Credit Card Fraud: গত কয়েক বছরে ভারতে অনলাইন জালিয়াতি অনেকটাই বেড়েছে। রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার (RBI) একটি রিপোর্ট অনুযায়ী, ২০২০-২১ আর্থিক বছরে ব্যাঙ্ক জালিয়াতির ঘটনা উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে যে, ২০২২-এ মোট ব্যাঙ্ক জালিয়াতির মামলার সংখ্যা ৯১০৩, যা ২০২১ সালে ছিল ৭,৩৫৯। বিশেষ করে ক্রেডিট কার্ড জালিয়াতি, অনলাইন লেনদেনের ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। তাই, আজ জেনে নিন ৫ উপায় যার মাধ্যমে আপনি ক্রেডিট কার্ড জালিয়াতি এড়াতে পারেন এবং জালিয়াতির ফলে খোওয়া যাওয়া টাকাও ফেরত পেতে পারেন।
সন্দেহজনক, অপরিচিত ওয়েবসাইটের জন্য কার্ড ব্যবহার করবেন না:
ক্রেডিট কার্ড গ্রাহকদের সন্দেহজনক ওয়েবসাইটে তাদের কার্ড ব্যবহার করা এড়ানো উচিত। এই ধরনের ওয়েবসাইটগুলিতে কার্ডের তথ্য দেওয়া উচিত নয়, কারণ তারা ডেটা চুরি করতে পারে। আপনি যে ওয়েবসাইটটির সঙ্গে আপনার কার্ডের বিশদ ভাগ করছেন সেটির URL-এ 'https' আছে কীনা তা পরীক্ষা করে একটি SSL শংসাপত্র আছে কীনা তা নিশ্চিত করুন৷ অসুরক্ষিত ওয়েবসাইটগুলির SSL শংসাপত্র নেই৷
আরও পড়ুন: কর বাঁচিয়ে ৪৫% রিটার্ন, জানুন সঞ্চয় বাড়ানোর সেরা ৫ ঠিকানা
আপনার ক্রেডিট কার্ড আপনার সঙ্গে রাখুন:
আজকাল আপনার সঙ্গে আপনার ক্রেডিট কার্ড থাকা জরুরী। চুরির ব্যাপারেও আপনাকে খুব সতর্ক থাকতে হবে। বিশেষ করে যখন আপনি পাবলিক ট্রান্সপোর্টে ভ্রমণ করছেন এবং চোরেরা আপনার কার্ড চুরি করার পর কম দামের পণ্য কিনতে ক্রেডিট কার্ডের ট্যাপ অ্যান্ড পে ফিচার ব্যবহার করতে পারে।
কার্ড সম্পর্কে তথ্য দেবেন না:
আপনার ক্রেডিট কার্ড ব্র্যান্ডেড দোকান থেকে রাস্তার বিক্রেতাদেরও কাজে লাগবে। কারণ, ক্রেডিট কার্ডে UPI পেমেন্ট সুবিধা শুরু হয়েছে। ক্রেডিট কার্ড হোল্ডারদের অবশ্যই তাদের ক্রেডিট কার্ড স্টেটমেন্টের উপর নজর রাখতে হবে যাতে জালিয়াতরা কোনও ক্রয় বা লেনদেন না করে। কার্ডধারীরা ব্যাঙ্কের দ্বারা আরোপিত অননুমোদিত চার্জ বা জরিমানাও পরীক্ষা করতে পারেন।
অফলাইন, অনলাইন বা আন্তর্জাতিক লেনদেন বন্ধ হতে পারে:
অনেক ক্রেডিট কার্ড প্রদানকারী কোম্পানি গ্রাহকদের একটি পরিষেবা প্রদান করে যা ব্যবহার করে তারা অফলাইন, অনলাইন বা আন্তর্জাতিক লেনদেন বন্ধ করতে পারে। আপনি কার্ড লেনদেনের লিমিট সীমিত করার সুবিধাটি ব্যবহার করতে পারেন এবং নিশ্চিত করতে পারেন যে আপনার কোনো ক্ষতি হবে না।
ক্রেডিট কার্ড চুরি যাওয়ার পর তার থেকে টাকা খরচ হলে কী পেমেন্ট করতে হবে?
ক্রেডিট কার্ড চুরি বা খোয়া যাওয়ার পর যদি তার থেকে কোথাও কোনও পেমেন্ট হয় বা টাকা তোলা হয়, তাহলে ওই টাকা কী কার্ড হোল্ডারকে দিতে হবে? অনেকের কাছেই এই প্রশ্নের উত্তর নেই। ব্যাঙ্কও এ কথা গ্রাহককে নিজে থেকে জানায় না। ক্রেডিট কার্ড চুরি বা খোয়া যাওয়ার পর যদি তার পিন, ওটিপি, সিভিভি যদি গ্রাহক কারও সঙ্গে শেয়ার না করেন আর টাকা খোয়া যাওয়ার ২-৩ দিনের মধ্যে ব্যাঙ্কে জানিয়ে কার্ডটি ব্লক করেন তাহলে ‘জিরো লায়াবিলিটি প্রোটেকশন’-এর নিয়ম অনুযায়ী গ্রাহককে ওই টাকা দিতে হবে না।