Business Tips: পৃথিবীতে অনেক ব্যবসা আছে। কোনো কোনো ব্যবসায় অধিক পুঁজি বিনিয়োগ করে বিপুল মুনাফা অর্জিত হয়, আবার কোনো ব্যবসায় অল্প পরিসরে পুঁজি বিনিয়োগ করে মুনাফা অর্জন করা যায়। চলুন আজ আমরা এমনি একটি স্বল্প পুঁজির ব্যবসা সম্পর্কে কথা জানব, যা সহজেই শুরু করা যায় এবং যেখানে প্রতিদিন হাজার হাজার টাকার ব্যবসা করা যায়।
ফুচকার ব্যবসা
আজ আমরা পানিপুরি বা ফুচকরা ব্যবসা সম্পর্কে কথা বলব। ফুচকা এমন একটি জিনিস যা প্রত্যেক ভারতীয় পছন্দ করে এবং এর স্টলগুলিও প্রতিটি ভিড়ের জায়গায় পাওয়া যায়। এমন পরিস্থিতিতে, আপনি যদি ছোট পরিসরে একটি ব্যবসা শুরু করতে চান, তাহলে ফুচকার ব্যবসাও একটি ভাল বিকল্প হতে পারে।
স্ট্রিট ফুড
ফুচকা বা পানিপুরি বা গোলগাপ্পা ভারতের একটি প্রিয় স্ট্রিট ফুড, তাই এর গ্রাহকদের অভাব হবে না। তবে ফুচকার ব্যবসার ক্ষেত্রে কিছু বিষয় অবশ্যই মাথায় রাখতে হবে, তবেই ব্যবসা সফল হওয়ার এবং মুনাফা অর্জনের সম্ভাবনা বাড়ে। আপনি যদি ফুচকার স্টল খুলতে চান, তবে মনে রাখবেন যে আপনি ফুচকাতে ব্যবহৃত ময়দা, সুজি, তেল এবং অন্যান্য সবজির সঙ্গে ভাল মানের মশলা ব্যবহার করুন। এছাড়াও, এই সমস্ত আইটেমগুলি পাইকারিতে কেনা উচিত যাতে কম অর্থ ব্যয় হয়।
সুস্বাদু হতে হবে
তেমনি ফুচকার জলও সুস্বাদু হতে হবে, তবেই ক্রেতাদের লাইন থাকবে। মানুষ টক-মিষ্টি জল খুব পছন্দ করে। এছাড়াও, আপনার ফুচকা তৈরি এবং বিক্রি করার জন্য একটি ভাল লোকেশনের প্রয়োজন হবে। সবসময় এমন জায়গা বেছে নিন যেখানে বেশি ভিড় থাকে। প্রতিদিন যদি কমপক্ষে ১০০টি প্লেট ফুচকা প্রতি প্লেট ২০ টাকায় বিক্রি হয়, তাহলে এই ব্যবসা থেকে ন্যূনতম হিসাবে প্রতিদিন ২০০০ টাকা বিক্রি করা যেতে পারে।
এছাড়াও, এই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলির যত্ন নিন-
ফুচকা বানানোর পর জলের টেস্ট ও মশলা দেখে নিন। আপনি যদি জলের টেস্ট পছন্দ করেন তবে গ্রাহকরাও এটি পছন্দ করবেন।
স্বাস্থ্যবিধি এবং পরিচ্ছন্নতার যত্ন নিন।
ফুচকা খাওয়ানোর সময় গ্লাভস পরুন।
ফুচকায় জল মেশাতে একটি বড় চামচ ব্যবহার করুন।
খোলা হাতে কিছু করবেন না।
ফুচকা তৈরির ব্যবসায় কত টাকা মূলধন লাগে?
ফুচকা ব্যবসা একটি অল্প পুঁজির ব্যবসা। তবে আপনি চাইলে এই ব্যবসাটিকে অনেক বড় সড় করেও ব্যবসা করতে পারেন। এই ব্যবসাটি যদি অল্প পুঁজি দিয়ে শুরু করতে চান তাহলে আপনি ২ – ৫ হাজার টাকা খরচ করেও করতে পারবেন। ২- ৫ হাজার টাকা খরচ করে ফুচকা তৈরির প্রয়োজনীয় সকল কাঁচামাল ক্রয় করে ফুচকা তৈরি করে ব্যবসা শুরু করে দিতে পারেন। পরবর্তীতে যখন আপনার ব্যবসার প্রসারতা বৃদ্ধি পাবে তখন বড় করে করতে চাইলে আপনাকে অবশ্যই অটোমেটিক ফুচকা তৈরি করার মেশিন ক্রয় করতে হবে। এটি ক্রয় করতে আপনার খরচ হতে পারে ৫০ – ৭০ হাজার টাকা মত। তবে যারা মূলধন এর অভাবে কোন ব্যবসা শুরু করতে পারছেন না তারা ছোট করেই এই ফুচকা ব্যবসাটি শুরু করুন এবং পরবর্তীতে ব্যবসার চাহিদা ও প্রসার বৃদ্ধি হলে তখন যাবতীয় মেশিন ক্রয় করে বড় করে ফুচকা ব্যবসা শুরু করতে পারেন।
আয়ের পরিমান
এই ব্যবসায় ইনভেস্টমেন্ট বলতে ফুচকা তৈরি করার সামগ্রী, বিভিন্ন মশলা, একটা কাচের বাক্স আর সামান্য বাসনপত্র। এই অল্প কিছু উপকরণে কিন্তু একটা ফুচকার স্টল দাঁড় করানো যায়। আপনি যদি নিজের দোকানে প্রথম কয়েকদিন আশেপাশের অন্যান্য ফুচকার দোকানগুলি থেকে কম দামে বেশি ফুচকা দিতে পারেন তাহলে এমনিতেই গ্রাহকদের দৃষ্টি আকর্ষিত হবে। ধরুন, অন্য দোকান যেখানে দশ টাকায় পাঁচটা ফুচকা দিচ্ছে আপনি সেখানে দশ টাকায় সাতটি ফুচকা দিয়ে শুরু করুন। এইভাবে যখন দোকানে গ্রাহক সংখ্যা বাড়তে শুরু করবে তখন ফুচকার পাশাপাশি অন্যান্য মুখরোচক আইটেম রাখতে থাকুন। এই পদ্ধতি অবলম্বন করলে মাসে ফুচকা বিক্রি করেই স্বাচ্ছন্দ্যে দিনযাপন করা যায়।
Disclaimer- এখানে শুধুমাত্র একটি ব্যবসা শুরু করার ধারণা সম্পর্কে তথ্য দেওয়া হয়েছে। যেকোনো ব্যবসা শুরু করার আগে অবশ্যই সংশ্লিষ্ট ক্ষেত্রের বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ নিতে হবে। এর সঙ্গে, লাভের পরিসংখ্যান নির্ভর করবে আপনার ব্যবসার বিক্রয়ের উপর।