শুধু পেট্রল-ডিজেলই নয়, ভোজ্য তেলের দাম কমাতে কেন্দ্রীয় সরকার বড় পদক্ষেপ নিয়েছে। সরকারের সিদ্ধান্তের ফলে উৎসবের মরসুমে মানুষ মূল্যস্ফীতি থেকে কিছুটা স্বস্তি পেতে পারেন।
কেন্দ্রীয় সরকার আগামী ৬ মাসের জন্য অপরিশোধিত সয়াবিন এবং সূর্যমুখী তেলের আমদানি শুল্ক বাতিল করেছে। অপরিশোধিত পাম তেলের কৃষি সেচ ২০ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৭.৫ শতাংশ করা হয়েছে। অপরিশোধিত সয়া ও সূর্যমুখীর উপর সেস কমিয়ে ৫ শতাংশ করা হয়েছে।
কেন্দ্রীয় পরোক্ষ কর ও কাস্টমস বোর্ড (CBIC) এক বিজ্ঞপ্তিতে বলেছে যে শুল্ক কমানোর এই সিদ্ধান্ত ১৪ অক্টোবর থেকে কার্যকর হবে এবং ৩১ মার্চ, ২০২২ পর্যন্ত প্রযোজ্য হবে। অর্থাৎ, আগামী বছরের ৩১ মার্চ পর্যন্ত তাদের উপর কোন আমদানি শুল্ক থাকবে না। তবে পরিশোধিত সয়া তেল এবং সূর্যমুখী তেলের ওপর আমদানি শুল্ক আরোপ করা অব্যাহত থাকবে।
আমদানি শুল্ক কমানোর সিদ্ধান্ত
এই হ্রাসের পরে, অপরিশোধিত পাম তালের উপর৮.২৫ শতাংশ, সয়াবিনের উপর ৫.৫ শতাংশ এবং সূর্যমুখী তেলের উপর ৫.৫ শতাংশ শুল্ক কার্যকর থাকবে। সরকারি ঘোষণা অনুযায়ী, শুধুমাত্র অশোধিত পাম তেল এখন ৭.৫ শতাংশ কৃষি অবকাঠামো উন্নয়ন উপকর (AIDC) আকর্ষণ হবে, অন্যদিকে অপরিশোধিত সয়াবিন তেল এবং অপরিশোধিত সূর্যমুখী তেলের জন্য এই হার হবে ৫ শতাংশ।
এছাড়াও, সূর্যমুখী, সয়াবিন, পামোলিন এবং পাম অয়েলের পরিশোধিত তেলে আমদানি শুল্ক ৩২.৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ১৭.৫ শতাংশ করা হয়েছে। সরকারের এই সিদ্ধান্ত আগামী দিনে ভোজ্যতেলকে সস্তা করবে।
দেশীয় বাজারে সর্ষের তেলের দাম আকাশ ছোঁয়া হয়ে যাওয়ার পর অগাস্ট থেকে অপরিশোধিত সর্ষের তেল আমদানি শুরু হয় এবং গত দুই মাসে৩২,৫০০ টন তেল আমদানি করা হয়েছে। সলভেন্ট এক্সট্রাকটরস অ্যাসোসিয়েশন অফ ইন্ডিয়া (SEAO) এর নির্বাহী পরিচালক বিভি মেহতা বলেন, অভ্যন্তরীণ বাজারে খুচরো মূল্য বৃদ্ধির কারণে উৎসবের মরসুমে সরকার ভোজ্য তেলের আমদানি শুল্ক হ্রাস করেছে।
SEAO এর মতে, অগাস্টে ১২,৪৩৭ টন অপরিশোধিত সর্ষের তেল এবং সেপ্টেম্বরে ২০,২১৫ টন সর্ষের তেল আমদানি করা হয়েছিল। শুধু তাই নয়, দেশীয় চাহিদা মেটাতে আগামী দুই থেকে তিন মাসের মধ্যে অপরিশোধিত সর্ষের তেলের আমদানি বাড়তে পারে। SEAO-এর মতে, গত মাসে ১৬.৯৮ লক্ষ টন ভোজ্য তেল বিদেশ থেকে আমদানি করা হয়েছিল, যা এক মাসে সর্বোচ্চ আমদানি ছিল। এর আগে ২০১৫ সালের অক্টোবরে ১৬.৫১ লক্ষ টন ভোজ্য তেল আমদানি করা হয়েছিল।