scorecardresearch
 

Earth Day উপলক্ষে নিউটাউনের ZERO WASTE SHOP-কে উপহার I AM KOLKATA-র!

বাতিল জিনিসের দিয়ে তৈরি পুনর্ব্যবহার যোগ্য সামগ্রীর বিক্রয় এবং প্রর্দশনীর জন্যই এনকেডিএ স্মার্টসিটি এই ZERO WASTE SHOP শুরু করে। এখানে রয়েছে ফেলে দেওয়া খবরের কাগজ থেকে তৈরী টেকসই টেবিল, চেয়ার। প্লাস্টিক এবং কাঁচের বোতল থেকে তৈরি ফুলদানি এবং আরও কত কী!

Advertisement
Earth Day: মার্লিন গ্রুপের এমডি সাকেত মোহতা, হিডকো, এনকেডিএ এবং নবদিগন্ত-র চেয়ারম্যান দেবাশিস সেন এবং কোলকাতা সোসাইটি ফর কালচারাল হেরিটেজের কর্ণধার সৌরভ মুখার্জি। Earth Day: মার্লিন গ্রুপের এমডি সাকেত মোহতা, হিডকো, এনকেডিএ এবং নবদিগন্ত-র চেয়ারম্যান দেবাশিস সেন এবং কোলকাতা সোসাইটি ফর কালচারাল হেরিটেজের কর্ণধার সৌরভ মুখার্জি।
হাইলাইটস
  • বাতিল জিনিস দিয়ে তৈরি পুনর্ব্যবহার যোগ্য সামগ্রীর বিক্রয় এবং প্রর্দশনীর জন্যই এনকেডিএ স্মার্টসিটি এই ZERO WASTE SHOP শুরু করে।
  • এখানে রয়েছে ফেলে দেওয়া খবরের কাগজ থেকে তৈরি টেকসই টেবিল, চেয়ার।
  • প্লাস্টিক এবং কাঁচের বোতল থেকে তৈরি ফুলদানি এবং আরও কত কী!

কখনও ভেবে দেখেছেন, একটি টি-শার্ট তৈরি করতে কত জল অপচয় করা হয় বা ঠিক কতটা শক্তির অপচয় হয়! এ বার ভাবুন সেই জামা-কাপড় ফেলা গেলে কতটা সম্পদের অপচয় হচ্ছে! নতুন পোশাকের উৎপাদনের সময় বিপুল পরিমাণে কার্বন ফুটপ্রিন্ট তৈরি করে এবং পৃথিবীর মূল সম্পদের উপর চাপ সৃষ্টি করে। এই সমস্ত বিষয় সম্পর্কে কখনও ভেবে দেখার সময় হয় না আমাদের।

মার্লিন গ্রুপ তার সামাজিক দায়বদ্ধতা থেকে এই চিন্তা ভাবনাগুলিকে পর্যালোচনা করে আজ ‘ওয়ার্ল্ড আর্থ ডে’ উপলক্ষে তাদের সমস্ত কর্মচারীদের পুরানো পোশাক জমা দেওয়ার এক অভিনব আয়োজন করেছে। I AM KOLKATA, মার্লিন গ্রুপের একটি সিএসআর উদ্যোগ যার মাধ্যমে এই আয়োজন করা হয়, নিউটাউনের ZERO WASTE সপে।

এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন; "I AM KOLKATA"-র প্রতিষ্ঠাতা এবং মার্লিন গ্রুপের এমডি সাকেত মোহতা, হিডকো, এনকেডিএ এবং নবদিগন্ত-র চেয়ারম্যান দেবাশিস সেন এবং কোলকাতা সোসাইটি ফর কালচারাল হেরিটেজের কর্ণধার সৌরভ মুখার্জি। এই উদ্যোগের মাধ্যমে I AM KOLKATA ৭০০টির-ও বেশি পুরনো পোশাক দান করেছে। এ দিনের অনুষ্ঠানে এনকেডিএ-র সিইও শ্রী অনিমেষ ভট্টাচার্য্য-ও উপস্থিত ছিলেন।

এই উদ্যোগের প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে এনকেডিএ এবং নবদিগন্ত-র চেয়ারম্যান দেবাশিস সেন বলেন, "আমরা এই জিরো সপ-এ পুরোনো জামা-কাপড়গুলি সংগ্রহের পর তা ভাল করে জীবানুমুক্ত করে নিউটাউনের বিভিন্ন জায়গায় প্রর্দশনীর জন্য রাখার ব্যবস্থা করছি এবং মানুষকে উদ্বুদ্ধ করছি এই জামা-কাপড়গুলি পুনরায় ব্যাবহার করার জন্য। ওয়ার্ল্ড আর্থ ডে উপলক্ষে আমাদের এই উদ্যোগের পাশে আজ মার্লিন গ্রুপ এসে দাঁড়িয়েছে। তাদের প্রতিটি কর্মচারী তাদের অব্যবহার কাপড় আজ এই জিরো সপ-এ দান করলেন। আমি আই এম কোলকাতার এই উদ্যোগকে সাধুবাদ জানাই।"

