
সংসারে লক্ষ্মীলাভের আশায় ঘরে লক্ষ্মীপুজো করেন গৃহস্থেরা। তবে এ বছর ঘরে লক্ষ্মীপুজো করতে গিয়ে পকেটে টান পড়ছে আম বাঙালির। শুক্রবার থেকেই শহরের আনাচে কানাচে, পাড়ায় পাড়ায় হরেক মাপের লক্ষ্মী প্রতিমা নিয়ে দোকান সাজিয়ে বসেছেন বিক্রেতারা। ছোট, বড় প্রতিমার পাশাপাশি সরায় আঁকা লক্ষ্মীও বিক্রি হচ্ছে দেদার।
ক্রেতা থেকে বিক্রেতা, এ বছর জিনিসপত্রের দাম যে আকাশছোঁয়া তা মানছেন সকলেই। দাম অনেকটাই বেড়ে গিয়েছে মাটির প্রতিমারও। কেমন দাম পড়ছে প্রতিমার? বেলঘরিয়া স্টেশন সংলগ্ন এলাকার এক ব্যবসায়ী জানান, ছোট ইঞ্চি ছয়েকের একটা প্রতিমার দাম মোটামুটি ১৩০-১৫০ টাকা। গত বছর এই মাপের প্রতিমার দাম ছিল ১০০ টাকার মধ্যেই। এর চেয়ে একটু বড় মূর্তি কিনতে গেলেই দাম ১৮০-২০০ টাকায় চলে যাচ্ছে।
বেলঘরিয়া এলাকার এক প্রতিমা প্রস্তুতকারক শিল্পী বলেন, “গত মরসুমে এক ট্রলি মাটির দাম ছিল ২,০০০ টাকা ছিল। এ বছর তা বেড়ে ২,৬০০ টাকা হয়ে গিয়েছে। রঙের দামও প্রতি কেজিতে প্রায় দেড়-দুশো টাকা বেড়েছে। স্বাভাবিক ভাবেই মূর্তির দামও তাই বেড়েছে।”
বালিগঞ্জ চত্ত্বরে একটা ছোট প্রতিমার দাম মোটামুটি ১৫০ টাকা থেকে শুরু। এখানে এক ফুটের ঠাকুরের দাম শুরু হচ্ছে মোটামুটি ৩০০ টাকা থেকে। দেড়-দুই ফুটের প্রতিমার দাম পড়ছে ৬০০-১০০০ টাকা পর্যন্ত। বত বছরের তুলনায় এ বছর দাম প্রায় ২০-৩০ শতাংশ বেশি।
মৃৎশিল্পীদের দাবি, মাটির প্রতিমার চাহিদা থাকলেও সরায় আঁকা লক্ষ্মীর বিক্রি মাঝে একেবারেই কমে গিয়েছিল। তবে এ বছর আবার সরার চাহিদা বেড়েছে। ঘোলা, হাতিবাগানের দিকেও এবার সরায় আঁকা লক্ষ্মীর বিক্রি ভালই হচ্ছে, দাবি বিক্রেতাদের। এ বছর ৭০ থেকে ১০০ টাকায় সরা বিক্রি করছেন তাঁরা। সুদর্শন পাল নামে এক শিল্পী বলেন, ‘‘গত দু’দিনে প্রায় দেড়শোটা সরা বিক্রি হয়েছে।’’
মৃৎশিল্পীরা জানান, বড় প্রতিমার তুলনায় এবার ছোট মূর্তিরই বিক্রি বেশি। এলাকার পুজো কমিটিগুলোও ৮০০-১২০০ টাকার মধ্যেই প্রতিমা কিনছে। আর গৃহস্থরা ঝোঁক দেড়শো থেকে ছয়শো টাকার মধ্যে প্রতিমা ঘরে তুলছেন পকেট বুঝে।