গ্রিন-রেড নিয়ে দ্বন্দ্ব ছিল। কোন বাজি গ্রিন আর কোন বাজি গ্রিন নয় তা কেউই ঠিকমতো জানেন না। ফলে কোন বাজি পোড়াবেন, আর কোনটা পোড়াবেন না, তা নিয়ে তৈরি হয়েছিল দ্বন্দ্ব। এবার সমস্তের দ্বন্দ্বের অবসান ঘটে গেল। সৌজন্যে কলকাতা হাইকোর্ট।
হাইকোর্টের নির্দেশে বন্ধ বাজি
কলকাতা হাইকোর্ট শুক্রবার এ বছরের জন্য আসন্ন দীপাবলির মরশুমে সবুজ পটকা সহ সমস্ত ধরণের আতশবাজি বিক্রি এবং ব্যবহারের উপর সম্পূর্ণ নিষেধাজ্ঞা জারি করে দিল। ফলে বাজিপ্রেমীদের মধ্যে হতাশা ছেয়ে গেলেও কোনও রকম বাজি পোড়ানো যাবে না ঘোষণার মধ্য দিয়ে বাজি নিয়ে দ্বন্দ্বের পরিসমাপ্তি ঘটলো বলে মনে করা হচ্ছে। তবে কেউ যদি পাল্টা এ রায় নিয়ে চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দেন, তাহলে অন্য কথা।
কি বলছে হাইকোর্ট ?
গ্রিন ক্র্যাকার্স যে পরিবেশের পক্ষে ক্ষতিকারক নয় সেটা বিভিন্ন এক্সপার্ট দিয়ে পরীক্ষা নিরীক্ষা করা হয়েছে।কিন্তু এগুলো যে সত্যি গ্রিন ক্যাকার্স সেটা কি ভাবে প্রমাণিত হবে, এদিন প্রশ্ন তোলেন হাইকোর্টের বিচারপতি সব্যসাচী ভট্টাচার্য। যিনি কিনছেন, যিনি বিক্রি করছে এবং সর্বোপরি পুলিশ কি ভাবে বুঝবেন যে এটা পরিবেশ ও মানুষের ক্ষতি করবে না। করোনা তৃতীয় ঢেউয়ের অপেক্ষায় সারা দেশ। এই অবস্থায় বাজি পোড়ানো,বিক্রি করার অনুমতি দেব কীভাবে !
সবুজ বাজি নিয়ে ধন্দ ছিল
এর আগে রাজ্য সরকার দীপাবলিতে শুধুমাত্র ২ ঘন্টার নির্দিষ্ট উইন্ডোর মধ্যে সবুজ আতশবাজি পোড়ানোর অনুমতি দিয়েছিল। ছট পুজোর ক্ষেত্রেও একই ভাবে ভোরবেলায় আতশবাজি পোড়ানোর কথা বলা হয়েছিল।বাদ ছিল শব্দবাজি আর গ্রিন বাজির বাইরে থাকা আতশবাজিও। কিন্তু আদতে কোনটা গ্রিন বাজি, কোনটা নয়, তা নিয়ে রাজ্য দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের তরফে কোনও রকম নির্দেশিকা বা প্রচার দেখা যায়নি। ফলে সাধারণ মানুষ বুঝতেই পারছিলেন না, কোনটা কিনবেন, কোনটা নয়।
অসাধু বিক্রেতারা সব বাজিই সবুজ বাজি বলে বেচছিলেন
বাজি বিক্রেতারা যারা যে বাজি বেচছেন, সকলেই নিজেদের বাজিগুলিকে গ্রিন বাজি বলে বেচে দিচ্ছিলেন বলে অভিযোগ ওঠে। তারপরই অভিযোগের ভিত্তিতে আদালত সবুজ পটকা ব্যবহার সহ সম্পূর্ণ নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে।