জুলাই মাসে মোট ৯ বার বেড়েছে পেট্রোলের দাম আর ৫ বার ডিজেলের দাম বেড়েছে! একশো টাকা পার করা পেট্রোল আর একশো ছুঁই ছুঁই ডিজেলের দামে রীতিমতো নাভিশ্বাস উঠছে আম জনতার। কিন্তু তেমন কোনও বিকল্প ব্যবস্থা না থাকায় হাত পুড়িয়েই গাড়িতে তেল ভরতে হচ্ছে সাধারণ মানুষকে।
কিন্তু এ বার দাম দিয়েও পেট্রোল-ডিজেল পাওয়া যাবে কিনা, তা নিয়ে আশঙ্কা তৈরি হচ্ছে রাজ্যজুড়ে। কারণ, বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই রাজ্যে পেট্রোল, ডিজেল সরবরাহ বন্ধ করে দিয়েছে তেল ট্যঙ্কারগুলি। পরিবহণ খরচ কমানো, চুক্তিভুক্ত গাড়িকে বসিয়ে দেওয়া ইত্যাদির প্রতিবাদে ধর্মঘট শুরু করেছে ট্যাঙ্কার মালিকদের সংগঠন।
দাবি পূরণ না হলে এই ধর্মঘট অনির্দিষ্টকাল ব্যাপী চলবে বলেও হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে ট্যাঙ্কার মালিকদের সংগঠনের পক্ষ থেকে। এই ধর্মঘটের জেরেই গতকাল থেকে টান পড়তে শুরু করেছে একাধিক তেলের পাম্পে।
মোট ১৯৬টি চুক্তিবদ্ধ ট্যাঙ্কারের সাহায্যে রাজ্যজুড়ে পেট্রোল-ডিজেল সরবরাহ করা হয়। এই ট্যাঙ্কারগুলি ১২ হাজার লিটার ধারণ ক্ষমতা সম্পন্ন। ডিপো থেকে ৮০ কিলোমিটারের মধ্যে থাকা পাম্পগুলিতে তেল সরবরাহের জন্য ট্যাঙ্কারগুলির ভাড়া ছিল ২৮০০ টাকা, নতুন টেন্ডারে যা কমিয়ে ২১০০ টাকা করা হয়েছে। এর পাশাপাশি ৬০টি চুক্তিবদ্ধ ট্যাঙ্কারকে বসিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে দাবি ট্যাঙ্কার মালিকদের সংগঠনের।
উল্লেখিত দুই ইস্যুকে কেন্দ্র করে ওয়েস্ট বেঙ্গল ট্যাঙ্কার অ্যাসোসিয়েশনের ডাকে ইন্ডিয়ান অয়েলের নতুন টেন্ডারের বিরোধিতায় অনির্দিষ্টকাল ব্যাপী ধর্মঘট শুরু করেছে। ট্যাঙ্কারের ধর্মঘটে কলকাতা, হাওড়া, উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা এবং নদীয়ার একাংশে গতকাল সকাল থেকেই বন্ধ হয়ে গিয়েছে তেল সরবরাহ।
গতকাল সন্ধ্যায় দু’পক্ষের মধ্যে নতুন টেন্ডারকে কেন্দ্র করে বৈঠক হলেও কোনও সমাধানসূত্র মেলেনি বলেই জানা গিয়েছে। মৌড়িগ্রামের ডিপো থেকে হাওড়া, কলকাতা ও সংলগ্ন জেলাগুলিতে ইন্ডিয়ান অয়েল এবং হিন্দুস্থান পেট্রলিয়ামের পাম্পে তেল পৌঁছায় মোট ১৯৬টি চুক্তিবদ্ধ ট্যাঙ্কার। ট্যাঙ্কার ধর্মঘট চলতে থাকলে দু’-এক দিনের মধ্যেই রাজ্যের বেশ কয়েকটি জেলায় পেট্রোল-ডিজেলের ঘাটতি চরম আকার নেবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।