How to Save Money: টাকা বাঁচানোর নিনজা টেকনিক! ৫০:৩০:২০ নিয়মটা জানেন?
How to Save Money: 50:30:20 সূত্রের কথা শুনেছেন? টাকা জমানোর ইচ্ছা থাকলে এই নিয়মটি মেনে দেখতে পারেন। খুব সহজ। এই নিয়মে আপনার আয় মূলত তিনটি ভাগে ভাগ করা হয়। এর ফলে বেশি চিন্তা ভাবনা ছাড়াই, আপনার সীমিত আয়ের মধ্যেও সঞ্চয় করতে পারবেন।
সীমিত আয়ে টাকা জমানোর পদ্ধতি জেনে নিন।- কলকাতা,
- 13 Dec 2024,
- (Updated 13 Dec 2024, 1:48 PM IST)
How to Save Money: 50:30:20 সূত্রের কথা শুনেছেন? টাকা জমানোর ইচ্ছা থাকলে এই নিয়মটি মেনে দেখতে পারেন। খুব সহজ। এই নিয়মে আপনার আয় মূলত তিনটি ভাগে ভাগ করা হয়। এর ফলে বেশি চিন্তা ভাবনা ছাড়াই, আপনার সীমিত আয়ের মধ্যেও সঞ্চয় করতে পারবেন। আসুন জেনে নেওয়া যাক এই 50:30:20 সূত্রের বিষয়ে:
50% - প্রয়োজনীয় ব্যয়
আপনার আয়ের অর্ধেক, অর্থাৎ 50 শতাংশ, আপনার প্রাথমিক প্রয়োজনীয়তা মেটাতে ব্যয় করতে হবে। এতে যা থাকবে:
- খাদ্য: মাসিক বাজার খরচ, রান্নার উপকরণ।
- বাসস্থান: ভাড়া, ইএমআই, জল এবং বিদ্যুৎ বিল।
- শিক্ষা: নিজের বা পরিবারের শিক্ষার খরচ।
- স্বাস্থ্য: প্রাথমিক চিকিৎসা খরচ।
👉 পরামর্শ:
- নিজের আয়ের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে ভাড়া বা ইএমআই ঠিক করুন।
- খরচ কমাতে মাসিক বাজেট তৈরি করুন এবং অনুসরণ করুন।
30% - শখের খরচ
আয়ের 30 শতাংশ আপনি শখে খরচ করতে পারেন। এটা আপনার দরকার মতো বাড়াতে বা কমাতে পারেন। তবে হ্যাঁ, 50%-এর সব পূরণ হলে তবেই এদিকে এগোবেন।
- সিনেমা দেখা বা খাওয়াদাওয়া করা।
- নতুন জামাকাপড় বা গ্যাজেট কেনা।
- ব্যক্তিগত চিকিৎসার বাড়তি খরচ।
- ভ্রমণের খরচ।
👉 পরামর্শ:
- অপ্রয়োজনীয় কেনাকাটা এড়াতে শপিংয়ের আগে একটি তালিকা তৈরি করুন।
- মাসে একবার নিজের খরচ পর্যালোচনা করুন এবং অপ্রয়োজনীয় খরচ চিহ্নিত করুন।
- অযথা ইএমআই করে জিনিস কিনবেন না। বিশেষত গ্যাজেট, গাড়ির মতো ডেপ্রিশিয়েটিং অ্যাসেটে ঋণের বোঝা বাড়াবেন না।
20% - সঞ্চয় ও বিনিয়োগ
বাকি 20 শতাংশ ভবিষ্যৎ সুরক্ষার জন্য সংরক্ষণ এবং বিনিয়োগে ব্যবহার করুন। এই অংশ ভবিষ্যতে জরুরি খরচ বা দীর্ঘমেয়াদি লক্ষ্য পূরণের জন্য কাজে লাগবে।
👉 সঞ্চয় ও বিনিয়োগের উপায়:
-
জরুরি ফান্ড:
মাসিক সঞ্চয়ের কিছু অংশ জরুরি ফান্ডে রাখুন। এটি ৩-৬ মাসের খরচের সমান হওয়া উচিত।
-
বিনিয়োগ:
- মিউচুয়াল ফান্ড: সিপি (SIP)-এর মাধ্যমে বিনিয়োগ শুরু করুন।
- পিপিএফ: (Public Provident Fund) দীর্ঘমেয়াদি বিনিয়োগের জন্য আদর্শ।
- স্বল্প ঝুঁকির স্কিম: ব্যাঙ্কের ফিক্সড ডিপোজিট বা পোস্ট অফিস স্কিম।
-
অবসরকালীন ফান্ড:
আপনার অবসরকালীন পরিকল্পনার জন্য প্রতিমাসে কিছু টাকা জাতীয় পেনশন স্কিমে (NPS) জমা দিন।
50:30:20 সূত্রে সাফল্যের টিপস
- বাজেট ট্র্যাকিং অ্যাপ: খরচের হিসাব রাখতে খাতা, এক্সেল, স্প্রেড শিট বা কোনও অ্যাপ ব্যবহার করুন।
- আয় বাড়ানোর চেষ্টা: অতিরিক্ত ইনকামের জন্য ফ্রিল্যান্সিং বা পার্ট-টাইম কাজ করুন।
- কনসিস্টেন্সি: নিয়মিত সঞ্চয়ের অভ্যাস গড়ে তুলুন।
- মাসের শুরুতেই সঞ্চয় সরান: বেতন ঢুকলেই আগে সেখান থেকে ২০% টাকা কোনও আলাদা সেভিংস অ্যাকাউন্টে সরিয়ে ফেলুন। রেকারিং ডিপোজিটও করে রাখতে পারেন। এতে আগে থেকেই আপনার টাকা সেভ হয়ে যাবে।
উদাহরণ:
ধরা যাক, আপনার মাসিক আয়ের পরিমাণ ₹৫০,০০০।
- ৫০% (প্রয়োজনীয়): ₹২৫,০০০
- ৩০% (শখের): ₹১৫,০০০
- ২০% (সঞ্চয়): ₹১০,০০০
দ্রষ্টব্য: শেয়ার, বিনিয়োগ সংক্রান্ত প্রতিবেদনগুলি বাজার পর্যবেক্ষণ মাত্র। এগুলি বিনিয়োগের পরামর্শ নয়। বাজারে বিনিয়োগের আগে অবশ্যই পড়াশোনা করুন এবং বিশেষজ্ঞের সাহায্য গ্রহণ করুন।