গ্রাহকদের সমস্যাগুলি কাটিয়ে উঠতে একের পর এক পদক্ষেপ নিচ্ছে EPFO। পেনশন স্কিম ইপিএস-এর সঙ্গে যুক্ত গ্রাহকদের সমস্যা দূর করতে সম্প্রতি উদ্যোগ নিয়েছে EPFO। ইপিএসের পেনশনভোগীদের টাকা পেতে বেশ দেরি হচ্ছে। মাস পেরিয়ে গেলেও অ্যাকাউন্টে পেনশনের টাকা জমা পড়ছে না বলে অভিযোগ। পেনশনভোগীদের এই সমস্যার কথা মাথায় নিয়ে গত সপ্তাহে EPFO একটি সার্কুলার জারি করেছে। নতুন নিয়মে বলা হয়েছে, পেনশনভোগীরা মার্চ ছাড়া বাকি সব মাসে শেষ কার্যদিবসে কিংবা তার আগেই পেনশন পাবেন। মার্চ মাসের ক্ষেত্রে ১লা এপ্রিল বা তার পরে পেনশন পেতে পারেন।
কী বলা হয়েছে নতুন নিয়মে
ইপিএফও জানিয়েছে যে পেনশন বিভাগ এই সমস্যাটি সমাধান নিয়ে কাজ করছে। এরপর আরবিআই-এর নির্দেশ মাথায় রেখে কিছু সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সকল কর্মীকে বলা হয়েছে, মাসিক বিআরএস (Monthly BRS) ব্যাঙ্কে পাঠানোর সময় পেনশনভোগীদের অ্যাকাউন্টে টাকা যথাসময়ে জমা হয়েছে কিনা, তা নিশ্চিত করতে হবে। পেনশনের পরিমাণ প্রতি মাসের শেষ কার্যদিবসে বা তার আগে সুবিধাভোগীর ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে জমা দিতে হবে।
এর পাশাপাশি এটিও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে যে ব্যাঙ্ক যখন পেনশনভোগীদের অ্যাকাউন্টে টাকা স্থানান্তর করবে, তার সর্বাধিক ২ দিন আগে ব্যাঙ্কগুলিকে অর্থ প্রদান করতে হবে। এ সিদ্ধান্ত যাতে সঠিকভাবে পালন করা যায়, সেজন্য সকল অফিসকে নিজ নিজ এলাকার ব্যাঙ্কগুলোকে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দিতে বলা হয়েছে।
এগুলোর জন্য ইপিএস বাধ্যতামূলক
যে সমস্ত কর্মচারীদের ইপিএফ অ্যাকাউন্ট আছে, তারা ইপিএসের জন্য যোগ্য বলে বিবেচিত হয়। যাদের বেসিক বেতন এবং ডিএ একসঙ্গে ১৫ হাজার টাকা বা তার কম, তাদের জন্য EPS বাধ্যতামূলক৷ কর্মচারীর মূল বেতনের ২৪ শতাংশের সমান পরিমাণ ইপিএফ-এ জমা করা হয়। এর মধ্যে ১২ শতাংশ কর্মচারীর এবং ১২ শতাংশ কোম্পানির শেয়ার থাকে। কোম্পানির শেয়ারের ৮.৩৩ শতাংশ EPS-এ জমা হয়।