অসংগঠিত ক্ষেত্রের শ্রমিকদের সাহায্য করার জন্য ই-শ্রম কার্ড (E Shram Card) প্রকল্প শুরু করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। অসংগঠিত ক্ষেত্রে যাঁরা বড় আকারে কাজ করছেন তাঁরা এই প্রকল্পের সুবিধা পান। অফিসিয়াল ওয়েবসাইট অনুসারে, এখনও পর্যন্ত দেশে এই প্রকল্পের অধীনে প্রায় ২৭.২৮ কোটি ই-শ্রম কার্ড ইস্যু করা হয়েছে।
এই ভুলে বাতিল হয়ে যাবে কার্ড
ই-শ্রম কার্ডের জন্য আবেদন করার সময় কেউ যদি কোনও ভুল তথ্য দিয়ে থাকেন, তাহলে যে কোনও সময় বাতিল হতে পারে কার্ডটি। কোনওরকম ভুল পাওয়া গেলেও বাতিল হতে পারে রেজিস্ট্রেশন। যাঁরা এই ধরনের ভুল করেছেন, তাঁরা ই-শ্রম কার্ড প্রকল্পের দ্বিতীয় কিস্তি পাবেন না। তাই এই ধরনের সমস্যা এড়াতে, আবেদন করার সময় সমস্ত তথ্য প্রয়োজনে দু'বার পরীক্ষা করুন।
এই কারণগুলির জন্য আটকে যেতে পারে কিস্তি
এছাড়াও, যদি কারও ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের কেওয়াইসি করা না হয়ে থাকে, তাহলেও আটকে যেতে পারে কিস্তি। তাই যাঁরা ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে কেওয়াইসি এখনও করেননি তাঁরা অবিলম্বে সেটি সেরে ফেলুন। আর সেটি খুব সহজেই করা যায়। এর জন্য শুধু একবার ব্যাঙ্কে যেতে হবে। আধার কার্ড এবং প্যান কার্ডের কপি ব্যাঙ্কে জমা হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে কেওয়াইসি হয়ে যাবে। এছাড়া পরবর্তী ক্ষেত্রে সমস্যা এড়াতে ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের সঙ্গে মোবাইল নম্বরটিও লিঙ্ক করানো প্রয়োজন।
রাজ্য সরকারগুলিও সুবিধা দেয়
ই-শ্রম কার্ড প্রকল্পের অধীনে রেজিস্টার্ড গ্রাহকরা কেবলমাত্র যে কেন্দ্রীয় সরকারের কাছ থেকেই সুবিধা পান তেমন নয়, রাজ্যসরকারগুলিও সময়ে সময়ে তাঁদের অর্থ দেয়। যেমন উত্তরপ্রদেশ বিধানসভা নির্বাচনের ঠিক আগে রাজ্য সরকার কোটি কোটি কর্মীদের অ্যাকাউন্টে এক হাজার টাকা করে দেওয়ার ঘোষণা করেছিল। সেই মতো উত্তরপ্রদেশে রাজ্য সরকার শ্রমিকদের রক্ষণাবেক্ষণ ভাতা হিসাবে প্রতি মাসে তাঁদের ৫০০-৫০০ টাকা করে দিচ্ছে।
আরও পড়ুন - কসবায় ব্যবসায়ীকে কিডন্যাপ, পরে উদ্ধার, আটক ৫