২০২১-২২ অর্থবর্ষের জন্য সুদের হার কমিয়ে ৮.১ শতাংশ করা হয়েছে। পিএফের অছি পরিষদের প্রস্তাবে সম্মতি দিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। ফলে ধাক্কা খেয়েছে মধ্যবিত্তের সঞ্চয়। এবার পিএফের অগ্রিম তোলার ক্ষেত্রে ছাড় দিয়ে মধ্যবিত্তের ক্ষতে মলম দেওয়ার চেষ্টা করল কেন্দ্র। তা অ-ফেরতযোগ্য। অনেক সময় টাকার খুব দরকার পড়ে। তখন কাজে লাগে পিএফ সঞ্চয়। সেই তহবিল থেকে অগ্রিম হিসেবে টাকা তুলতে পারবেন এমপ্লয়িজ প্রভিডেন্ট ফান্ড অর্গানাইজেশন (EPFO) সদস্যরা। তা আর ফেরত দিতে হবে না।
কী কী ক্ষেত্রে পিএফ অগ্রিম পাবেন?
- গৃহঋণ/জমি/ফ্ল্যাট ক্রয় বা নির্মাণ/বাড়ির সংস্থার/হাউজিং লোন পরিশোধ।
- কারখানা লকআউট বা সংস্থা বন্ধ হয়ে গেলে।
- পরিবারের কোনও সদস্যের অসুস্থতা।
- নিজের/ছেলে/মেয়ে/ভাই/বোনের বিয়ে।
- ছেলেমেয়ের উচ্চশিক্ষা।
- প্রাকৃতিক দুর্যোগ
- বিশেষ শারীরিক সক্ষমদের সরঞ্জাম কেনার জন্য।
- অবসরের এক বছর আগে অগ্রিম টাকা তুলতে পারবেন।
- বরিষ্ঠ বিমা যোজনায় বিনিয়োগ (VPBY)।
- ১ মাস কর্মহীন থাকলে বা করোনার আক্রান্ত হলে অগ্রিম তোলা যাবে।
পিএফের ওয়েবসাইট বা উমঙ্গ অ্যাপের মাধ্যমে অগ্রিমের আবেদন করতে পারবেন। ইতিমধ্যে ইপিএফ সদস্যদের বেশ কয়েকটি সুবিধার জন্য ই-মনোনয়ন জমা দিতে হচ্ছে। সদস্যের মৃত্যুর পরে অনলাইন দাবি নিষ্পত্তি, নমিনি-কে পিএফের টাকা দেওয়া, পেনশন এবং বিমার (7 লক্ষ টাকা পর্যন্ত) জন্য ই-নমিনেশন জরুরি। এর ফলে কাগজহীন এবং দ্রুত দাবি নিষ্পত্তি হবে।
বলে রাখি, গত মার্চে সুদের হার কমিয়ে ৮.১ শতাংশ করার সিদ্ধান্ত হয় পিএফের অছি পরিষদের বৈঠকে। গত সপ্তাহে তাতে অনুমোদন দিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। ১৯৭৭-৭৮ সালে প্রভিডেন্ট ফান্ডে সুদের হার ছিল ৮ শতাংশ। তার পর থেকে এটাই সর্বনিম্ন সুদের হার।
আরও পড়ুন- গান্ধীকে সরিয়ে নোটে রবীন্দ্রনাথ-কালামের ছবি? জবাব RBI-র