"I AM KOLKATA"-র প্রতিষ্ঠাতা এবং মার্লিন গ্রুপের এমডি সাকেত মোহতা বলেন, "আমরা মার্লিন গ্রুপে সমস্ত কর্মচারীদের একত্রিত করে পুরোনো বস্ত্র সংগ্রহের একটি উদ্যোগ কয়েক সপ্তাহ আগে চালু করেছিলাম। পুরোনো জামা-কাপড় সংগ্রহ করার পর সেগুলোকে ধুয়ে পরিষ্কার করার পর এই পোশাকগুলি দান করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। তবে হিডকো চেয়ারম্যান মাননীয় শ্রী দেবাশীষ সেনের সাথে দেখা করার পরে, উনি আমাদের অবাঞ্ছিত পোশাক পুনর্ব্যবহার করে আমাদের প্ল্যানেট আর্থ-কে বাঁচানোর মহৎ উদ্দেশ্য এবং সেই সংক্রান্ত কর্মকান্ডের সম্পর্কে বলেন। ঠিক তার পরেই পোশাকগুলিকে এই ZERO WASTE সপে অনুদান দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি আমরা।"

Advertisement

২০১৯ সালের মে মাসে এনকেডিএ এর সহযোগিতায় কোলকাতায় প্রথম, কোলকাতা সোসাইটি ফর কালচারাল হেরিটেজ এই ফেলে দেওয়া বর্জ্যের একটি প্রর্দশনীর আয়োজন করে ইকোপার্কে। এই উদ্যোগ থেকেই মার্লিন গ্রুপ এই প্রকল্পের সাহায্যার্থে এগিয়ে আসে।

গৃহস্থ্যলির নানা অপ্রয়োজনীয় কঠিন বর্জ্যের পরিসংখ্যান পেতে ২০২০ সালে, কলকাতা সোসাইটি ফর কালচারাল হেরিটেজ নিউ টাউনের এএ ব্লকে একটি সার্ভে চালায় এবং সিদ্ধান্ত হয় যে I AM KOLKATA যা মার্লিন গ্রুপের একটি সিএসআর উদ্যোগ এবং কোলকাতা সোসাইটি ফর কালচারাল হেরিটেজ যৌথভাবে এই বর্জ্য পদার্থগুলিকে পুনর্ব্যবহারের যোগ্য করে তুলবে।

সেই পরিকল্পনা মতো I AM KOLKATA এবং কে এস সি এইচ ১৮টি স্বনির্ভর গোষ্ঠীকে প্রশিক্ষণ দেন এবং দারুন সব দৃষ্টি নন্দন জিনিস তৈরি করেন। যেগুলি পরবর্তীকালে ভারতের নানা জায়গায় এবং মার্কিন মুলুকেও রপ্তানি করা হচ্ছে। 

এই জাতিয় বাতিল জিনিসের দিয়ে তৈরি পুনর্ব্যবহার যোগ্য সামগ্রীর বিক্রয় এবং প্রর্দশনীর জন্যই এনকেডিএ স্মার্টসিটি এই ZERO WASTE SHOP শুরু করে। আজ এই ZERO WASTE SHOP সারা বিশ্বের কাছে একটি চক্রাবৎ অর্থব্যবস্থার অন্যতম উদাহরণ। এখানে রয়েছে ফেলে দেওয়া খবরের কাগজ থেকে তৈরী টেকসই টেবিল, চেয়ার। প্লাস্টিক এবং কাঁচের বোতল থেকে তৈরি ফুলদানি এবং আরও কত কী!

এই প্রকল্পগুলির মাধ্যমে I AM KOLKATA, এনকেডিএ এবং কোলকাতা সোসাইটি ফর কালচারাল হেরিটেজ এক দারুণ নিদর্শন সৃষ্টি করেছে। এখনো অবধি ১৮টি স্বনির্ভর গোষ্ঠী এই প্রকল্পের মাধ্যমে উপার্জনের পথ দেখছে এবং এই গোষ্ঠীগুলির সাথে জড়িয়ে আছে প্রায় ১২০টি পরিবার যারা আজ রোজগারের নতুন দিশা খুঁজে পেয়েছে। করোনা অতিমারীর চরম ভ্রূকুটির মধ্যেও এই প্রকল্পের মাধ্যমে এখনও পর্যন্ত ২৪৭ কেজি কঠিন বর্জ্যকে পুনর্ব্যবহার যোগ্য করে তুলেছে।
 

Advertisement