টাইফয়েডের জ্বর ‘সালমোনেলা টাইফি’ নামের এক ধরনের ব্যাকটিরিয়ার সংক্রমণের ফলে হয়। এই ব্যাকটিরিয়ার সংক্রমণের ফলে শরীরের রক্তাল্পতার মতো সমস্যার সৃষ্টি করে এবং আমাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে নষ্ট করে দেয়।
টাইফয়েডের ফলে লিভারের ক্রিয়াকলাপ বিঘ্নিত হয়। এর ফলে বাড়তে থাকে শরীরের তাপমাত্রা, অনেক সময় ডায়রিয়ার মতো সমস্যাও দেখা দেয়। টাইফয়েডে চিকিৎসকরা রোগীকে একটি নির্দিষ্ট ডায়েট (টাইফয়েডের জন্য বিশেষ ডায়েট) অনুসরণ করার পরামর্শ দেন। চলুন এই বিশেষ ডায়েট সম্পর্কে সবিস্তারে জেনে নেওয়া যাক...
টাইফয়েডে আক্রান্ত রোগীর শরীরে তরল বা জলের অভাব লক্ষ্য করা যায়। এই সময় অনেক রোগীর মধ্যে ডায়রিয়ার মতো সমস্যা দেখা দেয়, বাড়তে থাকে শরীরের তাপমাত্রা। ফলে এই সময় চিকিৎসকরা রোগীকে বেশি করে জল খেতে বলেন। এই পরিস্থিতিতে ডাবের জল রোগীর শরীরের জন্য খুবই উপকারী!
টাইফয়েডে আক্রান্ত রোগীকে দ্রুত সুস্থ করে তুলতে প্রয়োজন কার্বোহাইড্রেট জাতিয় খাবার-দাবার। টাইফয়েডে শরীর বেশি পরিমাণে কার্বোহাইড্রেট জাতিয় খাবার খেলে রোগীর সেগুলি হজম করতে কোনও সমস্যা হয় না, শরীর তার প্রয়োজনীয় পুষ্টিও পায়। সিদ্ধ আলু, ভাত রোগীর পেট ভরাতে আর শরীরের পুষ্টি জোগাতে সাহায্য করে। এগুলি হজমও হয়ে যায় সহজেই।
শুকনো আঙুর টাইফয়েডের পর শরীর স্বাস্থ্য দ্রুত পুনরুদ্ধারে অত্যন্ত কার্যকরী! এটি ইউনানি ওষুধ হিসাবেও প্রয়োগ করা হয়। টাইফয়েডে শুকনো আঙুর সন্ধক নুন মাখিয়ে খেতে পারেন। প্রচণ্ড জ্বরেও চার-পাঁচটি শুকনো আঙুর ভিজিয়ে খাওয়া যেতে পারে। রোগীর শরীরের জন্য খুবই উপকারী!
টাইফয়েডে আক্রান্ত রোগীর দুগ্ধজাত খাবার-দাবার খাওয়ালে শারীরিক দুর্বলতা দ্রুত কেটে যায়। শরীরকে শক্তি দিতে রোগীকে টক দই, ছানার মতো দুগ্ধজাতিয় দেওয়া যেতে পারে। এতে রোগীর শরীর তার প্রয়োজনীয় পুষ্টি পাবে।
টাইফয়েডে আক্রান্ত রোগীর স্বাস্থ্য দ্রুত পুনরুদ্ধারের জন্য উচ্চ ক্যালরিযুক্ত খাবার-দাবার খাওয়া অত্যন্ত জরুরি! টাইফয়েডে চিকিৎসকরা রোগীকে উচ্চ ক্যালরিযুক্ত খাবার খাওয়ার পরামর্শ দেন। আসলে এই জ্বরে একজনের শরীর খুবই দুর্বল হয়ে যায় এবং ধীরে ধীরে রোগীর ওজনও কমতে শুরু করে। এমন পরিস্থিতিতে উচ্চ ক্যালরিযুক্ত খাবার-দাবারগুলি শরীরে শক্তি যোগাতে সাহায্য করে। কলা, মিষ্টি আলু বা পিনাট বাটারের মতো খাবার রোগীকে খাওয়ানো যেতে পারে।