এমপ্লয়িজ প্রভিডেন্ট ফান্ড বা ইপিএফ-এ কমানো হয়েছে সুদের হার। গত ৪ দশকে সবচেয়ে কমে ২০২১-২২ অর্থবর্ষে সুদের হার দাঁড়িয়েছে ৮.১ শতাংশে। গত অর্থবর্ষে এই হার ছিল ৮.৫ শতাংশ। বর্তমানে ইপিএফও-র থেকে নিজেদের অ্যাকাউন্টে সুদের অপেক্ষায় রয়েছে গ্রাহকরা।
বিগত কয়েক বছরের সুদের হার
২০২০-২১ অর্থবর্ষে ইপিএফও-র সুদের হার ছিল ৮.৫ শতাংশ। তার আগের অর্থবর্ষে সুদের হার ছিল একই। তবে ২০১৮-১৯ অর্থবর্ষে এই সুদের হার ছিল ৮.৬৫ শতাংশ, ২০১৭-১৮ সালে ছিল ৮.৫৫ শতাংশ এবং ২০১৬-১৭ সালে ছিল ৮.৬৫ শতাংশ। ১৯৭৭-৭৮ সালের পর এবারই সবচেয়ে নিচে নামল সুদের হার। সেই বছর সুদের হার নেমেছিল ৮ শতাংশে।
কখন জমা পড়বে সুদের হার?
শ্রমমন্ত্রকের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, কেন্দ্রীয় শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রী ভূপেন্দ্র যাদবের সভাপতিত্বে গুয়াহাটিতে এক বৈঠকের পর ৮.১ শতাংশ সুদের সুপারিশ করে কেন্দ্রীয় ট্রাস্টি বোর্ড (CBT)। কেন্দ্রীয় বোর্ড ২০২১-২২ অর্থবর্ষে ৮.১ শতাংশ বার্ষিক সুদ জমা দেওয়ার সুপারিশ করেছে। এবার এই সুপারিশ কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রকের কাছে যাবে এবং সেখানে অনুমোদিত হলে ঘোষিত হবে। ওই বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, সুদের হার সরকারি গেজেটে আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা করা হবে এবং তার পরে EPFO তার গ্রাহকদের অ্যাকাউন্টে সুদের হার জমা করবে।
কেন কমল সুদের হার?
পিটিআই-এর রিপোর্ট অনুসারে, এক CBT সদস্য জানাচ্ছেন, সুদের হার নির্ধারণ ভারতীয় অর্থনীতির অবস্থা এবং একটি বড় কর্পাস থেকে রিটার্ন জেনারেট করতে ইপিএফও যে অসুবিধার সম্মুখীন হয় সেটিতে প্রতিফলিত করে।
ইপিএফও তার বার্ষিক আয়ের ৮৫ শতাংশ সরকারি সিকিউরিটিজ এবং বন্ড সহ ঋণের উপকরণ এবং ১৫ শতাংশ ইটিএফ-এর মাধ্যমে ইক্যুইটিতে বিনিয়োগ করে। ঋণ এবং ইক্যুইটি উভয় ক্ষেত্র থেকে হওয়া উপার্জন সুদ প্রদানের গণনা করতে কাজে লাগে।
যদি ও শ্রমমন্ত্রকের বিবৃতিতে অবশ্য সুদ কমানোর কারণ দর্শানো হয়নি। সেখানে বলা হয়েছে, "বিনিয়োগের প্রতি রক্ষণশীল দৃষ্টিভঙ্গি অনুসরণ করা সত্ত্বেও এমপ্লয়িজ প্রভিডেন্ট ফান্ড অর্গানাইজেশন (EPFO) বিগত বহু বছর ধরে ধারাবাহিকভাবে হাই রিটার্ন জেনারেট করতে এবং গ্রাহকদের বেশি সুদ দিতে সক্ষম হয়েছে।"
আরও পড়ুন - পুঁজি ছাড়াই ৩০ কোটি টাকা রোজগার ১২ বছরের কিশোরের, কীভাবে?