পদ্মা-মেঘনার ইলিশ, তিস্তার বোরোলি অথবা দিঘার কাঁকড়া, হুগলির চিংড়ি। কাঁচা অথবা রান্না করা যে কোনও প্রকারেই। অ্যাপে ক্লিক করেই পৌঁছে যাচ্ছে বাড়িতে। বেসরকারি নয় রাজ্য মৎস্য দফতরের উদ্যোগে তা ঘরে ঘরে পৌঁছে যাচ্ছে।
অভ্যাসে বদল এসেছে বাঙালির
করোনার পর থেকে কেমন যেন আউলে গিয়েছে সিস্টেম। বাজার যাব কি না, মাছ কিনব কি না, এসব ভাবতে ভাবতেই অনেক বহুমূল্য সকাল পার হয়ে গিয়েছে। কিন্তু ব্যাগ হাতেও ওঠেনি আর বাজারে যাওয়াও হয়নি। অথছ হেঁশেলে পৌঁছে গিয়েছে ইলিশ, পাবদা, আর কিংবা চিংড়ি। কাঁকড়া অথবা বোরোলি। সৌজন্যে সরকারি অ্যাপ বেনফিশ।
সুলভে মাছ বাড়িতে
এক বছর আগে এই অ্যাপ বাজারে আনে মৎস্য দফতর। এই প্রকল্পের ঘোষণা করেন মৎস্যমন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিংহ। তিনি জানান, করোনার সময় অনেকেই, বিশেষত প্রবীণরা বাজারহাটে যেতে পারছেন না। এদিকে মাছ ছাড়া বাঙালির হেঁশেল অচল। তাই গুণগত মান বজায় রেখে আম-বাঙালির দরজায় সুলভে মাছ পৌঁছে দিতে এই বন্দোবস্ত।
স্ট্র্যাটেজি বদল বেনফিশের
করোনার আগে বেনফিশের আউটলেট ও ভ্রাম্যমাণ কিয়স্ক কারগুলিতে ভাল বিক্রিবাটা হতো। মানুষ পথেঘাটে কম বেরোতেই তা ব্যাপকভাবে মার খায়। এই পরিস্থিতিতে স্ট্র্যাটেজি বদলে সরাসরি হেঁশেলে ও ডাইনিং টেবিলে ঢুকে পড়তে চাইছে মৎস্য দপ্তর।
কীভাবে পাবেন ঘরে বসে মাছ?
গুগল প্লে স্টোরে গিয়ে বেনফিসের অ্যাপ ডাউনলোড করা যাবে। মৎস্য দফতরের অ্যাপ-এ অর্ডার দিলেই মাছের রকমারি পদ বাড়িতে পৌঁছে যাবে। কীভাবে সেই পদ রান্না হয়েছে, তা-ও দেখা যাবে অ্যাপে। কাঁচা মাছ অর্ডার করলে তা কীভাবে কাটা হচ্ছে, প্যাকেট-বন্দি হচ্ছে, তার গোটা পর্ব চাক্ষুষ করা যাবে। সংশয়ের কোনও অবকাশ থাকবে না। পাশাপাশি রান্না না জানলে তাও অ্যাপ-এই মেলে রেসিপি পরামর্শ।
আউটলেটে ভরে দেওয়া হচ্ছে রাজ্য
এ ছাড়া আরও নতুন আউটলেট খোলা হচ্ছে। জনপ্রিয় জায়গাগুলিতে স্টল খুলে বিক্রি হবে মাছ। কাঁচা মাছ থেকে মাছের পদ। তাছাড়া বেনফিশের ফিশফ্রাই ও মিলবে। পুরনো স্টলগুলিও থাকবে আগের মতো। পাশাপাশি অ্যাপ তো রয়েইছে। মৎস্যব্যঞ্জন এমনভাবে প্যাকেটজাত করা হয়, যাতে দীর্ঘক্ষণ তাজা, টাটকা, মুচমুচে থাকবে। বেনফিশের অধীনে যে মৎস্য সমবায় আছে। তাদের কাছ থেকেই মূলত মাছ কেনা হয়। আপাতত কলকাতা জুড়ে অ্যাপ নির্ভর বিপণন চলছে। পরবর্তীকালে গোটা বাংলা এবং বাংলার বাইরেও এই উদ্যোগকে ছড়িয়ে দেওয়া হবে।