সেপ্টেম্বরের শেষে শুরু হচ্ছে দেবীপক্ষ। পঞ্চমী ৩০ সেপ্টেম্বর। ওই দিন থেকে সরকারি ছুটি ঘোষণা করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই সঙ্গে কালীপুজো, ভাইফোঁটা ও ছটের ছুটিও ঘোষণা করলেন।
সোমবার পুজো কমিটিগুলোর সঙ্গে বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানান,'৩০ সেপ্টেম্বর পঞ্চমী, ১ অক্টোবর ষষ্ঠী। বিজয়া দশমী ৫ অক্টোবর। বিসর্জনের দিন ঠিক করা হয়েছে, ৫, ৭, ৮ তারিখ। ৭ তারিখে জেলায় জেলায় পুজো কার্নিভাল করবেন। আর কলকাতায় কার্নিভাল হবে ৮ অক্টোবর। যেহেতু ৯ অক্টোবর লক্ষ্মীপুজো, ওই দিন আবার মুসলিম ভাই-বোনেদের নবী দিবস রয়েছে।'
এ দিন মমতা ঘোষণা করেন,'৩০ সেপ্টেম্বর থেকে সরকারি ছুটি শুরু হবে। চলবে ১০ অক্টোবর পর্যন্ত। ২৪ অক্টোবর কালী পুজো। ২৪ ও ২৫ তারিখ দু'দিন ছুটি থাকবে। ২৭ তারিখ ভাইফোঁটার ছুটি। ছটের ছুটি দু'দিন ৩০ ও ৩১ অক্টোবর।'
আরও পড়ুন- গজ না নৌকা! দুর্গার বাহন কীভাবে ঠিক হয়? জানুন শাস্ত্রের বিধান
আগেরবারের চেয়ে পুজো উদ্যোক্তাদের বিদ্যুৎ বিলে বেশি ছাড়ের ঘোষণা করেছেন মমতা। সেই সঙ্গে বাড়িয়েছেন অনুদানও। তিনি বলেন, 'গতবার কত ছাড় দেওয়া হয়েছিল বিদ্যুৎবিলে? ৫০ শতাংশ। এবারের পুজো স্পেশাল বিশ্বের গর্ব, বিশ্বসেরা মা দুর্গা তাঁর পদার্পণে আমি ইলেকট্রিক সাপ্লাই ও রাজ্য বিদ্যুৎ পর্ষদকে বিদ্যুৎ বিলে ছাড় ৫০ শতাংশ থেকে ৬০ শতাংশে বাড়িয়ে দেওয়ার অনুরোধ করছি। ফায়ার ব্রিগেডে পয়সা লাগে না। বিজ্ঞাপনে করও লাগে না। অনলাইন আবেদন চালু হয়ে গিয়েছে। বাকি কী থাকল? প্রথমে ২৫ হাজার অনুদান দিতে শুরু করেছিলাম। আগেরবার কত দিয়েছিলাম?' উত্তর আসে,'৫০ হাজার।' রাজ্যের কোষাগারের দৈন্যতার কথা মনে করিয়ে মুখ্যমন্ত্রী ঘোষণা করেন,'আমার কাছে কিছু নেই। ভাঁড়ার শূন্য। কষ্ট থাকা সত্ত্বেও ৫০ হাজার টাকা ৬০ হাজার করে দিলাম। কী খুশি তো?' হাততালি দিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণাকে স্বাগত জানান পুজো উদ্যোক্তারা।
১ সেপ্টেম্বর থেকে পুজোর আমেজ শুরু হয়ে যাচ্ছে রাজ্যে। ওই দিন ইউনেস্কোকে ধন্যবাদ জানিয়ে মিছিল হবে কলকাতায়। মমতা ঘোষণা করেন, দুপুর দুটোয় জোড়াসাঁকোয় শুরু হবে মিছিল। কালারফুল পোশাক পরে আসবেন ক্লাব কর্তারা। কেউ শঙ্খ, কেউ গান কেউ উলুধ্বনি দিতে দিতে মিছিল এগিয়ে যাবেন। তার পর রানি রাসমণি রোডে মূল অনুষ্ঠান। সেখানে থাকবেন ইউনেস্কো কর্তা, শিল্পপতি ও বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূতরা।
আরও পড়ুন- যখন কেউ বলে চোর চোর তখন মনে হয় ঘুষি মেরে মুখ ভেঙে দিই: শোভনদেব