স্বাস্থ্য ব্যবস্থার পাশাপাশি করোনার কোপে বিশ্বব্যাপী অর্থনীতিও বিপর্যস্ত! সাধারণ মানুষের শুধু পকেটেই নয়, সঞ্চয়েও টান পড়েছে। এই পরিস্থিতিতে স্বল্প সঞ্চয় প্রকল্পগুলি সাধারণ মানুষের সঞ্চয় রক্ষার ক্ষেত্রে অন্যতম ভরসার আধারে পরিনত হয়েছে।
কেন্দ্রীয় সরকারি স্বল্প সঞ্চয় প্রকল্পগুলি থেকে এখনও যথেষ্ট ভাল রিটার্ন পাওয়া যায়। পাশাপাশি টাকা মার যাওয়ার তেমন কোনও আশঙ্কা নেই! Post Office-এর মাধ্যমেও এমনই বেশ কয়েকটি স্বল্প সঞ্চয় প্রকল্প বিনিয়োগের সুযোগ রয়েছে।
কেন্দ্রীয় সরকারি মদতপুষ্ট Post Office-এর স্বল্প সঞ্চয় প্রকল্পগুলির অন্যতম হল জাতীয় সঞ্চয়পত্র (NSC), কিষাণ বিকাশ পত্র ইত্যাদি। যেমন, জাতীয় সঞ্চয়পত্র (NSC)-এ ১০০০ টাকা থেকেও বিনিয়োগ করা যেতে পারে। এই প্রকল্পে ৫ বছরে ৬.৮ শতাংশ সুদও পাওয়া যায়।
এ বার আলোচনা করা যাক কিষাণ বিকাশ পত্রের (Kisan Vikas Patra) মতো জনপ্রিয়, লাভজনক এবং সুরক্ষিত স্বল্প সঞ্চয় প্রকল্পের বিষয়ে। এই প্রকল্পে ১০০ বা তার গুনিতকে বিনিয়োগ করা যায়।
কিষাণ বিকাশ পত্রের (Kisan Vikas Patra) বর্তমানে বার্ষিক সুদের পরিমাণ ৬.৯ শতাংশ। তবে এই স্বল্প সঞ্চয় প্রকল্পের টাকা পাওয়া যাবে বন্ডের মেয়াদ সম্পূর্ণ হওয়ার পরেই।
দীর্ঘদিন ধরে আম জনতার কাছে জনপ্রিয় স্বল্প সঞ্চয় প্রকল্প কিষাণ বিকাশ পত্রে (Kisan Vikas Patra) বিনিয়োগের মোট ১২৪ মাস পর, অর্থাৎ ১০ বছর ৪ মাসের মধ্যে এই বন্ডে বিনিয়োগের পরিমাণ বেড়ে প্রায় দ্বিগুণ হয়।
ন্যূনতম ১৮ বছর বা তার বেশি বয়সী যে কোনও ভারতীয় কিষাণ বিকাশ পত্রের (Kisan Vikas Patra) সার্টিফিকেট কিনতে পারেন। এই বিনিয়োগের ক্ষেত্রে বয়সের কোনও ঊর্ধ্বসীমা নেই। তবে নাবালকের নামে সার্টিফিকেট কিনতে কোনও প্রপ্তবয়স্ক ব্যক্তিকেই দায়িত্ব নিতে হবে।
কিষাণ বিকাশ পত্রের (Kisan Vikas Patra) বিনিয়োগের নির্দিষ্ট সময়ের পর দুর্দান্ত রিটার্ন সুনিশ্চিত! এই স্বল্প সঞ্চয় প্রকল্পে ন্যুনতম ১,০০০ টাকার বিনিয়োগে যে কেউ সার্টিফিকেট কিনতে পারেন। তবে ৫০,০০০ টাকার বেশি বিনিয়োগের ক্ষেত্রে PAN কার্ডের তথ্য দেওয়া বাধ্যতামূলক।