বাড়ল খুচরো মুদ্রাস্ফীতির হার। খাদ্যপণ্যের মূল্যবৃদ্ধির জেরে মার্চ মাসে খুচরো মুদ্রাস্ফীতির হার বেড়ে হয়েছে ৫.৫২ শতাংশ। সোমবার এমনই রিপোর্ট প্রকাশ করেছে কেন্দ্র সরকার।
ফেব্রুয়ারিতে এই হার ছিল ৫.০৩ শতাংশ। কেন্দ্রের রিপোর্টে জানানো হয়েছে যে, মার্চে খাদ্যদ্রব্যের দাম বেড়েছে ৪.৯৪ শতাংশ, যেখানে ফেব্রুয়ারি মাসে এর দাম বেড়েছিল ৩.৮৭ শতাংশ।
রিজার্ভ ব্যাঙ্কের পূর্বাভাস অনুযায়ী, গত অর্থবর্ষের শেষ কোয়ার্টারে (জানুয়ারি থেকে মার্চ) খুচরো মুদ্রাস্ফীতি ৫ শতাংশ হবে। ২০২১-২০২২ অর্থবর্ষের প্রথম দুই কোয়ার্টারে তা বেড়ে হবে ৫.২ শতাংশ।
তেল, গ্যাস ও বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধির প্রভাব পড়ল এ বার পাইকারি মুদ্রাস্ফীতিতে। বিশেষজ্ঞদের অনুমান, এর ফলে আগামী কয়েক মাসে খাদ্যপণ্যের দাম বাড়বে।
পেট্রোল-ডিজেলের দাম উর্ধ্বমুখী। তার সঙ্গে তাল মিলিয়ে বাড়ছে রান্নার গ্যাসের দাম। যার সরাসরি প্রভাব পড়েছে পাইকারি মুদ্রাস্ফীতিতেও। সব মিলিয়ে নাজেহাল মধ্যবিত্তের জীবন।
বিগত তিন মাসে ১২৫ টাকা বেড়েছে রান্নার গ্যাসের দাম! সোমবার শিল্প ও বাণিজ্যমন্ত্রক জানিয়েছে, খাদ্যদ্রব্যের দাম কমলেও জ্বালানির মূল্যবৃদ্ধির জেরেই এই পাইকারি মুদ্রাস্ফীতি।
শুধু পেট্রোল-ডিজেল বা রান্নার গ্যাসের দামই নয়, বিগত এক বছরের পরিসংখ্যান লক্ষ্য করলে বুঝবেন, ভোজ্যতেলের দামও দেখতে দেখতে ৫০ শতাংশ পর্যন্ত বেড়ে গিয়েছে। উপভোক্তা বিষয়ক মন্ত্রকের ওয়েবসাইটে দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, বাদাম তেলের দাম প্রায় ৫০ শতাংশ বেড়েছে।
তেল, গ্যাস ও বিদ্যুতের মুদ্রাস্ফীতির হার ফেব্রুয়ারি মাসে ছিল ৩.৫৩ শতাংশ যা মার্চে বেড়ে ৪.৫ শতাংশে পৌঁছেছে। মাছ মাংসের ক্ষেত্রে এই মুদ্রাস্ফীতির হার ১৫.৯ শতাংশ।