টাকা কামানোর মতো জরুরি সঞ্চয়ও। আবার আয়করের হাত থেকেও বাঁচাতে হবে আপনার পরিশ্রমের টাকা। কিন্তু সঞ্চয় ও টাকা বাঁচানো একই সঙ্গে যদি হয়|? ৩১ মার্চ আসতে বাকি হাতেগোনা দিন। ২০২১-২২ আর্থিক বছর শেষ হওয়ার আগে এমন জায়গায় বিনিয়োগ করুন যাতে আপনি আয়করে ছাড় পেতে পারেন। কোথায় বিনিয়োগ করবে? রইল টিপস।
পাবলিক প্রভিডেন্ট ফান্ড (PPF)- কর বাঁচানোর উত্তম মাধ্যম হল পিপিএফ যোজনায় বিনিয়োগ। বছরে ১.৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত পিপিএফে বিনিয়োগ করতে পারেন। সুদ ৭.১ শতাংশ। এতে বিনিয়োগ করে আয়কর আইনের ৮০সি অনুযায়ী ছাড় মেলে। পিপিএফে টাকা ১৫ বছর জমা থাকে।
ন্যাশনাল পেনশন স্কিম (National Pension Scheme)- ন্যাশনাল পেনশন স্কিম অবসরকালীন সঞ্চয় প্রকল্প। আয়কর আইনের ৮০সি ধারায় ১.৫ লক্ষ ছাড়াও অতিরিক্ত ৫০ হাজার টাকা ছাড় পাওয়া যায়। এনপিএসে সবমিলিয়ে ২ লক্ষ টাকার কর ছাড় মেলে। প্রতি মাসে ১০০০ টাকা দিয়ে এনপিএসে বিনিয়োগ শুরু করতে পারেন। ১৮ থেকে ৬৫ বছর বয়সী যে কোনও ভারতীয় নাগরিক এনপিএসে প্রকল্পে যুক্ত হতে পারেন।
সুকন্যা সমৃদ্ধি যোজনা (Sukanya Samriddhi Yojana)- নিজের ছোট কন্যার নামে সুকন্যা সমৃদ্ধি যোজনায় টাকা রেখে কর ছাড়ের সুবিধা নিতে পারেন। বছরে দেড় লক্ষ টাকা জমা করে কর ছাড় পাওয়া যায়। সুদ মিলছে ৭.৫ শতাংশ।
সিনিয়র সিটিজেন সেভিংস স্কিম (Senior Citizen Savings Scheme)- সিনিয়র সিটিজেন সেভিংস স্কিমে বছরে সুদ ৭.৪ শতাংশ। ব্যাঙ্ক অথবা পোস্ট অফিসে এই প্রকল্পে বিনিয়োগ করতে পারেন। ৮০সি ধারায় আয়করে ছাড় মেলে। বছরে ১.৫ লক্ষ টাকা বিনিয়োগ করতে হবে।
জীবন বিমা (Life Insurance)- জীবন বিমা করালে আয়করে ছাড় মেলে। কিন্তু শুধুমাত্র ইউনিট লিংকড ইনসুরেন্স প্ল্যানেই (ULIP)পাওয়া যায় ছাড়। এই স্কিমে আড়াই লক্ষ টাকার বেশি প্রিমিয়াম দিলে কর ছাড় পাবেন। এখানে বিনিয়োগ করলে ৫ বছর পর্যন্ত টাকা তুলতে পারবেন না। বর্তমান আয়কর আইনের ১০ডি ধারায় জীবন বিমা পলিসির মেয়াদোত্তীর্ণ টাকা করমুক্ত।
ট্যাক্স সেভিংস এফডি (Tax Saving FD)- করমুক্ত এফডি-তে বিনিয়োগ করতে পারেন। ট্যাক্স সেভিংস এফডি-তে ৫ বছরের আগে টাকা তোলার সুযোগ নেই। বিভিন্ন সময়ে সুদের হার বদল করে ব্যাঙ্ক। এতে সম্পূর্ণ সুরক্ষিত ও গ্যারান্টি রিটার্ন মেলে। ৮০সি ধারায় বার্ষিক ১.৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত আমানতে পাওয়া যায় আয়কর ছাড়।
ইক্যুইটি লিংকড স্কিম (ELSS)- ইক্যুইটি লিংকড স্কিম একপ্রকার ইক্যুইটি ফান্ড। একমাত্র এই মিউচুয়াল ফান্ডে টাকা রাখলে আয়কর আইনে কর থেকে রেহাই পাবেন। ১.৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত করে ছাড় পেতে পারেন। মিউচুয়াল ফান্ডে টাকা খাটিয়ে বছরে ১ লক্ষ টাকা পর্যন্ত আয় করমুক্ত। লক ইন পিরিয়ড ৩ বছর। কর বাঁচানোর এটাই উত্তম উপায়।
আরও পড়ুন- দেউলিয়া এই সংস্থাকে কিনেছিলেন বাবা রামদেব, মার্চে আসছে FPO