। এর সঙ্গে গ্রেড পে বাবদ অতিরিক্ত ২,৬০০ টাকা মিলবে।
লিখিত পরীক্ষা, দৌড়, শারীরিক পরীক্ষা, ইন্টারভিউ ইত্যাদি পর্যায় পেরিয়ে সফল প্রার্থীদের উল্লেখিত ২,৫০০ শূন্যপদে নিয়োগ করা হবে। লিখিত পরীক্ষার অ্যাডমিট কার্ড অনলাইনে কলকাতা পুলিশের অফিসিয়াল ওয়েবসাইট থেকে পাওয়া যাবে।
আবেদনের ফি বাবদ ১৫০ টাকা দিতে হবে। এই ফি অলাইনে ডেবিট কার্ড, ক্রেডিট কার্ড বা নেট ব্যাঙ্কিংয়ের মাধ্যমে দেওয়া যাবে। তবে সংরক্ষিত শ্রেণির প্রার্থীদের আবেদনের ফি বাবদ ৫০ টাকা দিতে হবে।