Duck Farming: চাষাবাদ ছাড়াও পশুপালন কৃষকদের কাছে একটি প্রিয় পেশা। বর্তমানে গ্রামের মানুষ হাঁস পালনের দিকে ঝুঁকছে। হাঁস পালন ব্যবসার চেয়ে বেশি লাভজনক বলে মনে করা হয়। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, হাঁসে রোগের ঝুঁকি কম। এমতাবস্থায় এই ব্যবসায় লোকসানের সম্ভাবনা কম। এছাড়াও, হাঁস যে কোনও আবহাওয়া বা জলবায়ুর সঙ্গে নিজেকে খাপ খাইয়ে নিতে পারে।খাবারেরও তেমন কোনো খরচ হয় না। জলে বসবাসকারী পোকামাকড়, ছোট মাছ, ব্যাঙ ইত্যাদি খেয়ে কাটিয়ে দিতে পারে হাঁস।
বেশি ডিম দেয়
হাঁস একটি ক্রমানুসারে প্রায় ৪০-৫০টি ডিম পাড়ে। প্রতিটি ডিমের ওজন প্রায় ১৫ থেকে ২০ গ্রাম। ডিমের খোসা অনেক মোটা, তাই ভাঙার ভয় থাকে না এবং ব্যবসায় লোকসানও মুরগির তুলনায় কম। হাঁস পালনে বেশি জায়গার প্রয়োজন হয় না। পুকুরেও হাঁস রাখতে পারেন। বাজারে হাঁসের ডিমের দাম অনেক বেশি।
আপনি হাঁস বিক্রি করেও ভাল মুনাফা অর্জন করতে পারেন। এ ছাড়া হাঁসের মাংসের চাহিদাও আজকাল বাড়ছে। বিশেষজ্ঞরা ভারতীয় রানার এবং ক্যাম্পাল এই দুই প্রজাতির হাঁস সবচেয়ে বেশি রাখার পরামর্শ দেন। এই দুটি জাতই অন্যদের তুলনায় বেশি ডিম পাড়ে। বেশি ডিম পাড়ার কারণে লাভও হয় বেশি। এছাড়াও, এগুলি উচ্চ-শ্রেণীর প্রজাতিগুলির মধ্যে একটি হিসাবে গণ্য করা হয়।
খরচ অনেক কম
হাঁসের পিছনেও খুব বেশি খরচ করতে হয় না। আপনি বাজার থেকে হাঁসের জন্য খাবারও কিনতে পারেন। এর পাশাপাশি আপনার বাড়ির জলাশয় থেকেও হাঁস নিজে থেকে খাবার খুঁজে নিতে পারে। তবে খেয়াল রাখবেন বাড়িতে যেন হাঁসের চলাফেরা উপযোগী পুকুর বা জলাশয় থাকে। তবে একটা বিষয় মাথায় রাখা দরকার, বন্যপশু বা পথ কুকুর থেকে হাঁস সাবধানে রাখবেন। কারণ মাঝে মধ্যে এদের হামলায় হাঁস বা মুরগির মরে যায়। তাই এ বিষয়ে খেয়াল রাখা প্রয়োজন।