কোনও খরচ না করেই বিটকয়েন ও এনএফটি ট্রেডিংয়ের মাধ্যমে কোটি কোটি টাকা রোজগার ১২ বছরের ছেলের। তার নাম Benyamin Ahmed। সে ব্রিটেনের বাসিন্দা। মাত্র ৫ বছর বয়সেই নিজের বাবার কাছ থেকে কোডিং শিখে নিয়েছিল সে। বর্তমানে ওয়েল থিমের একটি এনএফটি কালেকশান রিলিজ করেছে Benyamin।
এনএফটি হল এক ধরনের ডিজিটাল আর্ট, যা কেনাবেচা করা যায়। Benyamin Ahmed-ই প্রথমবার পিক্সেলেটেড ওয়েল লঞ্চ করেছে। আর কিছুক্ষণের মধ্যেই সেটি বিক্রি হয়ে যায়। সেটির জন্য Benyamin প্রায় ১ কোটি টাকা পায়। এরপর তার রোজগার বাড়তে থাকে। তার বাকি কাজগুলিও সফল হয়। কিছু মাসের মধ্যেই তার রোজগার বেড়ে ৮ কোটি টাকায় পৌঁছে যায়। আর বর্তমানে ১২ বছর বয়সে তার ৩০ কোটি টাকারও বেশি রোজগার হয়ে গিয়েছে। উল্লেখ্য, এতদিন তার কোনও ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট ছিল না। সে নিজের রোজগারের টাকা খরচও করেনি।
ইথেরিয়াম নামক ক্রিপ্টোকারেন্সিতে সমগ্র রোজগার...
Benyamin Ahmed-এর সমস্ত রোজগার ইথেরিয়াম নামক ক্রিপ্টোকারেন্সিতে রয়েছে। যদিও ক্রিপ্টোকারেন্সির দাম একটি তর্কসাপেক্ষ বিষয়। কেউ কেউ মনে করেন আগামিদিনে সেগুলি নষ্ট হয়ে যাবে। নিজেদের টাকা বের করার সময়ও পাবেন না বিনিয়োগকারীরা। তবে Benyamin মনে করে, সেটি ভবিষ্যতের মুদ্রা। আর আপাতত সে নিজের রোজগার সেখানেই রাখবে। দ্য সান-কে Benyamin জানায় যে, সে কেবল স্কিল ও অভিজ্ঞতা বাড়াতে চায়।
এখনও পর্যন্ত Benyamin-এর এনএফটি কালেকশানের ট্রেড ভ্যালু ৩০ কোটিরও বেশি হয়ে গিয়েছে। সে যত জনপ্রিয় হবে ততই তার দাম বাড়বে। সে জানাচ্ছে যে, তার স্কুলের বন্ধুরা জানে সে কী করে। তারা তাকে শুভেচ্ছাও জানিয়েছে। তবে সবাই অবশ্য বিষয়টি বোঝে না বলেই মনে করে Benyamin। তবে অনেকেই তার বিষয়ে জানে। আর তাকে দেখে আরও অনেকেই এনএফটি-র বিষয়ে জানছেন দেখে তার আনন্দও হয়।
Benyamin বাবা জানাচ্ছেন, তার ছেলের কাছে এটা কখনওই রোজগারের মাধ্য়ম ছিল না। সে শুধুই জ্ঞানার্জনের জন্য করছিল। রোজগার উপরি। Benyamin-এর বাবা আরও জানান যে, তিনি সবসময় এটাই চাইতেন যে তাঁর সন্তান সেই কাজই করুক যাতে সে আনন্দ পায় এবং তাতে বেশি করে সময় দিক।
আরও পড়ুন - দোলের ছুটিতে কম খরচে বেড়াতে যাওয়ার প্ল্যান? বেছে নিতে পারেন এই জায়গাগুলি