Poverty in India: অতিমারীর জেরে দেশের দারিদ্র দ্বিগুণ! আতঙ্ক বাড়াচ্ছে করোনার দ্বিতীয় তরঙ্গ

করোনার ফলে বিশ্বের অনেক দেশেরই অর্থনীতি বিপর্যস্ত! ভারতের অর্থনীতিতেও করোনা মহামারির ব্যাপক প্রভাব প্রড়েছে। চলতি অর্থবর্ষে কাজ হারিয়েছেন বহু মানুষ।

সংসার চালাতে পেশা পরিবর্তন করতে বাধ্য হয়েছেন হাজার হাজার মানুষ। দেশের লক্ষ লক্ষ মানুষের সঞ্চয় তলানিতে এসে ঠেকেছে। করোনার জেরে দেশে যে আর্থিক মন্দা দেখা দিয়েছে, তার প্রভাবে বেড়েছে ভারতের বেকারত্বের হার!

গত অক্টোবর মাস থেকেই দেশের বেকারত্বের হার বাড়তে শুরু করেছে। এমনই তথ্য উঠে এসেছে অর্থনৈতিক গবেষণা সংস্থা ‘সেন্টার ফর মনিটরিং ইন্ডিয়ান ইকোনমি’র (CMIE) পরিসংখ্যানে।

শুধু বেকারত্বই নয়, দীর্ঘমেয়াদী অতিমারী আর লকডাউনের জেরে দেশের দারিদ্র দ্বিগুণ হয়েছে! ২০২০ সালের শেষে একটি রিপোর্টে এমনই আশঙ্কা প্রকাশ করেছিল বিশ্ব ব্যাঙ্ক।

গত বছরের করোনা পরবর্তী বিভিন্ন রিপোর্টে একাধিক আশঙ্কার কথা উঠে এসেছিল রাষ্ট্রপুঞ্জ, বিশ্ব ব্যাঙ্ক-সহ বেশ কয়েকটি আন্তর্জাতিক সংস্থার রিপোর্টে। ওই রিপোর্টে দক্ষিণ এশিয়ার অধিকাংশ দেশে দারিদ্র বৃদ্ধির আশঙ্কা করা হয়েছে।

মূলত, দীর্ঘমেয়াদী অতিমারী আর লকডাউনের জেরে বড়, মাঝারি আর ছোট শহর বা মফস্বল অঞ্চলে কাজ বন্ধ হওয়ায় অধিকাংশ পরিযায়ী শ্রমিকদেরই বাধ্য হয়ে কাজ হারিয়ে গ্রামে ফিরতে হয়।

২০১১ সালের পরে দেশের দারিদ্র সংখ্যা নিয়ে কোনও সরকারি তথ্য নেই। তবে রাষ্ট্রপুঞ্জের প্রকাশিত ২০১৯ সালের অনুমান অনুযায়ী, দেশের দারিদ্রসীমার নীচে বসবাসকারী মানুষের সংখ্যা ৩৬৪ মিলিয়ন (৩৬.৪ কোটি) যা ভারতের জনসংখ্যার প্রায় ২৮ শতাংশ।

দেশজুড়ে শুরু হয়েছে করোনার দ্বিতীয় তরঙ্গ, যা ক্রমশ ভয়াবহ আকার নিচ্ছে! গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে ৩ লক্ষেরও বেশি মানুষ করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। মৃত্যু হয়েছে ২,১০০ জনের।

করোনার দ্বিতীয় তরঙ্গের ধাক্কায় ভারতের দারিদ্র নিয়ে আশঙ্কা আরও বেড়েছে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক অর্থনৈতিক গবেষণা সংস্থার রিপোর্টে। যেমন, জাপানের আর্থিক পরিষেবা সংস্থা Nomura-র রিপোর্টে করোনার প্রভাবে দেশের ক্ষুদ্র শিল্পের মারাত্মক বিপর্যয়ের আশঙ্কা করা হয়েছে।