Sariya Rate Today: বাড়ি বানানোর সুবর্ণ সুযোগ, রডের দাম এখন সবচেয়ে সস্তা

দেশে বর্ষার মরশুম শুরু হয়ে গিয়েছে এবং এর সোজা প্রভাব পড়ছে জনজীবনে। আসলে বর্ষার সময়ে কনস্ট্রাকশন সেক্টরে সবচেয়ে বেশি প্রভাব পড়ে। বর্ষার সময় চলে এলে কনস্ট্রাকশনের কিছু জিনিসের দাম কমতে থাকে। যেমন বালি, সিমেন্ট এগুলি। আবার কিছু জিনিসের দাম বাড়তে থাকে। অন্যদিকে এর আগের মাসে দাম কম হওয়ার কারণে বাজারে কিছু জিনিসের ভালো ডিমান্ড দেখতে পাওয়া যায়। আরও একবার এর কনস্ট্রাকশনের জিনিসের দাম খুব দ্রুত নামতে শুরু করেছে। গত এক মাস থেকে দেশের বিভিন্ন শহরে জিনিসপত্রের দাম ৪৫০০ টাকা প্রতি টন বেড়েছে। যদিও এখনও পর্যন্ত খুব কম দামে রড, সিমেন্ট এবং ইট পাওয়া যাচ্ছে।

বর্ষার সময় দাম বাড়ে

বর্ষার সময়ে প্রত্যেকবার বাড়ির তৈরির নির্মাণ সামগ্রীর দাম বাড়ে। এ বছর মার্চ এপ্রিল মাসে হাই লেভেলে ছিল। এরপর লোহার রড, সিমেন্ট এর মত সামগ্রীর দাম খুব দ্রুত কমে যায়। বিশেষ করে রডের রেট জুন মাসের প্রথম সপ্তাহে লাগাতার কমেছে। রডের দাম প্রায় আগের মাস থেকে অর্ধেক হয়ে গিয়েছে। জুন মাসে বর্ষার সময় এদের দাম বাড়তে শুরু করেছে। এরপরে রডের মূল্য খুব দ্রুত উপরে চলে এসেছে কিন্তু এখনও পর্যন্ত আপনার কাছে সস্তায় রড কেনার সুযোগ রয়েছে।

রড কেনার সুবর্ন সুযোগ

জুনের প্রথম সপ্তাহের পরে লাগাতার গতি দেখা দিয়েছে। মার্চ মাসে কিছু জায়গায় ডের দাম ৮৫ হাজার টাকা টন পৌঁছে গিয়েছিল সেখানে এখনও পর্যন্ত আলাদা আলাদা করে ৪৯ হাজার থেকে ৬০ হাজার টাকা প্রতি টন হিসেবে এটি পাওয়া যাচ্ছে। জুন মাসের আগের সপ্তাহে এটি কম হয়ে ৪৪ হাজার টাকা পৌঁছে গিয়েছিল। ব্র্যান্ডেড রডের দাম কম হয়ে মাসের শুরুতে ৮০-৮৫ হাজার টাকা প্রতি টন হয়ে গিয়েছিল। যেখানে মার্চ ২০২২-এ ১ লাখ টাকা প্রতি টন পৌঁছে গিয়েছিল এর দাম।

কত দামে কোথায় পাবেন রড

এখন আপনার শহরের একই দাম রয়েছে। ভারতের বিভিন্ন শহরে রডের আলাদা আলাদা রেট রয়েছে। আয়রন মার্ট ওয়েবসাইট দামের কমবেশি উপর নজর রাখে এবং এর আধারে দামের আপডেট করে দেয়। গত মাসে মুম্বাই একমাত্র এমন শহর ছিল যেখানে সস্তা হয়েছে রড। মুম্বইয়ের গত জুন মাসের রড ৪০০ টাকা প্রতি দিন কম হয়েছে। সেখানে অন্যদিকে অন্য শহরে এক হাজার ১০০০ থেকে ৪৫০০ টাকা প্রতি টন পর্যন্ত দাম বেড়েছে।

দেখুন বিভিন্ন শহরে দাম কী রয়েছে? সমস্ত দাম প্রতি টানে

                              ৪ জুন                                        ৪ জুলাই

দুর্গাপুর              ৪৫ হাজার ৩০০                              ৪৯ হাজার

কলকাতা           ৪৫ হাজার ৮০০                              ৪৯ হাজার ৫০০

রায়গড়              ৪৮ হাজার ৭০০                              ৫২ হাজার ৪০০

রাউরকেলা         ৫০ হাজার                                      ৫৩ হাজার

নাগপুর              ৫১ হাজার                                       ৫৪ হাজার ২০০

হায়দ্রাবাদ          ৫২ হাজার                                       ৫৬ হাজার

জয়পুর              ৫২ হাজার ২০০                              ৫৫ হাজার ৭০০

ভাবনগর           ৫২ হাজার ৭০০                               ৫৬ হাজার

মুজাফফর নগর ৫২ হাজার                                      ৫৫ হাজার

গাজিয়াবাদ         ৫৩ হাজার                                     ৫৫ হাজার ৮০০

ইন্দোর                ৫৩ হাজার ৫০০                            ৫৫ হাজার ৩০০

গোয়া                  ৫৩হাজার ৮০০                             ৫৭ হাজার

চেন্নাই                 ৫৫ হাজার                                    ৫৮ হাজার

দিল্লি                   ৫৫ হাজার                                    ৫৬ হাজার ৯০০

মুম্বই                   ৫৫ হাজার ২০০                            ৫৪ হাজার ৮০০

কানপুর               ৫৭ হাজার                                    ৫৯ হাজার