২০২১-২২ অর্থবর্ষ শেষ হওয়ার পথে। এই পরিস্থিতিতে, এখনও যদি ট্যাক্স সেভিং স্কিমে বিনিয়োগ সম্পূর্ণ করে না থাকেন, তাহলে আর দেরি করবেন না। চলতি অর্থবর্ষে বেশি করে কর সাশ্রয় করতে হলে ৩১শে মার্চের মধ্যে এই কাজটি শেষ করতেই হবে। অনেক আছেন যাঁরা আর্থিক বছরের মাঝামাঝি সময়ে চাকরি পরিবর্তন করেছেন। তাতে স্বাভাবিকভাবেই তাঁদের আয় বৃদ্ধি পেয়েছে। তাঁদের আরও বেশি কর বাঁচাতে আরও বেশি করে বিনিয়োগ করতে হবে।
এই স্কিম গুলিতে বিনিয়োগ করতে পারেন
যদি কোনও ব্যক্তি করের বোঝা কমাতে চান, তাহলে তাঁর সামনে বিনিয়োগের বিভিন্ন অপশান রয়েছে। এর ফলে আয়কর আইনের ৮০সি ধারা অনুযায়ী ১.৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত কর ছাড় পাওয়া যায়।
১. পাবলিক প্রভিডেন্ট ফান্ড (PPF) : পাবলিক প্রভিডেন্ট ফান্ড (PPF) হল একটি দীর্ঘমেয়াদী ট্যাক্স সেভিংসের উপায়। এতে বিনিয়োগের মাধ্যমে বিনিয়োগকারীরা FD-এর চেয়ে ভাল সুদের হারে রিটার্ন পেতে পারেন। এই ফান্ডে বিনিয়োগের জন্য ১৫ বছরের লক-ইন পিরিয়ড রয়েছে। সেক্ষেত্রে যে কেউ যে কোনও আর্থিক বছরে করা বিনিয়োগের উপরে ৮০সি ধারা অনুসারে কর ছাড় পেতে পারেন।
২. ন্যাশনাল সেভিং সার্টিফিকেট (NSC) : এটি পাঁচ বছর মেয়াদী একটি স্কিম। এই স্কিমে বিনিয়োগ করলে একটি নির্দিষ্ট হারে রিটার্ন পাওয়া যায়। NSC অ্যাকাউন্ট খোলা যেতে পারে যে কোনও নিকটস্থ পোস্ট অফিসে। বিনিয়োগকারীরা এই স্কিমে বিনিয়োগের উপর কর ছাড়ের সুবিধাও পেতে পারেন।
৩. ন্যাশনাল পেনশন সিস্টেম (National Pension System) : এটি এক ধরনের স্বেচ্ছাবসর সঞ্চয় প্রকল্প। এটি পেনশন ফান্ড রেগুলেটরি অ্যান্ড ডেভলপমেন্ট অথরিটির দ্বারা নিয়ন্ত্রিত।
৪. ট্য়াক্স সেভিং এফডি (Tax Saving FD) : পাঁচ বছরের মেয়াদ যুক্ত ফিক্সড ডিপোজিটে কর ছাড়ের সুবিধা পাওয়া যায়। পাঁচ বছরের এফডি-তে বিনিয়োগ করলে ১.৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত কর ছাড় পাওয়া যেতে পারে।
৫. জীবন বীমা পলিসির প্রিমিয়াম প্রদান (Life Insurance Premium Payment) : ইউনিট-লিঙ্কড ইন্স্যুরেন্স প্ল্যান (LIPs), এনডোমেন্ট পলিসি এবং মেয়াদি বীমার প্রিমিয়াম প্রদানের ওপরেও কর ছাড়ের সুবিধা পাওয়া যায়।
আরও পড়ুন - অধিবেশন উত্তপ্ত হয়েছে অতীতেও, মমতার বিরুদ্ধেই উঠেছিল শাল ছোঁড়ার অভিযোগ