শীঘ্রই মাত্র ৪ ঘণ্টার মধ্যেই হাতে Driving License তুলে দেওয়ার উদ্যোগ নিয়েছে পশ্চিমবঙ্গ পরিবহণ দফতর।Driving License Within 4 Hours: ড্রাইভিং লাইসেন্স হাতে পাওয়ার জন্য দীর্ঘকাল অপেক্ষার দিন এবার ফুরতে চলল। কারণ, শীঘ্রই মাত্র ৪ ঘণ্টার মধ্যেই হাতে Driving License তুলে দেওয়ার উদ্যোগ নিয়েছে পশ্চিমবঙ্গ পরিবহণ দফতর। দফতরের দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রী স্নেহাশীষ চক্রবর্তী মঙ্গলবার এ কথা জানান। রাজ্য পরিবহণ ব্যবস্থাতে নতুন নিয়ম কার্যকর করার কথা জানাল রাজ্য পরিবহণ দফতর। দফতরের দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রী স্নেহাশীষ চক্রবর্তী মঙ্গলবার হাওড়ার সাঁতরাগাছিতে সরকারি অনুষ্ঠানে এসে সরকারি নতুন নিয়মের বিষয়টি উল্লেখ করেন।
অতীতের মতো দীর্ঘদিন অপেক্ষার পরে ড্রাইভিং লাইসেন্স পাওয়ার দিন শেষ হতে চলেছে বলেই মন্ত্রী দাবি করেন। তিনি জানান নতুন নিয়মে অনলাইন পদ্ধতির মাধ্যমে যে কেউ লাইসেন্সের আবেদন করতে পারবেন। আবেদন করার তালিকা অনুযায়ী তাঁকে পরীক্ষার জন্য ডাকা হবে। পরীক্ষা দেওয়ার ৪ ঘণ্টার মধ্যে তাঁর হাতে ড্রাইভিং লাইসেন্স তুলে দেওয়া হবে। পাশাপাশি আবেদন করার পরই তাঁর মোবাইলে মেসেজ করে তাঁর আবেদন পত্র জমা হওয়ার বার্তা দেওয়া হবে। লাইসেন্স হাতে না পাওয়া পর্যন্ত ওই মেসেজ দেখিয়েই সেই ব্যক্তি গাড়ি চালাতে পারবে। এই মর্মে কলকাতা ও রাজ্য পুলিশকেও বিষয়টি নিয়ে অবগত করা হবে বলে জানান পরিবহণ মন্ত্রী।
আরও পড়ুন: পূর্বরেলের বহু লোকাল ট্রেন বুধবার পর্যন্ত বাতিল, দুর্ভোগের আশঙ্কা
এর পাশাপাশি রাজ্যের সমস্ত আরটিও-এ নির্দেশ দেওয়া হয়েছে ১৫ বছরের বেশি পুরনো গাড়িগুলোকে বাতিল করার জন্য। বাতিল হওয়া গাড়িগুলোকে স্ক্যাপ করা হবে। এর জন্য প্রতিটি জেলাতে স্ক্যাপ গ্রাউন্ড তৈরী করা হবে। ওই স্ক্র্যাপ গ্রাউন্ডে বাণিজ্যিক গাড়ি জমা দিলে গাড়ির মালিক বৈধ কাগজ পাবেন। এ ক্ষেত্রে তাঁর জন্য নির্দিষ্ট রুট পারমিট দিয়ে তিনি পুনরায় নতুন গাড়ি কিনতে পারবেন। পাশাপাশি পছন্দের নম্বর নেওয়ার ক্ষেত্রে গাড়ি কেনার আগে থেকে আবেদন করা যাবে। একই বিশেষ নম্বরের জন্য সব আবেদনকারীকে ডেকে তাঁদের মধ্যে থেকে সর্বোচ্চ যিনি দাম দেবেন, ওই নম্বর তাকেই দেওয়া হবে।
এছাড়াও সাধারণ নম্বরের ক্ষেত্রে আবেদনকারীরা উপলব্ধ নম্বর থেকে বেছে নিতে পারবেন বলেই ওই অনুষ্ঠানে জানান পরিবহণ মন্ত্রী স্নেহাশিস চক্রবর্তী। এ ছাড়াও আগামীদিনের কথা ভেবে রাজ্য সরকার ই-পরিবহণের উপরে জোর দিয়েছে বলেও জানান তিনি। যদিও রাজ্যের সর্বত্র গজিয়ে ওঠা টোটো তৈরীর কোম্পানিগুলোর ক্ষেত্রে মন্ত্রী জানান, যাদের কাছে বৈধ সরকারি অনুমতি আছে তাঁরাই টোটো তৈরি করতে পারবে। তবে টোটো গাড়ির রেজিস্ট্রেশন ও লাইসেন্স দেওয়ার ক্ষেত্রে কোনও পরিকল্পনা এই মুহূর্তে নেই বলেই জানান তিনি।