সম্প্রতি বেশ কয়েকটি আইপিও-তে টাকা খাটিয়ে ভাল রিটার্ন পাননি বিনিয়োগকারীরা। বিশেষ করে নতুন জমানার টেক সংস্থাগুলিকে নিরাশ করেছে। অন্যদিকে এমনও কয়েকটি স্টক রয়েছে যেগুলি বাজারে সদ্য এসেছে, কিন্তু স্বল্প সময়ে রিটার্ন দিয়েছে দুর্দান্ত। এর মধ্যে অন্যতম আইটি সংস্থা হ্যাপিয়েস্ট মাইন্ডস। শেয়ার বাজারে আইপিও খোলার দিনই বিনিয়োগকারীদের লগ্নির অর্থ দ্বিগুণ করে দিয়েছে। সেই থেকে ৫৭৫ শতাংশ বেড়েছে এই স্টক।
২০২০ সালের সেপ্টেম্বরে বাজারে এসেছিল হ্যাপিয়েস্ট মাইন্ডসের আইপিও। এই আইপিও-র প্রাইস ব্যান্ড ছিল ১৬৫-১৬৬ টাকা প্রতি শেয়ার। আইপিও-র মাধ্যমে ৭০২.০২ কোটি টাকা তোলার পরিকল্পনা করেছিল সংস্থা। হটকেকের মতো বিকিয়ে যায় আইপিও। ২০২০-র ১৭ সেপ্টেম্বর আইপিও-টি বিএসই (BSE) এবং এনএসই (NSE)-তে খোলে। ১০০ শতাংশের বেশি বাম্পার প্রিমিয়াম পেয়েছিলেন বিনিয়োগকারীরা। দিনের দিন টাকা ডবল। বিএসই-তে ৩৫১ টাকা এবং এনএসই-তে ৩৫০ টাকায় খুলেছিল স্টক।
প্রতি লটের মূল্য ১ লক্ষের বেশি
শুক্রবার এনএসই-তে এই স্টক ১,১২২ টাকায় বন্ধ হয়েছে। আইপিও-র প্রাইস ব্যান্ডের তুলনায় আজ এই স্টক হিমালয়সম। গত দেড় বছরে দারুণ রিটার্ন দিয়েছে। এখন পর্যন্ত প্রায় ৫৭৫ শতাংশ বেড়েছে হ্যাপিয়েস্ট মাইন্ডস। কোনও বিনিয়োগকারী এই আইপিওতে একটি লটও কিনে রাখলে তিনি আজ লাখপতি। এটির একটি লট মূল্য ছিল ১৪,৯৪০ টাকা। সেই লগ্নি আজকের দিনে ১ লক্ষ টাকার বেশি হয়ে গিয়েছে। আইপিও বাজারে আসার পরও যদি কেউ বিনিয়োগ করে থাকেন তিনিও ৩ গুণ রিটার্ন পাচ্ছেন।
আরও পড়ুন- একবছরে এই ২৩ শেয়ারে মালামাল, কারও কামাই কোটি তো কারও লক্ষ!
গত ১ বছরে বাম্পার রিটার্ন
একটা সময় এই স্টক চলে গিয়েছিল ১৪২২ টাকায়। গত কয়েক মাস ধরে আইটি শেয়ারে ভাটার প্রভাব পড়ে এই স্টকেও। কয়েক মাসে ২১ শতাংশ দাম কমেছে। গত ১ মাসে বাজারে পতন হলেও ১৫ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে এই শেয়ার। আর একবছরের সময় ধরে ১১৫ শতাংশ বেড়েছে। অর্থাৎ একবছরে বিনিয়োগের অর্থ দ্বিগুণ করে দিয়েছে এই তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থা।
সতর্কীকরণ- শেয়ারে বিনিয়োগ ঝুঁকিবহুল। বিনিয়োগ করার আগে খুঁটিয়ে পড়ে নিন। পরামর্শ নিন বিশেষজ্ঞের।
আরও পড়ুন- এক বছরেই টাকা ডবল রাকেশ ঝুনঝুনওয়ালার এই শেয়ারে, এখনও বিনিয়োগে লাভ